শ্রীনগর থানার ওসি আলমগীরের কারিশমায় অভিযোগকারী ছাত্রদল নেতাকে আসামী বানিয়ে কোর্টে প্রেরণ

0
906

স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর থানার ওসি আলমগীর হোসেনের কারিশমায় এক ছাত্রদল নেতা সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে থানায় অভিযোগ দিতে আসলে উল্টো তাকেই মামলার আসামী বানিয়ে কোর্টে প্রেরন করা হয়। ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে ওসি আলমগীর হোসেন এমন কান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওসির বদলি অর্ডার হয়ে গেছে বিধায়ে সে টাকা নেশায় একটার পর একটা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে কোর্টে চালান দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এতে শ্রীনগরের শান্তিকামী মানুষের মধ্যে ওসি আলমগীর নামের এক ভয়ংকর আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের জজ পাড়া এলাকায় মতিউর রহমানের ছেলে নাছির (৫৫) এর নেতৃত্বে ওই এলাকার ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন খান রুবেলের বাড়িঘরে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা এসময় ঘরবাড়ী ভাংচুরসহ স্বর্নালংকার, টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়। রুবেল এঘটনায় অভিযোগ করতে গেলে থানায় পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহন না করে উল্টো সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাকে বন্দি করে পাশবিক নির্যাতন করে তার নামে মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করে। পরে রুবেলের মা হাসিয়া বেগম বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করে। যাহার নং-১৪৭/১৮।
ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা সাহাবুদ্দিন খান রুবেলে মা হাসিয়া বেগম (৬৫) কান্নাজড়িত কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৭ জুন উপজেলার ষোলঘর বাজারে আমার ছোট ছেলে রুবেলের সাথে একই এলাকার বাদলের সাথে ঝগড়া ও হাতা হাতির ঘটনা ঘটে। তার প্রায় আধ ঘন্টা পর বাদলের ভাই নাছির এর নেতৃত্বে শাহে আলম (৪৫), রিফাত (২৫), আরিফ (২৬), নাঈম (২৮), মুরাদ (২৮) সহ প্রায় ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হাতে কাঠের ডাসা, লোহার রড ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসত বাড়ির বিভিন্ন ঘরে প্রবেশ করে এলোপাথারী মারধর ও ভাংচুরসহ লুটপাট চালায়।
এ ব্যপারে সাহাবুদ্দিন রুবেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ তার মামলা গ্রহন না করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের কথায় আমার ছেলে আটকে রেখে মারধর করে এবং উল্টো একটি মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করেন। পরে আমি বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সি আর মামলা করি। যাহার নং-১৪৭/১৮। ছাত্রদল নেতা রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে আমরা আজিজুল চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ না করার ফলে প্রতি মুহুর্তে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের রোষানলে পড়তে হচ্ছে আমার পরিবারকে। এছাড়া চেয়ারম্যান থানার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোটা অংকের ডোনেশন দিয়ে থাকেন। তাই থানা পুলিশ চেয়ারম্যানের কথাই শোনে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়াম্যান আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 + twenty =