অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড় গড়েছেন ডা: মাকসুদা আক্তার

0
63

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন মোছাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্সের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডাক্তার মাকসুদা ডাক্তার। বাংলাদেশের মোট ৪৩৫২ টি স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স ও ৫০০টি মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্স রয়েছে। প্রসূতি মায়েদের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে ও নবজাতকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়াও আরো ৫০০টি মডেল ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের মোট জন্ম নেওয়া নবজাতকের প্রায় ৬০ শতাংশই সিজারিয়ান।যে সংখ্যা হওয়া উচিৎ ছিলো ১৫শতাংশ।কিন্তু ডা:মাকসুদার মত কতিপয় কিছু অসাধু পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা(F.W.V) এর জন্য এই সংখ্যা কমানো সম্ভব হচ্ছে না।গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই ডাক্তার মাকসুদা স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স থেকে বাসায় ফিরে যায়।কারন সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজ রোডে তার নিজ বাসায় তৈরী হয়েছে তার এক মিনি ক্লিনিক।রোগীদের কে এই দিক থেকে এক পর্যায়ে বাধ্য করেন তার বাসায় গিয়ে সেবা নিতে।ডিগ্রি কলেজ রোডে মাকসুদ ম্যানসনের বিপরীত পাশ দিয়ে একটু ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা মেলে ডা: মাকসুদার দূর্নীতির আতুরঘর খ্যাত ক্লিনিকের।অবৈধভাবে এখানে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন তিনি।বিকাল ৩:০০ ঘটিকা থেকে রাত অনুমান ৮/৯ঘটিকা পর্যন্ত এখানেই চলে তার রোগী দেখার ব্যবসা।ঐ সময়টাতে এখানে গেলে দেখা মেলে রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।মাতুয়াইল মাতৃসদন থেকে প্রসূতি ও নবজাতকের উপরে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে ডা:মাকসুদা হয়েছেন একজন F.WV। পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা হয়েও তিনিই করছেন আলট্রাসাউন্ড এর কাজ।জানা যায় একজন রেডিওলজিস্ট যিনি সনোগ্রাফীর উপরে ডিগ্রি প্রাপ্ত হলে তিনিই আলট্রাসাউন্ড এর কাজ করতে পারবেন। তাহলে এই কাজ তিনি করছেন কি করে?? এছাড়াও রুমে প্রবেশ করতেই দেখা মেলে ফার্মেসী।নামধারি সকল কম্পানির মার্কেটিং অফিসার থেকে মোটা টাকা কমিশন নিয়ে ভূঁইফোড় সব ওষুধ সাপ্লাই দিয়ে আসছেন জনসাধারণের মাঝে প্রতিনিয়তই।বাসার এই গড়ে ওঠা ফার্মেসী যেন তার আয়ের আর একটা উৎস।মোছাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে গেলে আয়রন ট্যাবলেট ছাড়া আর কোন ওষুধ মেলে না ফ্রীতে।এদিকে ডা:মাকসুদার বাসায় দেখা মেলে সরকারি ওষুধ এর পসরা।নবজাতকের নাড়ী কেটে সেখানে দেওয়া হয় ক্লোরোহেক্সিডিন।সরকারি এই ক্লোরোহেক্সিডিনের প্রায় ১০০০-১২০০পিস অবৈধ পন্থায় নিজের মিনি ক্লিনিকে এনে ব্যবহার করছেন তিনি। এমন ভিডিও তথ্য পাওয়া গেছে।মূলত তার কাছে প্রাপ্ত ঔষধ গুলো বিক্রয় অযোগ্য ও বিক্রি করা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এছাড়াও তথ্য অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায় রাবেয়া(১৬) নামক এক মেয়ের এবোর্শন করছেন ডা:মাকসুদা। প্রশ্ন করলে জানান এই দম্পতি এখন বাচ্চা চায় না তাই এবোর্শন করেছেন।অথচ আমরা প্রায় সকলেই জানি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটা সময় পরে নারীরা অধিকাংশ জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারন হলো এই অনিয়ন্ত্রিত গর্ভপাত।এছাড়াও সকল প্রকার ডিএনসি,এমআর ও নরমাল ডেলিভারির কাজ এই বাসাতেই করে থাকেন ডা:মাকসুদা।এছাড়াও সিজারিয়ান দের জন্যও রয়েছে তার সেবা।বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিকে সিজারের জন্য লোক পাঠিয়ে সহজেই কমিশন গোনেন ডাক্তার মাকসুদা।পরিবারের জন্য যেন তিনি রূপকথার সেই সোনার ডিম দেওয়া রাজহংসীর মত।সমাজের জন্য যদিও তিনি অনেকটা ভাইরাস হয়ে উঠেছেন।নানা পন্থায়, অভিনব কায়দায়, দিনের পর দিন ডা:মাকসুদা সুকৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন তার এই দূর্নীতি ও অনিয়ম।স্থানীয় কতিপয় লোককে দিচ্ছেন চাঁদা।তাই সকলে যেন সব জেনেও কিছু জানেনা।এদিকে জনসাধারণের মাঝে তৈরী হয়েছে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার।এভাবে চলতে থাকলে কি দরকার ছিলো সরকারী ভাবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরী করার??এমনই প্রশ্ন এখন সচেতন মহলে। ইনভেস্টিগেশন চলমান আছে

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − eighteen =