শ্যামপুর থানার ওসির শেল্টারে সিটি কর্পোরেশনের নাম ভাঙ্গিয়ে মিন্টুর জমজমাট চাঁদাবাজি

0
111

ঘটনা সূত্রে জানা যায় গত ১৪/১২/২০২৩ তাং অনুমান ১২:০০ঘটিকার দিকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে জাতীয় সাপ্তাহিক “অপরাধ বিচিত্রা” এর একটি দক্ষ ও চৌকস সাংবাদিক টিম হাসনাবাদ এলাকা হয়ে জুরাইনের দিকে গমন কালে দেখতে পায় ৭-৮ জন লোক একটি নীল কাগজ ধরিয়ে দিয়ে হাইওয়েতে চাঁদা তুলছে। কাছে গিয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন মুহূর্তেই পালিয়ে যায়, বাকি তিনজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, মিন্টুর নির্দেশে তারা দৈনিক মজুরিতে সিটি কর্পোরেশনের নামে এই চাঁদা  তুলে।

জুরাইন রেলগেট থেকে এই হাইওয়েতে প্রতিদিন ৮-৯ জন চাঁদা আদায় করেন এবং জনপ্রতি দৈনিক সর্বনিম্ন ১০০টি টিকিট বিক্রি করেন।প্রতিদিন গড়ে এই টিকিট বিক্রির পরিমান সর্বনিম্ন ১০০০-১২০০টি।এবং প্রতিটি টিকেটের মূল্য ৩০টাকা।এছাড়াও অন স্ট্রিট পার্কিং এর নামে মোটর সাইকেল থেকে চাঁদা উত্তোলন করেন ২০টাকা করে।তাতে প্রতিদিন কমপক্ষে এই জুরাইন হাইওয়ের উপর থেকে চাঁদা আদায় হয় ৩০,০০০থেকে ৪০,০০০ হাজার টাকা।সিএনজি,লেগুনা,পিকআপ,কাভার্ডভ্যান,নাভানা থেকে ৭-এলিভেন এন্টারপ্রাইজ এর ইজারা দেখিয়ে তোলা এই চাঁদার কোন বৈধতা নেই।কারন হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং ৪৬/৪০/২০২২ যে রিটের পক্ষে শুনানী করেন এ্যাডভোকেট তৌফিক ইনাম ও সহকারী এ্যাডভোকেট তানজীব রশিদ খান।রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এই আদেশ অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪টি স্পটে টোলের বৈধতা রয়েছেএবং সেগুলোও আদায় করতে হবে টার্মিনালের অভ্যন্তরে।এছাড়াও সড়ক/মহাসড়কে টোল আদায়,গাড়ির গতিরোধ, হয়রানী,মারধর আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এই বিষয়টি সাংবাদিক টিম অবগত হওয়ায় অনুমান ১২:১০ এ জাতীয় জরুরি সেবার কল সেন্টার ৯৯৯কল দিয়ে অভিযোগ দেন।যাহার নং- CFS47440664।৯৯৯ এ দেওয়া এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ঘটনাস্থলে এএসআই বিকাশ চন্দ্র ও তার সঙ্গীয় ফোর্স আসেন।এবং চাঁদাবাজ চক্রের ৩জনকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এএসআই বিকাশ চন্দ্রের সিএসজি হতে মাসুদ(৬০)নামের একজন সদস্য পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে ১।সোহেল(২৭)২।তানজিল(১৯) নামের দুইজনকে থানায় নেওয়ার সময়ে এএসআই বিকাশের নির্দেশে কনস্টেবল আলমগীর চাঁদাবাজ চক্রের কাছের টাকা সিএনজিতে বসে নিয়ে যেতে গেলে সংবাদকর্মীরা দেখে ফেলায় পূনরায় টাকা ফেরত দেন।

