বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিক সমাজের বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান

0
1448

বচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশ প্রেস-কাউন্সিল সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতা চায়। তাহলেই অর্থনীতির স্বাধীনতা আসবে। এই কারণে সকল সাংবাদিকের একতাবদ্ধ হওয়া দরকার। তিনি মনে করেন অধিকার বঞ্চিত ও নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের জন্য সাংবাদিকরাই কলম ধরে। সাংবাদিকদের জন্য ইতোমধ্যে মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণ তহবিল গঠন করেছেন। সাংবাদিকদের ব্যাপক সুবিধার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবকে ৩১ তলা বিশিষ্ট মিডিয়া কমপ্লেক্স তৈরীর ঘোষণা দেন‘’ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলকে সাংবাদিকদের প্রকৃত ও অভিন্ন অভিভাবক

SAMSUNG CAMERA PICTURES

SAMSUNG CAMERA PICTURES

বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ এর বিচারক জীবনের ঐতিহাসিক রায়:
হিউম্যান রাইটস এন্ড ফিশ ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ্যাডভোকেট মঞ্জিল মোরশেদ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রীট পিটিশন করেন। আবেদনের মূল বিষয় ছিল “ভাষা সৈনিকদের স্মরণে স্থাপিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা, ভাব গাম্ভীর্য ও পবিত্রতা সংরক্ষণ”। তৎকালীন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি নাঈমা হায়দার আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং ১০ জুন ও ২৪ আগস্ট ২০১০ সালে শুনানী করেন। জাতীয় স্বার্থে ঐতিহাসিক এই মামলার বিচারপতিদ্বয় রায় প্রদান করেন ২৫ আগস্ট ২০১০ সালে। সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদের আওতায় আবেদন শর্ত পূরণ করে বিধায় তা গৃহীত হয় এবং রায় প্রদান করা হয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রক্ষার জন্য মাইলফলক রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এবিএম খাইরুল হক ও বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সেই ধারাবাহিকতায় মঞ্জিল মোরশেদ আবারো শহীদ মিনার সংক্রান্ত আবেদনটি পেশ করেন এবং বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি নাঈমা হায়দার আবেদনকারীর পক্ষে রায় দেন। বিচারপতিদ্বয় মন্তব্য করেন “আমরা মনে করি মায়ের ভাষা হারানোর আশংকা থেকে ১৯৪৮ থেকে বাঙ্গালীদের মধ্যে জাতীয় চেতনার উন্মেষ যেন ঘটে এবং সেই চেতনার মূল জায়গাটা অর্থাৎ শহীদ মিনার কিন্তু শহীদ মিনারের পবিত্রতা সকল সরকার রক্ষা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এটা সত্যিই বেদনাদায়ক। দেশ যদি শহীদ মিনার সুরক্ষার ব্যবস্থা করে তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের মাতৃভাষার প্রতি ধ্যান-ধারণা এবং বোধ আরও বেশী সম্প্রসারিত হবে এবং আমরা সভ্য জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানুষের নিকট আরও কাছাকাছি যেতে সক্ষম হবো। কাজেই “শহীদ মিনারকে রক্ষা করার জন্য অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ ব্যাপারে আর কালক্ষেপনের সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করিনা” সময়ক্ষেপণের কারণে আমাদের জাতি পেছনে চলে যেতে পারে, তা কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে বসে মেনে নেওয়া যায় না। এর আগে বিচারপতি খায়রুল হক ও বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংরক্ষণসহ বধ্যভূমি ও ডক্টর ইউনুছের মামলা সংক্রান্ত যে রায় প্রদান করেন তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারাবাহিক ইতিহাস বর্ণনা করা হয়। এটি এক নতুন ধারা। জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বেশ কয়েকটি আলোচিত মামলার রায় প্রদান করে জাতিকে মুক্তি দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে বিচারাঙ্গণের ইতিহাসে বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিনের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে ৪  সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের ভারতের দিল্লী গমন ঃ
প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার আমন্ত্রণে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী ও ভারতের “ন্যাশনাল প্রেস ডে, ২০১৬” (১৬ নভেম্বর)  উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিগত ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হতে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের নয়াদিল্লী গমন করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিজ্ঞ দুই সদস্য রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ও ডক্টর উৎপল কুমার সরকার এবং প্রেস কাউন্সিলের সচিব (যুগ্ম সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার দিল্লী গমণ করেন। প্রতিনিধি দল ১৬ নভেম্বর, ২০১৬খ্রিঃ তারিখে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী ও ভারতের ন্যাশনাল প্রেস ডে ২০১৬ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী। ১৭ নভেম্বর, ২০১৬খ্রিঃ তারিখে সার্কভূক্ত দেশের প্রেস কাউন্সিল সমূহের মধ্যে জোট গঠনের বিষয়ে সার্কভূক্ত দেশসমূহ হতে আগত প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে সার্ক দেশসমূহের প্রেস কাউন্সিলের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতায় কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ১৮ নভেম্বর, ২০১৬ খ্রিঃ তারিখে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর পক্ষে মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি চন্দ্রমৌলি কুমার প্রসাদ এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর পক্ষে মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকে নি¤েœাক্ত বিষয়ে একমত হয়ে দুই দেশের প্রেস কাউন্সিল কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
