বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সিপিডি দেশবাসীকে হতবাক করেছে। যদি সিপিডির প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্ট সঠিক হয়-তা হবে দুঃজনক। সিপিডি দেশের উন্নয়ন খুজে পায় না। উন্নয়নের সকল শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ যখন এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হতে যাচ্ছে আগামী মার্চ মাসে, তখন সিপিডি দেশের উন্নয়নের সমালোচনা করছে। বিশ^ ব্যাংকসহ দেশি-বিদেশী বিশে^র বিখ্যাত অর্থনীতিবীদ, অর্থনৈতিক গবেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের উন্নযনের প্রশংসা করছে।
২০০৬ সালে দেশের দরীদ্র মানুষ ছিল ৪৩ ভাগ, আজ তা কমে ২২.৪ ভাগে নেমে এসেছে, দেশের হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১৭.৬ ভাগ থেকে ১১.৯ ভাগে নেমে এসেছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি’র সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ২০৩০ সালে দেশের হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ ভাগের নীচে নেমে আসবে। সরকার দেশের দারিদ্রতা দূর করতে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশে^র মধ্যে ২৮তম এবং ২০৫০ সালে ২৩তম অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশ। এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে সফল হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ২০০৫-২০০৬ সালে দেশের রপ্তানি ছিল ১০.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, রেমিটেন্স আসছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিপিডি সেখানে বাংলাদেশের উন্নয়ন খুজে পাচ্ছে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত গং. ঈযধৎষড়ঃঃধ ঝপযষুঃবৎ এর সাথে মত বিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে সিপিডি বিরোধি দলের হাতে অস্ত্র তুলে দিলো। যারা এক সময় বাংলাদেশকে বলতো-তলাবিহীন ঝুড়ি এবং বিশে^র দরিদ্র দেশের রোল মডেল। আজ তারাই বলছে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ^য়কর। সেখানে সিপিডি বাংলাদেশের উন্নয়ন খুজে পান না। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার দেশের তিন হাজার মে.ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে ১৬ হাজার ৪৩ মে.ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সফলতা দেখিয়েছে। দেশের ৮৩ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১৬১০ মার্কিন ডলার, দেশের মানুষের শিক্ষার হার ৭১ ভাগ, মানুষের গড় আয়ু ৭০.৩ বছর, জিডিপির প্রবৃদ্ধিও হার ৬ ভাগ থেকে বেড়ে ৭.২ ভাগ হয়েছে, দেশেই এখন প্রয়োজনের ৯৮ ভাগ ঔষধ উৎপাদিত হচ্ছে, বিশে^র ১২২টি দেশে বাংলাদেশের তৈরী ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে, দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মাসেতু নিজ অর্থে নির্মাণ করা হচ্ছে, অথচ সিপিডি দেশের উন্নয়ন খুজে পান না। বিএনপির বক্তব্যের সাথে সিপিডির বক্তব্যের কোন পার্থক্য নেই।
বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, অতিরিক্তসচিব মুন্সী শফিউল হক, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।