২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্সে প্রদত্ত মাননীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য

0
762
বিস্মিল্লাহির রহমানির রহিম
সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুগণ
আমার আমন্ত্রণে আজ এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রথমেই আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সেই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে নিহত সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি ।
আমি ৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে নিহত চার জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ৩০ লাখ শহিদ যাঁদের আত্মত্যাগ এবং ২ লাখ মা-বোন যাঁরা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ
আগামী ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন ছিল সকলের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেরও অন্যতম লক্ষ্য ছিল শোষন-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক ন্যায়বিচার পাবেন। সেজন্যই জাতির পিতার উপহার দেওয়া সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার কথা সন্নিবেশ করা হয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্ন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল,সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচার প্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করার জন্য ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ প্রণয়ন করে। শুধু তাই নয়, এই আইনের আওতায় সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার একই বছর ‘‘জাতীয় আইনগত সহায়তা  প্রদান সংস্থা’’ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে।
 কিন্তু ২০০১ সালের পর যে সরকার ক্ষমতায় ছিল তাদের অনীহার কারণে এই আইন বাস্তবায়নের কার্যক্রম থমকে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে উক্ত আইনের বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে বেগবান ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয় কতিপয় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। কার্যকর করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে। উক্ত সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে গঠন করা হয় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির পাশাপাশি  উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং চৌকি আদালতসহ সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা  প্রদান সংস্থা সারাদেশে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা  করে যাচ্ছে।
এছাড়া দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ২০১৩ সালে ঢাকার শ্রম আদালতে ও ২০১৬ সালে চট্টগ্রামস্থ শ্রম আদালতে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল স্থাপন করে সেখানে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল শ্রম আদালতে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল স্থাপন করবো। আমরা প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করেছি এবং লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে কার্যকর, গতিশীল ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে সেখানে সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজ পদমর্যাদার বিচারককে পদায়ন করা হচ্ছে। তারা আইনগত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ প্রদান এবং পক্ষগণের মধ্যেকার বিরোধ বা মামলা বিকল্প বিরোধ পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করছেন।
সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুগণ
বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিক উদ্যোগের ফলে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ২ লক্ষ ১ হাজার ১২৫ জনকে সরকারি খরচে মামলা দায়ের করতে আইনজীবী নিয়োগসহ প্রাসঙ্গিক সকল ব্যয় নির্বাহ করতে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩ হাজার ১৫৪ জন নারী, ৯৭ হাজার ৪৪২ জন পুরুষ এবং ৫২৯ জন শিশু। বর্তমান সরকার ২০১৫ সালে আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিধিমালা প্রণয়ন করে লিগ্যাল এইড অফিসারগণকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির আইনগত ক্ষমতা প্রদান করেছে এবং এই ক্ষমতাবলে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারগণ পূর্ব বিরোধ (প্রি-কেইস) এবং চলমান মামলায় (পোস্ট কেইস) মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে ২০১৫ সালের জুলাই মাস হতে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৯৭ টি (প্রি কেইস+পোস্ট কেইস) বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৬ হাজার ৯১৫ জনকে সরকারি আইনি সহায়তা প্রদান করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষগণের আইনগত দাবী/পাওনার প্রেক্ষিতে মধ্যস্থতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ ৯ হাজার ৪৫৪ টাকা আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির জন্য ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ৮৯এ ধারা সংশোধন করে আদালত সমূহ থেকে সংশ্লিষ্ট  জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের নিকট মামলা পাঠানোর ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে।
