সরকারই দায়ি খেলাপী ঋণ বাড়ার জন্য ‍: অর্থমন্ত্রী

0
590

রাষ্ট্রায়াত্ত সোনালী ব্যাংকের খেলাপী ঋণ অনেক বেশি। আর এ কারণেই ব্যাংকটির আগের শীর্ষ স্থান থেকে সরে গেছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।এক সময়ের দেশের শীর্ষ এই ব্যাংকটির আজকের অবস্থার জন্য সরকারকেই দায়ী করেন অর্থমন্ত্রী।তবে ব্যাংকটিকে এই পড়ন্ত অবস্থা থেকে ফিরিয়ে নিতে একগুচ্ছ পরামর্শও দেন মুহিত। শনিবার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে(আইডিইবি)রাষ্ট্রায়াত্ত সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমি বলেছিলাম-সোনালী ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক।

তবে আজ সে অবস্থানে তারা নেই। ব্যাংকটির ১২১১ টি শাখার মধ্যে লোকসানি শাখার সংখ্যা ১৮১টিরও বেশি। মন্ত্রী বলেন,অবশ্য এ লোকসানি শাখা বন্ধ করা কষ্টকর। জনগণ তাতে আপত্তি করে। এই অবস্থায় মহিতের পরামর্শ, যেখানে লোকসানি শাখাটি আছে তার স্থান পরিবর্তন করে সমান এরিয়া হয়ত কভার করা যেতে পারে। অর্থাৎ লোকসানি শাখাগুলো বন্ধ না করে শাখার অবস্থান পরিবর্তন করে ব্যাংকটির অবস্থা পরিবর্তনে একটি পরীক্ষা চালানোর পরামর্শ দেন মুহিত। তিনি আরো বলেন, আমার বক্তব্য ৩ টি। প্রথমটি উনি (চেয়ারম্যান) যে প্রস্তাব দিয়েছেন তার কোনো উত্তর আজ দিতে পারব না। তবে সহানুভূতি ও সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা বিবেচনা করবো। দ্বিতীয়ত,ব্যাংক যখন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন-সেটার বিশ্লেষণটা যতদুর সম্ভব ভালো করা দরকার। কারণ প্রকল্পের পরিকল্পনাই ভবিষ্যত নির্ভর করে এবং স্বার্থক হবে কিনা সেটা বোঝা যায়। অর্থমন্ত্রী বলেন,আরেকটি দোষ তাদের আছে-সেটা হলো ক্লাসিফাইড লোন বেশি। এটা জন্য সরকারও কিছুটা দায়ী।কিছুটা কেওয়াইসি দায়ি।আমরা দায়ী। এদিকে সোনালী ব্যাংককে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। সোনালী ব্যাংকের ডিপোজিট ঋণ রেসিও (ঋণ-আমানতের হার) অত্যন্ত ক্ষতিকারক, সেটা হয়ত হবে না। এটা বিশ্বাসই করা যায়-তাদের ডিপোজিট ঋণ রেসিও হচ্ছে সাম থিংক লাইক ৩৮ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী বলেন,একটু আগে চেয়ারম্যান সাহেব বলে গেলেন-তারা শীর্ষ স্থান পেতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি চাইবো তাদের প্রচেষ্টা স্বার্থক হোক। আমি বলেছিলাম-সোনালি ব্যাংক আর্দশ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। হবে না, আমি জানি ২০১৯ সালে হবে না।তবে আমি বিশ্বাস করতে চাই হবে। এসময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মো.আশরাফুল মকবুল,ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × five =