গাজীপুরের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের শিক্ষা ফাউন্ডেশনের অর্থের উৎস্য রহস্যাবৃত্ত জনমনে জিজ্ঞাস্য

0
2258

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
গাজীপুরের অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনে শাসক দলের মেয়র পদপ্রার্থী। প্রচারণা রয়েছে, তার রয়েছে ৩২০ জনের একটি দল। এই দলের সদস্যরা গাজীপুরের বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সহকারী হিসেবে কাজ করে থাকেন বলে জানা গেছে। গাজীপুরে ওই দলের সদস্যরা জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন “ট্রাফিক সহকারী” নামে পরিচিত। তাঁদের প্রত্যেকের নূন্যতম বেতন ১০ হাজার টাকা করে। মাথাপিছু এই বেতন ধরলে মাসিক বেতন হিসেবে খরচ হয় ৩২ লাখ টাকা। এই টাকা প্রদান করে আলোচিত জাহাঙ্গীর আলমের “শিক্ষা ফাউন্ডেশন”।


এ সংক্রান্তে জাহাঙ্গীর আলম এক সময় বলেছিলেন, এই সড়ক-পরিসেবায় তাঁর প্রতি মাসে খরচ হয় ৫০ লাখ টাকার বেশী। জাহাঙ্গীর আলমের ভাষ্যমতে, গত চার মাসে দুই কোটি টাকার ওপর তাঁর খরচ হয়েছে। এক বছর এই সেবা চালু রাখলে তাঁর খরচ হবে ৬ কোটি টাকা। তাঁর কথা যদি অসত্য না হয় তবে “শিক্ষা ফাউন্ডেশন” এর অর্থের উৎস্য কি তা জানা যায়নি। প্রকৃত অর্থে এই অর্থের উৎস্য রহস্যাবৃত্ত। নির্বাচনের হলফনামাতেও রহস্যজনকভাবে কথিত “শিক্ষা ফাউন্ডেশন”র কথা উল্লেখ করেননি জাহাঙ্গীর আলম। জনমনে প্রশ্ন, তার সেবামূলক কথিত প্রতিষ্ঠানটির বিপুল অর্থ কোথা থেকে আসে, কীভাবে ব্যয় হয়, সে সম্পর্কে হলফনামায় কিছুই উল্লেখ করেননি তিনি। অবশ্য তাঁর দাবি, এই অর্থ তিনি দান করেছেন। তাই উল্লেখ করেননি।
জাহাঙ্গীর আলম “শিক্ষা ফাউন্ডেশন”র অধীনে কেবল ‘ট্রাফিক সহকারী’ রয়েছেন তা-ই নয়। এই ফাউন্ডেশনের আওতায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছেন তিনি। জাহাঙ্গীর বলেছেন, তিনি চলতি বছর ১০ কোটি টাকার বৃত্তি দিয়েছেন। এ ছাড়া ১০০টি ল্যাপটপ দিয়েছেন, নিজ খরচে বিদেশে পর্যন্ত পাঠিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থীকে।


অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি থাকলেও ৫৭টি ওয়ার্ড কমিটি শূন্য। তবে ওয়ার্ডগুলোকে সক্রিয় জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন। দলীয় লোক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, নারী এই চার ক্যাটাগরিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীরের নিজস্ব একটি করে কমিটি আছে। অনেকেই এদের ‘জাহাঙ্গীর লীগ‘র সদস্য বলে থাকেন। উক্ত কমিটিগুলো পরিচালনা করতে তার খরচ হয় কোটি কোটি টাকা। এই তথ্যও হলফনামায় নেই। অর্থাৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ট্রাফিক সহকারী ও বৃত্তি বাবদ খরচ করেছেন আনুমানিক ১২ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও কয়েক কোটি টাকা ফাউন্ডেশন থেকে ব্যয় করা হয়েছে।


মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের জমা দেওয়া হলফনামা প্রকাশের পর থেকে গাজীপুরে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিকেও এই ব্যাপারে সরব বলে মনে হচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলমের আলোচিত উক্ত ফাউন্ডেশনের বিষয়টি গাজীপুরবাসীর সবারই জানা। এ কারণে তাঁর প্রতিপক্ষরা বলছেন, হলফনামায় ওই তথ্য না থাকাটা নির্বাচনী আইন ভঙ্গের শামিল। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’ ফাউন্ডেশনের আয়-ব্যয়ের তথ্যে গড়মিল নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এগুলো আমি দান করছি। তাই হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।’ এসব ব্যয়ের অর্থ তিনি পারিবারিকভাবে পান বলেও জানান। তিনি দাবি করেন, ১৮ বছর ধরে নানা ধরনের দান ও সহায়তামূলক কাজ তিনি করে চলেছেন।