১। দুই দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখা এবং দুই দেশের সাংবাদিকদের অবাধে চলাচল নিশ্চিত করার জন্য উভয় দেশের প্রেস কাউন্সিল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
২। দুই পক্ষ সাংবাদিকতা সংক্রান্ত তথ্য, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বিনিময় এবং অহিংস ও শান্তিপূর্ণ সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হন।
৩। উভয় দেশের প্রেস কাউন্সিল নির্দিষ্ট সময় পরপর গণমাধ্যম, সাংবাদিক এবং প্রচার মাধ্যম সংস্থাগুলোর উপর পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
৪। উভয় দেশের প্রেস কাউন্সিল উভয় দেশের সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নত করার জন্য সম্মেলন, সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করবে।
৫। উভয় দেশ কাউন্সিলের সংবাদপত্রের নৈতিকতা ও পেশাদারি কোড লঙ্ঘন সনাক্ত ও দায়িত্ব শীল সাংবাদিকতা পালনে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করবে। এবং উভয় পক্ষই একে অপরের দেশ সম্পর্কে সাংবাদিকদেও পরিচিতি বিনিময় কর্মসূচীর আয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৬। উভয় পক্ষের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ ক্ষেত্রে গবেষণা কাজের উন্নয়ন সাধন করবে।
৭। উভয় পক্ষই একে অপরের দেশের সহযোগিতা ও প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে প্রতি বছর একবার পারস্পরিক ভ্রমণ করবে।
৮। উভয় পক্ষের অবাধ ও সুষ্ঠু সাংবাদিকতার জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং একে অপরের দেশের সংবাদ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে এবং উভয় পক্ষই নিশ্চিত করবে যে জনগণের জানার অধিকার আছে। এবং গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা করা হবে।
বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের জীবন বৃত্তান্ত
বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মরহুম আফতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা মরহুমা কাজী মোতাহারা খাতুন এর চার পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের মধ্যে বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ কনিষ্ঠতম তিনি রামপুর প্রাইমারী স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং ময়নামতি হাইস্কুল হতে ১৯৬০ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএ ও এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হন। ১৯৭৩ সালে একজন আইনজীবী হিসেবে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে সদস্য পদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করেন। পরে ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিতে সদস্য পদ গ্রহণ করে প্রখ্যাত আইনজীবী মরহুম এএইচ মোজাফ্ফর আহমেদ এর জুনিয়র হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৭৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিতে লাইব্রেরী সম্পাদক এবং একই সমিতিতে তিনি ১৯৮১ সালে সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চট্টগ্রাম হাইকোর্ট বেঞ্চ আইনজীবী সমিতিতে সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ তালিকাভূক্তি হয়ে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ডেপুটি এটর্নী জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দান করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দান করেন। বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিনকে ১৬ মে ২০১১ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দান করেন। তিনি আপিল বিভাগ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সদস্য পদ গ্রহণ করেন। ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে বিপুল ভোটে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পূর্ব জার্মানীতে বিশ্ব যুব উৎসবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে চীন ভ্রমণ করেন। তিনি বিশ্বের বহুদেশ যথা: অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, নেপাল, হংকং, মস্কো, জার্মানী এবং ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেন। ২০০৫-২০০৬ সালে পবিত্র হজ্ব ব্রত পালন করেন। কর্মময় জীবনে মেধা সততা ও যোগ্যতার জন্য এ যাবত অসংখ্য সম্মাননা, পেয়েছেন তিনি। কৃতি এই গুণী ব্যক্তি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি সেবাধর্মী অসংখ্য সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজ এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে জড়িত রয়েছেন একজন খাঁটি নিবেদিত অভিভাবকের মতো। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ সন্তানের জনক। মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ সিপিএ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে ও ব্রায়ারন গ্লাসেস কোম্পানীতে কর্মরত আছেন। মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ ব্যারিস্টার এট-ল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত। তার স্ত্রী খাইরুন্নেছা আহমেদ অতন্দ্র প্রহরীর মতো নিয়োজিত থেকে সন্তানদের লেখাপড়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন।
বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতা চান। তাহলেই অর্থনীতির স্বাধীনতা আসবে তাদের। এই কারণে সকল সাংবাদিকের একতাবদ্ধ হওয়া দরকার। তিনি মনে করেন অধিকার বঞ্চিত ও নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের জন্য সাংবাদিকরাই কলম ধরে। সাংবাদিকদের জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণ তহবিল গঠন করেছেন। সাংবাদিকদের ব্যাপক সুবিধার জন্য জাতীয় প্রেস কাবকে ৩১ তলা বিশিষ্ট মিডিয়া কমপ্লেক্স তৈরীর ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলকে সাংবাদিকদের প্রকৃত ও অভিন্ন অভিভাবক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ নিরলসভাবে কাজ করে যা”েছন। ২০১৭  সালের আগস্ট মাসে বর্তমান প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহমেদেও এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের  ৩ বছর পূর্ণ হবে। সাংবাদিকদের দাবী তিনি আরেকটি মেয়াদ পর্যন্ত প্রেস কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করলে তিনি সফলভাবে সাংবাদিক সংবাদপত্র সহ এই সেক্টরে দীর্ঘদিন পর্যন্ত না করা কাজগুলো দ্রুত বান্তবায়ন করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে বিগত ৪৫ বছর যাবত প্রেস কাউন্সিল যে কাজগুলো করতে পারেনি বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানামুখী পদক্ষেপ তা অত্যন্ত সফলভাবে বান্তবায়ন করেছেন। এ কারণে সাংবাদিক সমাজের মাঝে তিনি অত্যন্ত আলোচিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। প্রেস কাউন্সিল একটি আধা বিচারিক (কোয়াছি জুডিশিয়াল) প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে প্রেসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করণ এবং সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও সংবাদ সং¯’ার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রেস কাউন্সিল ১৯৭৪ সালে আগস্ট মাসে গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সকল সংবাদপত্র, সংবাদ সং¯’া এবং সাংবাদিকদের জন্য একটি অনুসরণীয়  আচরণবিধি প্রণনয় করে। কাউন্সিল সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষতা ব”দ্ধি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করে। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে এরইমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, হবিগঞ্জ, নিলফামারী, দিনাজপুর, ফরিদপুর, ঢাকায় ২টি , কুমিল্লা জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করা হয়। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে যশোর,কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী, গাজীপুর, বগুড়া ও ঢাকায় ৫টি প্রশিক্ষণের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ যাবত প্রেস কাউন্সিলে মোট ৪৬০টি মামলা দায়ের করা হয়। তন্মধ্যে ৪৫২টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয় এবং ৮টি মামলা বিচারাধীন আছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের নেত”তে¦ একটি দক্ষ টিম এখানে নিরলস ভাবে কাজ করছে। সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার একজন দক্ষ ও আন্তরিক প্রেস বান্ধব অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। প্রেস এপিলেট বোর্ডে ৫২টি মামলা দায়ের করা হয়। তন্মধ্যে ৫১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে একটি আপিল বিচারাধীন আছে। বিগত ২০১৫ সালের নভেম্বরে ইন্ডিয়ার প্রেস কাউন্সিলের নিমন্ত্রণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফর করে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আমন্ত্রণে ইন্ডিয়ান প্রেস কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দলও বাংলাদেশ সফর করে। ইতিমধ্যে মায়ানমার প্রেস কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দলও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পরিদর্শন করেছেন। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেপাল প্রেস কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অতি সম্প্রতি অর্থাৎ ১৬ নভেম্বরে ইন্ডিয়ান প্রেস কাউন্সিলের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারত সফর করেছে।
