রাজশাহীর বাঘায় থ্রিহুইলার সিএনজির ভাড়া নিয়ে তর্কা তর্কিতে আ’লীগ নেতার ছেলেকে কুপিয়েছে থ্রিহুইলার সিএনজি চেইন মাস্টার

0
492

মোঃ আখতার রহমানঃ ঈদুল ফিতর কে কেন্দ্র করে রাজশাহীর বাঘাতেও যানবাহনের ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। নিয়ম নীতি বিহীন এই নৈরাজ্য চালাচ্ছে থ্রিহুইলার (সিএনজি) সিন্ডিকেটের সদস্যরা। আর এর প্রতিবাদ করায়, থ্রিহুইলার (সিএনজি) সিন্ডিকেটের চেইন মাস্টার ধারলো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র অদিত্ত পারভেজ শাওন ও তার দুই বন্ধুকে। আহত শাওনকে উদ্ধার করে বাঘা হাসপাতালে নেওয়ার পর,সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। অপর দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত শাওন বাঘা পৌর আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের একমাত্র ছেলে। গত বুধবার (২০/০৬/২০১৮) সন্ধ্যায় উপজেলার মিলিক বাঘার পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কামাল হোসেন বাদি হয়ে থ্রিহুইলার (সিএনজি) চালক সমিতির বিটের টাকা আদায়কারি চেইন মাস্টার আজমল, তার পিতা নজরুল, দুই ভাই সুজন,সুমন ও শাকিল,সোহাগ ফিরোজ সহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার অভিযোগে নগদ টাকা ও একটি সোনার চেইন ও তিনটি মোবাইল কেড়ে নেওয়ারও কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়,পৌর টার্মিনালের বাইরে পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে থ্রিহুইলার সিএনজি বাঘা থেকে চারঘাট-বানেশ্বর রুটে যাতায়াত করে। ঘটনার দিন শাওনের দুই বন্ধু লাম ও সাব্বির বাঘা থেকে ৯কিলোমিটার দুরে মীরগঞ্জ যাওয়ার জন্য সেখানে যায়। লাম জানায়,তাদের কাছ থেকে সিএনজি চালক ৫’শ টাকা ভাড়া চায়। এনিয়ে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। এসময় শাওন তাদের বন্ধু বলে পরিচয় দেওয়ার পরও তাদেরকে গালিগালাজ করে। বিষয়টি জানার এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল নিয়ে সেখানে পৌঁছে অদিত্ত পারভেজ শাওন। তার সাথে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে আজমলের পক্ষ নিয়ে সুমন,সুজন নজরুল শাকিল,সোহাগ ও ফিরোজসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা জানান, প্রায়শঃ ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পুর্বে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার প্রতিবাদ করায় থ্রিহুইলার (সিএনজি) সিন্ডিকেটের সদস্যরা সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেকেও লাঞ্চিত করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 − 5 =