তার প্রদত্ত হলফনামা অনুযায়ী জাহাঙ্গীরের স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১,৫৩৬ শতাংশ জমি। এর মধ্যে কৃষিজমি ১, ৪৯৫.১৫ শতাংশ, অকৃষি জমি ৩৩.৭১ শতাংশ। আবাসিক, বাণিজ্যিক জমি ৭.৪৩ শতাংশ। জমি বিক্রির জন্য বায়না বাবদ নেওয়া ৮ কোটি টাকাকে ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালেও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন জাহাঙ্গীর আলম। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। ওই সময় হলফনামা অনুযায়ী তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। বর্তমানে তাঁর বার্ষিক আয় ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ১ লাখ ৫০ হাজার, বাড়িভাড়া ৪ লাখ ৩০ হাজার, ব্যবসা থেকে ৯৪ লাখ ২০ হাজার ও অপ্রদর্শিত ১ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছিলেন। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ আছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ব্যাংকে তাঁর ব্যবসার পুঁজি জমা ছিলো ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭১ টাকা। ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন ৭৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৭ টাকা। সঞ্চয়পত্র ছিলো ১০ লাখ টাকার। এ ছাড়া তাঁর দুটি গাড়ি, একটি বন্দুক, একটি পিস্তল আছে। জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন ম-লের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ওই প্রার্থীর ব্যয়ের হিসাবের অসামঞ্জস্যের ব্যাপারে কেউ সুস্পষ্ট তথ্য দিলে বা অভিযোগ করলে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


