নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলের এ ঘটনায় নিহত মোনালিসার (১২) বাবা শাহিন বেপারী বাদী হয়ে প্রতিবেশি সাঈদকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মোনালিসার বাবা ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বাংলা বাজার বড় আম বাগান এলাকার ব্যবসায়ী। স্থানীয় হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর ছিল মোনালিসা।
অভিযুক্ত সাঈদ একই এলাকার ইকবাল হোসাইনের ছেলে। নিহতের বাবা শাহিন বেপারী বলেন, শুক্রবার সকালে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে নিয়ে জরুরি প্রয়োজনে নরসিংদীতে শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। বিকেলে তাদের এক ভাড়াটিয়া তাকে ফোন করে জানান প্রতিবেশি সাঈদ তাদের বাসায় প্রবেশ করেছে। ওই সময় তিনি ওই ভাড়াটিয়াকে টেলিফোনটি মোনালিসাকে দিতে বললে সেই ভাড়াটিয়া তাদের বাসার দরজা অনেক সময় পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কি করলেও মোনালিসা দরজা খোলেনি।তিনি জানান, সন্ধ্যার পর বাসা থেকে সাঈদ বের হওয়ার সময় ভাড়াটে তাকে দেখে ফেলে এবং ওই বাসায় কেন গিয়েছে জানতে চাইলে সে তাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে ভাড়াটিয়া রবতন বেগম বাসার জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পান মোনালিসার দেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। শাহিন জানান, পরে দ্রুত তাকে নামিয়ে নারায়ণগঞ্জ দেড়শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় চিকিৎসকরা মোনালিসার গলায় আঙ্গুলের ছাপ এবং গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখেন। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন সমকালকে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাঈদকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।