আপনারা জানেন, গত ২৮ এপ্রিল, ২০১৬ তারিখে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন -১৬৪৩০”এর শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই উক্ত টোল ফ্রী ১৬৪৩০ হেল্পলাইন নম্বরে সারা দেশ হতে বিপুল সংখ্যক অসহায় ও সাধারণ মানুষ আইনি পরামর্শ ও তথ্যের জন্য ফোন কল করে যাচ্ছে। বর্তমানে এ কলসেন্টার থেকে অফিস চলাকালীন আইনগত পরামর্শ, তথ্যসেবা ও লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা নারী ৭ হাজার ৮৮৫ জন এবং পুরুষ ১৮ হাজার ৩ জন। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পারিবারিক, দেওয়ানী, ফৌজদারীসহ বিভিন্ন আইনগত বিষয়ে সর্বমোট ৩০ হাজার ৯৪৫ জনকে আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৭৮০ জন নারী এবং ১২ হাজার ১৬৫ জন পুরুষ।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্টে ৭৭১ টি মামলা দায়ের ও পরিচালনায় সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানসহ  ৩ হাজার ১৯ জনকে আইনি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রম আদালতে স্থাপিত দু’টি শ্রমিক আইন সহায়তা সেল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজার ৪২৭ জনকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নোটিশের মাধ্যমে ৪৩৫টি বিরোধ বিকল্প পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি পঁচিশ লক্ষ একাশি হাজার একশত ঊননব্বই টাকা আদায় করা হয়েছে। এভাবে ২০০৯ থেকে মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত সারাদেশে সর্বমোট ৩ লাখ ৫৯৮ জনকে সরকারি আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে ।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিপুল অর্থ ব্যয়ে আমরা আইনগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষ ছাড়াও এসিডদগ্ধ নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা, বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, পাচারকৃত নারী বা শিশুসহ নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অক্ষম যেকোনো নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থ ব্যয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়।
আমি মনে করি, সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন জনসচেতনতা। সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য নির্ভর করছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও জনমত সৃষ্টির উপর। এখনও এদেশের জনগণের একটি অংশ দরিদ্র ও নিরক্ষর। এই দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগণ তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে ততটা সচেতন নয়। দেশের আপামর জনসাধারণের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার সাথে সাথে দরিদ্র ,অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত নাগরিককে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকার “আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০” কার্যকরের তারিখ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল কে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে ২৮ এপ্রিল জাতীয়ভাবে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। বিগত বছর গুলোর মতো এবছরও জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্যটি হলো  :
‘‘উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ
লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ’’।
অর্থাৎ দেশের দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকসহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের আইনি অধিকার নিশ্চিত করতে সারাদেশব্যাপী সরকারের এই মহৎ সেবা তথা সরকারি আইনি সেবার সুফল পৌঁছে দেওয়াই এই প্রতিপাদ্যের তাৎপর্য।
আমরা মূলত নি¤œবর্ণিত উদ্দেশ্যে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উদযাপন করছি:
১. সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা;
২. দরিদ্র ও অসহায় জনগণের ন্যায় বিচারে সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা;
৩. জনগণকে আইনগত অধিকার বিষয়ে সচেতন করা;
৪. সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম আরো কার্যকর, বিস্তৃত ও শক্তিশালী করা;
৫. সরকারি ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (এনজিও) যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আইন সহায়তা কার্যক্রম আরো গতিশীল ও কার্যকরী করা।
৬. লিগ্যাল এইড অফিসারের মধ্যস্থতায় গতানুগতিক আইনি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা ও দীর্ঘসূত্রিতা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বিকল্প উপায়ে বিরোধীয় পক্ষগণের মধ্যকার বিরোধ বা মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করে লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘এডিআর কর্ণার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকারি আইনি সেবা প্রচার ও প্রসার ঘটানো।
এই উদ্দেশ্য গুলোকে সামনে রেখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে আগামী ২৮ এপ্রিল সারাদেশে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনের জন্য জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানসহ লিগ্যাল এইড মেলা আগামী ২৮ই এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকায় ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, আলোচনাসভা, রক্তদান কর্মসূচী,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদপত্রে আইনগত সহায়তা বিষয়ক ক্রোড়পত্র ও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে এবং রেডিও-টেলিভিশনে আইনগত সহায়তা সংক্রান্ত টকশো, মুক্ত আলোচনা ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের আয়োজন করা হয়েছে।
‘জেলা পর্যায়ে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ এর যাবতীয় অনুষ্ঠানমালা বাস্তবায়ন করবে। দিবস পালন সংক্রান্ত অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির পক্ষে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন। এটি একটি সরকারি কর্মসূচী বিধায় দিবস পালন সংক্রান্ত প্রতিটি অনুষ্ঠানমালায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা কারাগার, মহিলা সংস্থা ও জেলা তথ্য অফিসের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে দিবসটি পালনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রত্যেক বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর  পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আগামী ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা দিবসটির উদ্দেশ্য সফল করতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পরিশেষে আমার আমন্ত্রণে আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে আপনাদের আন্তরিক উপস্থিতির জন্য আবারও আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 + 18 =