বিচারপতি মমতাজউদ্দি আহমেদ এর বিচারক জীবনের ঐতিহাসিক রায়: হিউম্যান রাইটস এন্ড ফিশ ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ্যাডভোকেট মঞ্জিল মোরশেদ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রীট পিটিশন করেন। আবেদনের মূল বিষয় ছিল“ভাষা সৈনিকদের স্মরণে স্থাপিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা, ভাব গাম্ভীর্য ও পবিত্রতা সংরক্ষণ ” । তৎকালীন বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি নাঈমা হায়দার আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং ১০ জুন  ও ২৪ আগস্ট ২০১০ সালে শুনানী করেন। জাতীয় স্বার্থে ঐতিহাসিক এই মামলার বিচারপতিদ্বয় রায় প্রদান করেন ২৫ আগস্ট ২০১০ সালে । সংবিধানের ২৪ অনু”েছদের আওতায় আবেদন শর্ত পূরণ করে বিধায় তা গৃহীত হয় এবং রায় প্রদান করা হয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রক্ষার জন্য মাইলফলক রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এবিএম খাইরুল হক ও বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ । সেই ধারাবাহিকতায় মঞ্জিল মোরশেদ আবারো শহীদ মিনার সংক্রান্ত আবেদনটি পেশ করেন এবং বিচারপতি   মমতাজ  উদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি নাঈমা হায়দার আবেদনকারীর পক্ষে রায় দেন। বিচারপতিদ্বয় মন্তব্য করেন “আমরা মনে করি মায়ের ভাষা হারানোর আশংকা থেকে ১৯৪৮ থেকে বাঙ্গালীদের মধ্যে জাতীয় চেতনার উন্মেষ যেন ঘটে এবং সেই চেতনার মূল জায়গাটা অর্থাৎ শহীদ মিনার কিš’ শহীদ মিনারের পবিত্রতা সকল সরকার রক্ষা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এটা সত্যিই বেদনাদায়ক। দেশ যদি শহীদ মিনার সুরক্ষার ব্যব¯’া করে তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের মাতৃভাষার প্রতি ধ্যান-ধারণা এবং বোধ আরও বেশী সম্প্রসারিত হবে এবং আমরা সভ্য জাতি হিসেবে প”থিবীর মানুষের নিকট আরও কাছাকাছি যেতে সক্ষম হবো। কাজেই “শহীদ মিনারকে রক্ষা করার জন্য অতি দ্রুত ব্যব¯’া গ্রহণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ন বিষয় এবং এ ব্যাপারে আর কালক্ষেপনের সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করিনা” সময়ক্ষেপণের কারণে আমাদের জাতি পেছনে চলে যেতে পারে, তা কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে বসে মেনে নেওয়া যায় না। এর আগে বিচারপতি খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংরক্ষণসহ বধ্যভূমি ও ডক্টর ইউনুছের মামলা সংক্রান্ত  যে রায় প্রদান করেন তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারাবাহিক ইতিহাস বর্ণনা করা হয়। এটি এক নতুন ধারা। জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বেশ কয়েকটি আলোচিত মামলার রায় প্রদান করে জাতিকে মুক্তি দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে বিচারাঙ্গণের ইতিহাসে বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিনের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী ও ভারতের ন্যাশনাল প্রেস ডে ২০১৬ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি জনাব মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে ৪ (চার) সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের ভারতের দিল্লী গমন
প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার আমন্ত্রণে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী ও ভারতের “ন্যাশনাল প্রেস ডে, ২০১৬” (১৬ নভেম্বর)  উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিগত ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি জনাব মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হতে ০৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের নয়াদিল্লী গমন করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিজ্ঞ দুই সদস্য জনাব রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ও ডক্টর উৎপল কুমার সরকার এবং প্রেস কাউন্সিলের সচিব (যুগ্ম সচিব) জনাব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার দিল্লী গমণ করেন। প্রতিনিধি দল ১৬ নভেম্বর, ২০১৬খ্রিঃ তারিখে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী ও ভারতের ন্যাশনাল প্রেস ডে ২০১৬ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনাব নরেন্দ্র মোদী। ১৭ নভেম্বর, ২০১৬খ্রিঃ তারিখে সার্কভূক্ত দেশের প্রেস কাউন্সিল সমূহের মধ্যে জোট গঠনের বিষয়ে সার্কভূক্ত দেশসমূহ হতে আগত প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে সার্ক দেশসমূহের প্রেস কাউন্সিলের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতায় কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ১৮ নভেম্বর, ২০১৬খ্রিঃ তারিখে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এর পক্ষে মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি চন্দ্রমৌলি কুমার প্রসাদ এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর পক্ষে মাননীয় চেয়ারম্যান বিচারপতি জনাব মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকে নি¤েœাক্ত বিষয়ে একমত হয়ে দুই দেশের প্রেস কাউন্সিল কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
১। দুই দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখা এবং দুই দেশের সাংবাদিকদের অবাধে চলাচল নিশ্চিত করার জন্য উভয় দেশের প্রেস কাউন্সিল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
