উত্তরা ক্রিয়েটিভ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের অপকর্মের শেষ কোথায়

10
1082

ষ্টার্ফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর উত্তরায় ক্রিয়েটিভ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের অপকর্মের যেন শেষ নেই। দিনকে দিন অপকর্মের মাত্রা শেষ সীমানায় পৌঁছে ছে। উত্তরার ১১নং সেক্টর ১৩ রোডের ৪৬ নং বাড়িতে অবস্থিত ক্রিয়েটিভ স্কুল এন্ড কলেজের সেই দুর্নীতিবাজ দুশ্চরিত্র অধ্যক্ষের নাম মোঃ মোমিন।

 

অভিযোগ রয়েছে নাম মাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা সনদের মত গুরুত্বপূর্ণ সনদ বিক্রি করছেন এই অভিযুক্ত শিক্ষক মোমিন। জানা গেছে এই স্কুলটির নেই কোন সরকারি অনুমোদন পত্র। রয়েছে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্ম রমরমা কয়েকটি ঘটনা। স্কুলটির আখি নামের ৮ম শ্রেনীর রোল-৫ এক ছাত্রীর সাথে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটিয়ে ধরা খেলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত বিষয়ে বিচার-সালিশ এর মাধ্যমে সমাধান করে দেন। উক্ত বিচার সালিশে উপস্থিত ছিলেন তুরাগ থানা সাবেক চার নাম্বার ও বর্তমান নং ৫৩ ওয়ার্ড মেম্বারের ছেলে সেলিম রাজ। বিচার-সালিশ এর স্থানীয়রা অভিযোগে অধ্যক্ষ মোমিনকে সাময়িক ক্ষমা করে দেন। তবে খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, ক্রিয়েটি স্কুল এন্ড কলেজে একমাত্র আয়ের উৎস হল শিক্ষাকে পুজি করে। অবৈধ শিক্ষা সনদ বিক্রি করে যাচ্ছে র্দীঘ দিন যাবৎ। যার খপ্পরে পরে ৭ম শ্রেনী পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে নবম শ্রেনীতে ভর্তি করেন আঃ মোমিন। ছেলেটির নাম মোঃ রাসেল, পিতা: মোঃ মালেক, মাতা: জায়েদা বর্তমানে অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে তুরাগ থানার রানাভোলা এলাকায়। এ ব্যপারে রাসেল মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায় আমার ছেলেকে ৮ম শ্রেনীতে কোন পরীক্ষা ছাড়া সার্টিফিকেট দিবে। আমাকে বিশ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি বললাম স্যার আমি একজন হত দারিদ্র মানুষ বিশ হাজার টাকা নয় দশ হাজার টাকা দিতে পারবো। তাতে রাজি হলেন ক্রিয়েটিব এর স্যার মোমিন। পরবর্তীতে ভর্তি করি আমার একমাত্র সন্তানকে। ভর্তি খরচ বই ও মাসিক প্রতি মাসের বেতন পরিশোধ করছি। আমি মানুষের কাছে জানতে পারি সে দুই নাম্বার সার্টিফিকেট তৈরী করে। আরো অনেক ছেলেকে দিয়েছে বলে তারা আমাকে জানান। আমি আমার এক মাত্র সন্তান এর ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করে আমার দশ হাজার টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে সন্ত্রাসীরমত কথা বলে উপহাশ করে বের করে দেয়। আমি সানলাইফ ইনস্যুরেন্স কো¤পানী লিঃ আল-আমিন এর মাধ্যমে ভর্তি ও টাকা দেই। চরিত্রহীন ল¤পট মোমিন সমরাজ্যে কারো রেহাই নাই। ছাত্রী হল পাত্রী শিক্ষা সনদ বিক্রি হল তার একমাত্র কৌশল। শিক্ষা নয়, শিক্ষা সনদ বানিজ্য। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোমিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন উক্ত অভিযোগগুলো পুরোপুরি সত্যি নয়। এসময় তিনি এ প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। বলেন সংবাদ প্রকাশ করলে সংবাদ সম্মেলন করারও কথা বলেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 + 6 =