স্টাফ রিপোর্টার ঃ
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় মিষ্টি কুমড়া ও টমেটো ক্ষেতের উপর দিয়ে জোর পূর্বক ড্রেজার পাইপ লাইন স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে ৩ জন আহত। জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে খিলক্ষেত এলাকার ওসমান গনির পুত্র হামিদুল্লাহ‘র মিষ্টি কুমড়া ও টমেটো ক্ষেতের উপর দিয়ে ড্রেজার পাইপ লাইন স্থাপন করে একই এলাকার কেরামত আলী দেওয়ানের ভাইস্তা এবং কাজী আব্দুল মতিনের পুত্র হামিদুর রহমান। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সন্ধ্যায় হামিদুল্লাহ‘র চাচাতো ভাই মোঃ সদু মিয়া(৫৮), বোন মোসাঃ ফাতেমা বেগম ও ভাতিজা মোঃ আঃ আলীম(৩৩) তাদের ক্ষেতের উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ লাইন নিয়েছে কেন এ বিষয়ে হামিদুর রহমানের কাছে জানতে চায়। কথাটি জানতে চাওয়াতে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে হামিদুর রহমান। হামিদুরের অকথ্য ভাষায় গালাগালির প্রতিবাদ করে তারা। এত করে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হলে হামিদুল্লাহ‘র আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় লোকজন উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়। ওই সময় সন্ত্রাসী হামিদুর ক্ষিপ্ত হয়ে আকস্মিকভাবে নিরীহ হামিদুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার কাছে থাকা শর্টগান দিয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে হামিদুল্লাহ‘র চাচাতো ভাই সদু মিয়া, বোন ফাতেমা বেগম ও ভাতিজা আঃ আলীম গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়। তখন হামিদুরকে প্রতিহত করতে যেয়ে তার সাথে ধস্তাধস্তিতে সেও আহত হয়। পরবর্তীতে লোকজনের সহায়তায় হামিদুল্লাহ গুরুতর আহত চাচাতো ভাই সদু মিয়া, বোন ফাতেমা বেগম ও ভাতিজা আঃ আলীমকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে হামিদুল্লাহ খিলক্ষেত থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। যার নং-১২, তাং-১৭/১২/২০১৬ ইং। জানা গেছে, খিলক্ষেত এলাকায় কেরামত আলী দেওয়ানের প্রভাব থাকায় তার ভাইস্তা হামিদুর ধরাকে সরা জ্ঞান করছে না। এলাকার কাউকে সে তোয়াক্কা করে না। কথায় কথায় তার অস্ত্রের মহড়া শুরু হয়। বর্তমানে হামিদুল্লাহ‘র পরিবার-পরিজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে অপরাধ বিচিত্রা‘র অনুসন্ধান চলছে।