শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

0
513

সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত (গ্রেপ্তার, আটক বা পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া) বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের তালিকা দিতে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ওই সব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কেও জানাতে বলা হয়েছে। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছে চিঠি দিয়ে সাত দিনের মধ্যে ওই সব তথ্য দিতে বলেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নামের তালিকা পাওয়ার পর কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে এমপিও (বেতন বাবদ মাসিক সরকারি অনুদান) বাতিল, স্থগিত বা বরখাস্তের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে চলাকালে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পারেনি সরকার। ১৭ দিন লিখিত পরীক্ষা ছিল। এর মধ্যে ১২ দিনে আবশ্যিকসহ ১২টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, যা প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেকর্ড। পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ছড়ানো, পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র কেন্দ্র থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়াসহ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্র, শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি মিলিয়ে দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছিল।

প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রশাসনিক কমিটির দ্বিতীয় সভা

এদিকে এসএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে উচ্চ আদালতের করে দেওয়া প্রশাসনিক কমিটি রোববার দ্বিতীয় সভা করেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা। এদিন কমিটির সদস্যরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরিদর্শন করেন। কমিটির প্রথম সভা হয় ৬ মার্চ। এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত বিচারিক ও প্রশাসনিক নামে দুটি কমিটি করে দেন। প্রশাসনিক কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বুয়েটের অধ্যাপক মো. কায়কোবাদ। অন্য কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − one =