২। দুই পক্ষ সাংবাদিকতা সংক্রান্ত তথ্য, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বিনিময় এবং অহিংস ও শান্তিপূর্ণ সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হন।
৩। উভয় দেশের প্রেস কাউন্সিল নির্দিষ্ট সময় পরপর গণমাধ্যম, সাংবাদিক এবং প্রচার মাধ্যম সং¯’াগুলোর উপর পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
৪। উভয় দেশের প্রেস কাউন্সিল উভয় দেশের সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নত করার জন্য সম্মেলন,সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করবে।
৫। উভয় দেশ কাউন্সিলের সংবাদপত্রের নৈতিকতা ও পেশাদারি  কোড  লঙ্ঘন সনাক্ত ও দায়িত্ব শীল সাংবাদিকতা পালনে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করবে। এবং উভয় পক্ষই একে অপরের দেশ সম্পর্কে সাংবাদিকদেও পরিচিতি বিনিময় কর্মসূচীর আয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৬। উভয় পক্ষের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ ক্ষেত্রে গবেষণা কাজের উন্নয়ন সাধন করবে।
৭। উভয় পক্ষই একে অপরের দেশের সহযোগিতা ও প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে প্রতি বছর একবার পারস্পরিক ভ্রমণ করবে।
৮। উভয় পক্ষের অবাধ ও সুষ্ঠু সাংবাদিকতার জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং একে অপরের দেশের সংবাদ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে এবং উভয় পক্ষই নিশ্চিত করবে যে জনগণের জানার অধিকার আছে। এবং গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা করা হবে।
বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের জীবন বৃত্তান্ত
বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মরহুম আফতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা মরহুমা কাজী মোতাহারা খাতুন এর চার পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের মধ্যে বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ কনিষ্ঠতম তিনি রামপুর প্রাইমারী স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং ময়নামতি হাইস্কুল হতে ১৯৬০ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএ ও এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হন। ১৯৭৩ সালে একজন আইনজীবী হিসেবে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে সদস্য পদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করেন। পরে ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিতে সদস্য পদ গ্রহণ করে প্রখ্যাত আইনজীবী মরহুম এএইচ মোজাফ্ফর আহমেদ এর জুনিয়র হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৭৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিতে লাইব্রেরী সম্পাদক এবং একই সমিতিতে তিনি ১৯৮১ সালে সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চট্টগ্রাম হাইকোর্ট বেঞ্চ আইনজীবী সমিতিতে সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ তালিকাভুক্তি হয়ে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ডেপুটি এটর্নী জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দান করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর কাজে সন্তষ্ট হয়ে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দান করেন। বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিনকে ১৬ মে ২০১১ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দান করেন। তিনি আপিল বিভাগ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সদস্য পদ গ্রহণ করেন। ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে বিপুল ভোটে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পূর্ব জার্মানীতে বিশ্ব যুব উৎসবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে চীন ভ্রমণ করেন। তিনি বিশ্বের বহুদেশ যথা: অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত , নেপাল, হংকং, মস্কো, জার্মানী এবং ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেন। ২০০৫-২০০৬ সালে পবিত্র হজ্ব ব্রত পালন করেন। কর্মময় জীবনে মেধা সততা ও যোগ্যতার জন্য এ যাবত অসংখ্য সম্মাননা, পেয়েছেন তিনি। কৃতি এই গুণী ব্যক্তি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি সেবাধর্মী অসংখ্য সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজ এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন ¯’ানে জড়িত রয়েছেন একজন খাঁটি নিবেদিত অভিভাবকের মতো । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ সন্তানের জনক। মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ সিপিএ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে ও ব্রায়ারন গ্লাসেস কোম্পানীতে কর্মরত আছেন। মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ ব্যারিস্টার এট-ল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত। তার স্ত্রী খাইরুন্নেছা আহমেদ অতন্দ্র প্রহরীর মতো নিয়োজিত থেকে সন্তানদের লেখাপড়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে মোঃ আবু তাহের পাটোয়ারী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × five =