কোচিং বন্ধ হলে ১৫ লক্ষ শিক্ষিত যুবক বেকার হবে

0
639

বেলায়েত হোসেন‍ঃ ৩০শে জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাইন্সে কোচিং এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সংবাদ সম্মেলনে এ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মোঃ ইমদাদুল হক (ই হক স্যার) বলেন, কোচিং সেন্টারে প্রতি মাসে স্বল্প বেতন নিয়ে সব বিষয়ে পাঠদান করানো হয়। সবগুলো বিষয় বাসায় কোন শিক্ষক এর কাছে সেবা নিতে চাইলে অভিভাবকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। একজন সাধারন পরিবারের পক্ষে এত টাকা খরচ করা সম্ভব হয় না। ফলে তার সন্তান সঠিক ভাবে শিক্ষা সেবা না পেয়ে চুরান্ত পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারে না।

 

কচিং সেন্টার হলে ঔ সব ছাত্র-ছাত্রীরা অতি অল্প খরচে সবগুলো বিষয়ে ভাল শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। বর্তমানে এ পেশায় সঠিক জরিপ এখন পর্যন্ত না পেলেও সারাদেশে প্রায় লক্ষাধিক কোচিং সেন্টার বা সহায়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এক লক্ষাধিক কোচিং সেন্টারে ১০/১৫ জন করে শিক্ষক থাকলেও প্রায় ১০/১৫ লক্ষের মতো শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায় তাদের অন্ন সংস্থানের জন্য কর্ম করে থাকেন। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন যে, প্রশ্ন ফাস হয়নি অথচ কোচিং সেন্টারকে প্রশ্নপত্র ফাসের আখরা ঘোষনা দিয়ে কোচিং সেন্টারগুলোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কোচিং বন্ধের বিষয়টি শুধু আমাদেরকে নয় বরং সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলকে চিন্তিত ও উৎকন্ঠিত করেছে। এই উৎকন্ঠা থেকে আমরা মুক্তি কামনা করছি। আমাদের দাবিগুলো হচ্ছেঃ ১। কোচিং বন্ধ ঘোষনা প্রত্যাহার করতে হবে। ২। কোচিং এর স্বীকৃতি ও বৈধ নীতিমালা দিতে হবে। ৩। কোচিং এর ভ্যাট ১৫% থেকে কমিয়ে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ৪.৫% করতে হবে। ৪। কোচিং পরিচালিত ভাড়া করা বাসা বা বাড়ীর উপর অর্পিত ভ্যাট প্রদান বন্ধ করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + 6 =