এ বিষয়ে শ্যামপুর থানায় সংবাদকর্মী এস.সুইটি হেমায়েত সিনহা একটি লিখিত অভিযোগ করেন এবং অভিযুক্ত ১।সোহেল ও ২।তানজিল কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।পরবর্তীতে শ্যামপুর থানা চাঁদাবাজ চক্রের নেতা মিন্টু তার সহযোগী দালালচক্র তথা কথিত সাংবাদিক আক্তার হোসেন,শফিক,লিয়াকত,ও খোরশেদকে নিয়ে ওসির রূমে প্রবেশ করেন।এবং তাদের ভেতরে গভীর সম্পর্ক থাকার কারনে ওসি আতিকুর রহমান সংবাদকর্মীদের সাথে অপেশাদার আচারন করেন।এবং থানায় অভিযুক্ত ২জনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এএসআই বিকাশ চন্দ্রের সাথে রাগ প্রকাশ করেন।এদিকে দালাল চক্রের শফিক ওসি মহোদয়ের সামনেই অভিযোগ কারী এস.সুইটি হেমায়েত সিনহাকে মিন্টুর সাথে আলাদা করে কথা বলতে বলেন।এবং বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।

ওসির অপেশাদার আচারন,ও দালাল চক্রের সাথে তাল মিলিয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে উল্টাপাল্টা কথা বলা,এতদিন বন্ধ করেননি কেন?আপনার নিউজ করার থাকলে নিউজ করে দেন,এবং গ্রহনযোগ্যতাহীন একটি ফটোকপিকে অন্ধ সত্য প্রমান করার চেষ্টা দেখে সহজেই বুঝে নেওয়া যায় যে তিনি এদের বাইরের কেউ নন।তবুও অভিযোগ কারী অভিযোগ এর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন এদের তো কাগজ আছেই।সাংবাদিকরা অনুমান ২:০০ ঘটিকার দিকে বেরিয়ে আসলে থানার বাইরে দালাল চক্র সহ মিন্টু বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো শুরু করেন।মিন্টুকে পাত্তা না দিয়ে সংবাদকর্মীরা থানা থেকে চলে গেলে অনুমান সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকার দিকে এএসআই বিকাশ চন্দ্র অভিযোগকারী সাংবাদিক এস.সুইটি হেমায়েত সিনহার ব্যবহৃত নম্বর ০১৮১৩১৮৪৪৫৪ রে ০১৭৩৯-৭২৪০৩৬ এই নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানান এসি সার্কেল অভিযোগে উল্লেখিত রিট পিটিশন এর কাগজ নিয়ে আপনাকে থানায় আসতে বলেছেন।এখানে সকল অফিসার উপস্থিত আছেন আপনি রিট পিটিশন এর কাগজ না দিলে ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব নয়।জবাবে এএসআই বিকাশ চন্দ্রকে জানানো হয় এই পিটিশন আদৌ আছে কিনা বা এর আদেশ তো আপনার চেক দেওয়ার কথা।সংবাদকর্মী হিসাবে আমি আপনাকে এখন বড়জোর এই আদেশ এর ছবি ও বিষয়বস্তু দিতে পারি।এবং সে গুলো তাকে what’s up  করে পাঠিয়ে দেই।এবং নকল যদি আমার দিতে হয় তাহলে রবিবার কোর্ট থেকে তুলে দিতে পারব জানানো হয়।মূলত এসকল অযুহাত চাঁদাবাজ চক্রে ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাজানো নাটকের এক খন্ড চিত্র মাত্র।

পরবর্তীতে রাতে বিপুল টাকার লেনদেনের মাধ্যমে এসকল চাঁদাবাজদের মদদদাতা শ্যামপুরের ওসি আতিকুর রহমান এর শেল্টারে অভিযুক্ত সোহেল ও তানজিল কে ছেড়ে দেওয়া হয়।এবং বর্তমানে তারা আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ভাবে জুরাইন এলাকায় চাঁদা উত্তোলনের তান্ডব চালাচ্ছে। তারা এখন ত্রাসে পরিনত হয়েছে।বাধা দেওয়া বা শাস্তির আওতায় আনা প্রশাসনকে পকেটে পুরে এখন তারা চাঁদাবাজির আমরাজত্ব কায়েম করেছে।মারধর, হয়রানি,যানজট তৈরী সহ স্বচিত্র প্রতিবেদন করতে গেলে সাংবাদিকদের গনপিটুনী দিতেও তাদের এখন আর কোন সমস্যাই হচ্ছে না।তার কারন শ্যামপুর থানা তাদের চাঁদাবাজির বৈধতা দিয়ে দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen − thirteen =