জাহাঙ্গীর আলমের গাজীপুরে অবস্থান রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের কাতারে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বর্তমানে আতঙ্কজনক অবস্থায়। ফলে রাজনীতি আর প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। মোদ্দা কথা হাইজাক হয়ে গেছে। গাজীপুরের রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত হিসেবে খ্যাত জাহাঙ্গীর আলম গত নির্বাচনে শাসক দল আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়াটাও রহস্যজনক। মনোনয়ন প্রত্যাশী যোগ্য বেশ কয়েকজন এই মনোনয়নের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হলেও দলীয় স্বার্থে ও নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের চিন্তা করে মনোকষ্ট নিয়ে জাহাঙ্গীর পক্ষে লোকদেখানে কাজ করছেন বলে বেশকিছু তথ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে।
সামান্য ঠোঙ্গা বিক্রেতা থেকে আজ বিশাল বৃত্তের মালিক আলোচিত জাহাঙ্গীর আলম। সূত্রে জানা যায়, নিজ দল যখন সরকারে ছিলো না তখন তিনি চার দলীয় জোট সরকারের ক্ষমতাধর লোকদের দালালী ও তদবির করতেন। সেসময় তার বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ ছিলো, তিনি নারী সরবরাহের মতো নিকৃষ্টতম পেশাতেও জড়িত ছিলেন। অনেক ক্ষমতাধরদের মন যুগিয়ে কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদ ও জমির মালিক হয়েছেন। ইতোপূর্বে তার এসকল অপকর্ম প্রচারবহুল অনেক পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করে। তার ওই সকল অপকর্ম ঢাকতে এবং নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রচারণা চালাতে গাজীপুর এলাকায় অগণিত ব্যানার ফেষ্টুন বিলবোর্ড টাঙ্গান। এর পিছনে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। বিএনপি জোট সরকারের আমলে জেএমবির অনেক নেতা কর্মীদেরকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করার খবরও ইতোপূর্বে আলোচিত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় এসেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বোমা তৈরির সরঞ্জামও জাহাঙ্গীর সরবরাহ করতেন এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে আটকও করেছে বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ। সে থেকেই গাজীপুর এলাকায় তিনি জেএমবি নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর আলমের অর্থবিত্ত নিয়ে এলাকাবাসীর অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তার কোটিপতি হবার রহস্যের খোঁজখবর নিতে যেয়ে জয়দেবপুরবাসী থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসা, ব্লাকমেইলিং এবং অস্ত্রবাজি করে নিরীহ মানুষের সহায় সম্বল হাতিয়ে নিয়ে প্রচুর বিত্তের মালিক হয়েছেন তিনি। অতি স্বল্প সময়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি সরকারের আমলে জেএমবির কাছে বিষ্ফোরক সাপ্লাইয়ের কাজ করতেন জাহাঙ্গীর। এ বিষ্ফোরক নিয়ে পুলিশের হাতেও আটক হন তিনি।
হঠাৎ কোটিপতি জাহাঙ্গীরের বিষয়ে এলাকাবাসি থেকে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাকে অগণিতবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে অপরাধ বিচিত্রার পক্ষ থেকে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হলো না।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পূণঃরায় পাঠক সমীপে হুবহু তুলে ধরা হলো
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অধ্যক্ষের কার্যালয়
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ, গাজীপুর।
স্মারক নং-ঃ ৬ ক/১(দ:), তারিখ-১৩/৫/৯৮ ইং
প্রেরক: অধ্যক্ষ, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ, গাজীপুর।
প্রাপক: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক: মাদ্রাসা রোর্ড, ঢাকা।
জনাব,
আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথমবর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পিতা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সম্পর্কে নিন্মবর্ণিত অভিযোগ সমূহ উত্থাপিত হইয়াছে।
১। সে ১৯৯৪ সনে লোহাবৈ বনকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভালুকা কেন্দ্র থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার পরীক্ষার রোল নম্বর ৬১৭৬৩৮, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৮৪১৭৯, সন ১৯৯২ ইং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষবোর্ড, ঢাকা। কিন্তু অভিযোগ যে, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সে তার মামার দোকানে নিয়মিত চাকুরীরত ছিল এবং নিজে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে অন্যের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে (মার্কসিটের ফটোকপি সংযুক্ত)।
২। সে ১৯৯৬ সনে কাহারোল সিনিয়র মাদ্রাসা হতে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ঢাকার অধীন আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার পরীক্ষার রোল নম্বর খেতাব ৪৬৮৪৯, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ৩০১৭৮, শিক্ষাবর্ষ ১৯৯৪-১৯৯৫। অভিযোগ যে, সে মাদ্রাসার সাথে যোগসাজস করে কেন্দ্রে অনুপস্থিত থেকে আলিম পরীক্ষা অন্যের মাধ্যমে দিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে, (মার্কসিটের ফটোকপি সংযুক্ত)। উক্ত পরীক্ষার সময়ও সে তার মামার দোকানে নিয়মিত চাকুরী করিত।
৩। সে ১৯৯৬ইং সনে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে গাজীপুর-১ ঢাকা কেন্দ্র থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তার রোল নম্বর গাজীপুর-১-নং ৩২৮৫৪৬, রেজিষ্ট্রেশন নং ০৫২২০৯/৯৪-৯৫।
৪। সে ১৯৯৭ সনে ময়মনসিংহ থেকে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষ দিয়েছে এবং ১৯৯৮ সনে ঢাকা বোর্ডের অধীনে কোন এক কেন্দ্র থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অবত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে (তথ্য সংগৃহীত)।
এ সকল ব্যবস্থা ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১ম বর্ষ মাস্টারস শ্রেণীর ছাত্র মোস্তফা কামাল (মুকুল) এর মাধ্যমে করেছে। মোস্তফা কামাল বিভিন্ন ছেলেকে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে দেয় (তথ্য সংগৃহীত)। সে এ অঞ্চলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নামে খ্যাত।
অতএব, জাহাঙ্গীর আলমের বিভিন্ন পরীক্ষার খাতা সমুহ পরষ্পর মিলিয়ে দেখে বা পরীক্ষার খাতা ও তার সিগনেচার সীটের হাতের লেখা এবং তার নিজস্ব হাতের লেখা সংগ্রহ করে তার সাথে মিলিয়ে দেখে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে এবং এ সকল চক্রের সাথে জড়িত বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
অনুলিপিঃ অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
১। সচিব, শিক্ষামন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ, ঢাকা।
২। মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা।
৩। জেলা প্রশাসক, গাজীপুর।
৪। সংরক্ষণ নথি।
ভাওয়াল বদরেআলম সরকারী কলেজ, গাজীপুর।
উপোরক্ত অভিযোগটি প্রমান করে জাহাঙ্গীরের জালিয়াতির মহানায়ক। যিনি ছাত্রজীবন থেকেই জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, যিনি জীবনের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই শঠতার আশ্রয় নিয়ে কাজ কারবার করেন তার কাছে জনগণের স্বার্থ কতটুকু সংরক্ষিত হবে, এটাই জনমনের জিজ্ঞাস্য।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ঝুট ব্যবসার জন্য অস্ত্রবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগ অগণিত। তার সম্পর্কে ইতোপুর্বেও দেশের জনপ্রিয় প্রচারবহুল পত্রিকাগুলোতে অনেক সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two + 7 =