জেনে নিন ব্রণ দুর করতে কি করনীয়

0
662

সারা মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য কয়েকটা ব্রণই যথেষ্ট। ছেলে মেয়ে সবাই মাঝে মধ্যেই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এটা নিয়ে কতো টেনশন, এই ঔষুধ, ফেইস প্যাক, মাস্ক কতো রুপচর্চাই না চলতে থাকে। আবার অনেকেই আছেন রূপচর্চা করার সময় পান না বলে মুখে বিশ্রী ব্রণ নিয়েই ঘুরতে থাকেন। আচ্ছা রূপচর্চা করার সময় আপনার নেই সেটা মানলাম।

কিন্তু খাওয়ার সময় তো আছে নাকি? তাহলে আসুন খাবার খেয়েই দূর করি ব্রণ। অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছুই নেই কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়ম করে খেলেই আপনাকে আর আলাদাভাবে ব্রণের জন্য রূপচর্চা করতে হবে না। কোন কোন খাবার খেলে আপনার ব্রণ চলে যাবে যে ব্যাপারে আমাদের জানাবেন, সায়মা জামান, বিউটি এক্সপার্ট, সায়মা বিউটি পার্লার।

শসা: শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, পানি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। ত্বকে জন্মানো ব্রণের ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে ব্রণের সমস্যার সমাধান করে। শসার জুসেও সমান উপকার পাওয়া সম্ভব এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।

সবুজ শাক: সবুজ শাক হজমক্রিয়া সহজ করে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব কমায়। আমাদের খাওয়ার তালিকায় সবুজ শাক যেমন- লেটুস, পালংশাক, বাঁধাকপি, ডাটা শাক ইত্যাদি থাকা জরুরি। এসব শাক হজমের ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যার সমাধান করে।

মাছ: ব্রণ প্রতিরোধ করে এমন খাবারগুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। মাছে আছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই এসিড আমাদের দেহের ইনফ্লামমেশন দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে। যা ব্রণ হবার প্রবণতা হ্রাস করে থাকে।

বাদাম: বাদামে সেলিয়াম, ভিটামিন ই, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন আছে। যা ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার রোধ করে থাকে। বাদাম বিশেষ করে কাজুবাদাম ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। প্রতিদিন কিছু পরিমাণে বাদাম খাওয়া অভ্যাস আপনাকে দিবে ব্রণ মুক্ত স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বক।

টমেটো: টমেটোতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ব্রণের সমস্যার সমাধানে কাজ করে। এছাড়াও টমেটোর বায়োফ্লেভানয়েডস ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের কোষ সুস্থ করে। এতে করে ত্বকে ব্রণের জন্য সৃষ্ট ক্ষতের দাগ দূর হয়।

লাল আঙুর: আঙুর আমাদের সবার অনেক পছন্দের ফল। লাল আঙ্গুরে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের প্রদাহ রোধ করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে থাকে। শুধু লাল আঙ্গুর না এর বীচিও অনেক বেশি পুষ্টিদায়ক। এছাড়া লাল আঙুরে ত্বকের অ্যালার্জি রোধ করে থাকে।

রসুন: ওজন কমাতে বা হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে রসুনের গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই রসুন যে ব্রণ রোধ করতে সাহায্য করে থাকে তা কি আমরা জানি? রসুনে আমাদের দেহের ইনফ্লামামেশন দূর করে ব্রণ প্রতিরোধ করে থাকে। রসুনে ‘এলিসিন’ নামক উপাদান আছে যা আমাদের দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বকের সমস্যাও দূর করে থাকে।

ব্রোকলি: নিখুঁত ত্বক পেতে ব্রোকলির জুড়ি নেই। এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে আছে। এই অ্যান্টিআক্সিডেন্ট ত্বকের র্যাবডিকেল সংক্রান্ত ক্ষতি দূর করে ত্বককে নিয়ে আসে একটা আলাদা উজ্জ্বলতা।

গ্রিন টি: ব্রণ দূর করতে প্রতিদিন অন্তত এককাপ গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করুন। গ্রিন টি দেহের টক্সিক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল দেহে খুব সহজে হজম হয় এবং ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। ব্রণের সমস্যা সমাধানেও অলিভ অয়েলের ভূমিকা অপরিসীম।

বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খাবার: কমলা, মরিচ, গাজর ও মিষ্টি আলুতে আছে বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। যার ফলে শরীরে সেলেনিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে যা ত্বকের জন্য উপকারী। দিনে আধা কাপ হলেও এসব বিটা ক্যারোটিন জাতীয় বা লাল, হলুদ ও সবুজ বর্ণের সবজি খাবেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 + 11 =