পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান খন্দকার ও তার স্ত্রী মনোয়ারা খানমের নামে ভূমি দস্যু ও জাল দলিলের অভিযোগ?

0
1257

স্টাফ রিপোর্টর
কিশোরগঞ্জ জেলা সদর ৪১/১ গাইটাল এর বাসিন্দা আনিছুর রহমান খন্দকার পিতা মৃত মতিউর রহমান খন্দকার ও স্ত্রী মনোয়ারা খানমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কিশোরগঞ্জ এর নিকট অভিযোগ দায়ের করেন বাদী আঃ সাত্তার, আঃ জলিল, আঃ মান্নান, মুর্শিদা আক্তার ও রাশিদা আক্তার সর্ব পিতা মৃত আঃ রাশিদ সাং-৪১ গাইটাল- কিশোরগঞ্জ। অভিযোগে উল্লেখ আছে বাদীগন দীর্ঘ ৬৪ বৎসর উর্ধ্বকাল যাবৎ জায়গা ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। সেখানে বাদীগনের পিতাঃ মাতার পারিবারিক কবরস্থান বিদ্যমান আছে। বিগত মাঠ জরিপে দাবীর ভূমির আর, এস, রেকর্ড ৫২৫০,১১৪৭০ নং আর, এস খতিয়ানে আবুল কাশেম ও আঃ মান্নান নামে ভ্রমাতœক ভাবে লিপিবদ্ধ হইয়া যায়। অতপর আর, এস, রেকর্ড চুরান্ত প্রচারিত হইলে বাদী পক্ষ ভ্রমাতœক আর, এস রেকর্ড সম্পর্কে অবগত হইয়া কিশোরগঞ্জ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে মোকদ্দমা করেন মোকদ্দমা নং ২৮/২০১৩। কিন্ত দুর্লোভী ভূমি দস্যু আনিছুর রহমান খন্দকার ও স্ত্রী মনোয়ারা খানম লোভের বশবতী হয়ে কিছু দলিলের ফটোকপি যোগাড় করিয়া আঃ আহাদ খান ও কমর সুলতানা খান নামে জাল দস্তখত করিয়া ১৯৫৩ (৯-১)১৩-১৪ নং জমা খারিজ মোকদ্দমার দরখাস্ত দাখিল করিয়া বাদী পক্ষের অজ্ঞাতে ও অসাক্ষাতে জমা খরিজ মোকদ্দমা সংশিষ্ঠ কর্মকর্তা কর্মচারীগন এর সাথে যোগ সাজশ করিয়া অতি গোপনে অতি কৌশলে ১৯৫৩ (৯৩)১৩-১৪ নং জমা খারিজ ভ্রমাতœক ভাবে মুঞ্জর করাইয়া নেয়। অতপর দরখাস্তকারী কমর সুলতানা খান নামে ৭০(১৩) ১৩-১৪ নং বিবিধ মোকদ্দমাটিতে কমর সুলতানা খান এর দস্তখত আনিছুর রহমান খন্দকার জাল করিয়া স্বহস্তে লিখিয়া দাখিল করে এবং আনিছুর রহমান কমর সুলতানার দেবর সাজিয়া উক্ত মোকাদ্দমার নোটিশ গ্রহন করিয়া শুননী

কালে আনিছুর রহমান খন্দকার কমর সুলতানা খান এর ভাই সাজিয়া হাজিরা দাখিল করিয়া হাজির হইয়া ৭০(১৩) ১৬-১৭ বিবিধ মোকাদ্দমাটি মঞ্জুর করাইয়া নেয়। পরবর্তীতে আনিুছুর রহমান খন্দকার ও স্ত্রী মনোয়ারা খানম নালিশী ভূমির একটি জাল দলিল সৃজন করিয়া ৪৪১৪(৯-১)১৬-১৭ নং জমা খারিজ মোকদ্দমা দাখিল করে। পরে কিশোরগঞ্জ পৌর ভূমি অফিসের অতি উৎসাহী ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন সহকারী কর্মকর্তা দলিলের ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা না করিয়া ভূমির দখলের বিষয়ে কোন খোজ খবর না নিয়া আনিছুর রহমান খন্দকার ও মনোয়ারা খানমের সঙ্গে যোগসাজশ করিয়া বাদী পক্ষের অজ্ঞাতে ও অসাক্ষাতে অতি গোপনে অতি কৌশলে মনগড়া প্রতিবেদন তৈরী করিয়া ৪৪১৪(৯-১)১৬-১৭ নং জমা খারিজ মোকদ্দমাটি ভ্রমাতœক ভাবে মঞ্জুর করাইয়া নেয়। দাবীর ভূমি সারেজমিনে তদন্ত করিলে দখলের বিষয় সঠিক প্রমাণ হবে এবং ১৯৫৩(৯-১)১৩-১৪ নং জমা খারিজ মোকদ্দমা নং ৭০(১৩)১৬-১৭ এর নথি পর্যালোচনা করিলেই আনিছুর রহমান খন্দকার ও মনোয়ারা খানমের বিভিন্ন ছলচাতুরী ও নথি সমূহের দস্তখত জাল করার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যাইবে।১৯৫৩ (৯-১)১৩-১৪ ও ৭০(১৩)১৬-১৭ নং মোকদ্দমার দরখাস্তকারী হিসাবে উল্লেখিত আঃ আহাদ খান ও কমর সুলতানা খান সাং-চপই, থানা-নান্দাইল, জেলা ময়মনসিংহ ঠিকানায় কোন ব্যক্তি নাই ঐ সকল নাম আনিছুর রহমান খন্দকার ও মনোয়ারা খানমের মনগড়া মতে সৃজন করা। নালিশী ভূমি নিয়া হোসেনপুর বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মোকাদ্দমা নং-১২৭/২০১৬ বাটুয়ারী, বিজ্ঞ ২য় যুগ্ন জেলা জজ আদালত মোকদ্দমা নং ১৪৮/২০১৬৫ অন্য আপিল, বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মোকদ্দমা নং ২৮/২০১৩ বিচারাধীন আছে। আনিছুর রহমান খন্দকার ও মনোয়ারা খানমের সৃজন করা দলিল নং ২৩৯ তাং-০৮-০১-২০১৭ ইং। এই আনিছুর রহমানের নামে গত ২০শে আগষ্ট জাতীয় সাপ্তাহিক অবদান পত্রিকার ১ম পাতায় তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের খবর ছাপা হয়। তখন আনিছুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলায় কটিয়াদী থানা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত ছিলেন। খবর ছাপা হওয়ার পর তাকে সুনামগঞ্জ জেলায় বদলী করা হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। আনিছুর রহমান বতর্মানে সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত আছে বলে জানা যায়। আগামীতে আরও তথ্য নিয়ে আসছি আমাদের সঙ্গে থাকুন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

six + 7 =