নোমান মাহমুদঃ রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর থানা এলাকায় পুলিশের বিরূদ্ধে প্রকাশ্য চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন যাবত অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান ও শের-বাংলা নগর থানা এলাকায় পুলিশের কার্যক্রম পর্যবেক্ষনে এসকল দৃশ্য ফুটে উঠে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, নগরীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও তার আশেপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শের-ই-বাংলা নগর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক জামানের নামে প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার ছোট দোকান ১০০ টাকা ও বড় দোকান ২০০ টাকা হারে, একই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের (টিআই) নামে মাসিক ১০০০ টাকা হারে, দিনের বেলা কর্তব্যরত পুলিশের টহল গাড়ির দৈনিক ৫০ টাকা হারে ও সংশ্লিষ্ট ফাড়ির পুলিশের নামে দৈনিক ১০ টাকা হারে এই চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এসকল চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন কয়েকজন দোকান মালিকের সাথে কথা বললে, মিজান নামে একজন দোকান মালিক অপরাধ বিচিত্রাকে জানান, ”আমরা গরীব মানুষ, এই দোকান দিয়েই সংসার চালাতে হয়। চাঁদা না দিয়ে আমাদের উপায় নেই। একদিন টাকা না দিলে পুলিশ এসে মারধর করে দোকান ভেঙে দেয়। দোকানে বেচাকেনা হোক বা না হোক, দোকান খুললেই পুলিশের টাকা দিতে হবে। শুধু জামান স্যারকে সপ্তাহে ২ দিন ১০০ টাকা করে ও টি.আই স্যারকে মাসে ১০০০ টাকা করে দিতে হয়। টহল পুলিশ প্রতিদিন এসে টাকা নিয়ে যায়”। অন্যদিকে পুলিশের এই চাঁদা আদায়ের প্রসঙ্গে শের-ই-বাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জি.জি বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি এসকল বিষয়ে অবগত নন বলে দাবী করেন। সেই সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ” আমার থানায় কোন চাঁদাবাজি চলবে না, আপনারা রিপোর্ট করুন, আমি সংশ্লিষ্টদের বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। আমার থানায় কোন চাঁদাবাজের স্থান নেই”