দ্বীপ জেলা ভোলা একটি নদী মাত্রিক জেলা। তাই দূর্নীতিবাজরা কখনো জনগনের বন্ধু হতে পারে না। যারা ভোলা মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ বালু উত্তলন করে তারা কখনো ভোলাবাসির জন্য কল্যান জনক হতে পারে না, বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোলা জেলা যুবলীগ এর কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মৌন মিছিল বের হয়ে ভোলা শহরের প্রধান সড়ক গুলো প্রদিক্ষণ শেষে ভোলা পৌরসভার সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় এই দেশ একটি উন্নত দেশে পরিনত হয়েছে। দ্বীপ জেলা ভোলার নদী ভাঙ্গন রক্ষার জন্য সিসি ব্লকের মাধ্যমে আমার নেতা সফল বাণিজ্যমন্ত্রী ভোলা ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মেদ তিনি কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এনে নদী ভাঙ্গন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।তাই আমরা সকলে মিলে ভোলাকে নদী ভাঙ্গন হাত থেকে রক্ষা করবো।আর এদিকে একটি কুচক্রি মহল অবৈধভাবে বালু উত্তলন করে ভোলাকে ধ্বংশের মূখে ফেলে দিয়েছে।নদী থেকে বাগদা রেনু ধরা হচ্ছে।জেলেদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে, কুচক্রি অসাধু মহলের কথা অমান্য করলেই এবং তাদের দেয়া সীমানা অতিক্রম করলেই জেলেদেরকে জোড়পূর্বক নদী থেকে উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং চাদাঁদাবী করছে। গরিব অসহায় মানুষের পেটে লাথি মেরে অনিয়ম আর দূর্নীতি করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।গরিব অসহায় ব্যক্তিদের অধিকার এবং ভোলাকে মেঘনার কবল থেকে রক্ষার জন্য এই সকল অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করা হবে এবং প্রতিবাদ করা হবে, বলে তিনি এসব কথা বলেন হাজার হাজার জনতার সামনে। সলাত সলাত ঢেউয়ের মাঝে কিশের ব্যাথা জাগে, নদীরে তোর দুঃখ আমি বুঝতে পারি না যে। দ্বীপ জেলা ভোলা তার চর্তুদিকে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেঘনা নদী। তীব্র স্রোত ধারায় শো শো শব্দ বয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে রয়েছে তীব্র ভাঙ্গন, দিশে হারা মেঘনার তীরের বসবাসকারীরা।৩বছরের মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে পড়ে বিলীন হলো কোটি কোটি টাকার সম্পদ। হারিয়ে ফেলতে চলেছিলো ভোলার মানচিত্র ও নিজ গৌরব আর ঐতিহ্য। তাই ইতিমধ্যে বাংলার মাটি ও মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনা দক্ষতায় আর দ্বীপ জেলার মাটি ও মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সফল দায়িত্ববান বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মেদ (এমপি) তার প্রচেষ্টা মেঘনার তীব্র ভাঙ্গন কবলিত স্থানে সিসি ব্লক এর মাধ্যমে বাধ রক্ষার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে ভোলাকে রক্ষা করার জন্য। ইতিমধ্যে তার কাজ চলছে। ভোলার মানুষ মেঘনার কবল থেকে বেচে থাকার উপায় হয়েছে। এদিকে, ভোলার কিছু স্বার্থশ্বেনী ,মানুষ তার অপর দিকে একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোলা জেলাকে ধ্বংশ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেই ধ্বংশ পরিকল্পনার মধ্য রয়েছে ভোলার চিরতরে মানচিত্রকে হারানোর একটি পদ্ধতি। মেঘনার কবলিত স্থানের কিছু দুর থেকেই প্রতিনিয়ত দেখা যায় অবৈধ বালু উত্তালন।এই বালু উত্তলনের কারনে হুমকির মুখে ভোলা জেলা।ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ বালু উত্তলন করেছেে ভোলা একটি অসাধু কুচক্রি মহল।এদের বিরুদ্ধে ভোলা পৌরসভার সফল মেয়র জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে আজ প্রতিবাদ সভা ও মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে ভোলাবাসি মন্তব্য করে বলেন, এই সকল অপকর্ম এবং ভোলাকে ধ্বংশ পিছনে হাত রয়েছে কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকীব। তার ক্যাডার বাহিনী ও জলদুস্য বাহিনী দিয়েই চলছে এসকল অপকর্ম।এই ক্যাডার বাহিনীরা মিলে, নদীর চর দখল, লঞ্চঘাট দখল, অতিরিক্ত চাদাঁ আদায়, জেলেদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ, নদী থেকে বালু উত্তালনসহ দূর্নীতির বিস্তর জমে উঠেছে বলেও কেউ কেউ মনে করেন।