কাঙ্খিত ট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য যাত্রী

0
699

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে সোমবার সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় কমলাপুর স্টেশনে। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ট্রেনগুলো কানায় কানায় পূর্ণ, ফাঁকা নেই ট্রেনের ছাদেও। কাঙ্খিত ট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে বসে আছেন অসংখ্য যাত্রী। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোতে।

এদিকে সকাল থেকেই প্রায় ট্রেনগুলো বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, শেষ সময়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে ট্রেনগুলো ধীর গতিতে চলছে। আর অনেক ট্রেনও সময় মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারছে না। তাই ঢাকা ছাড়তেও এসব ট্রেনের দেরি হচ্ছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত অনেক ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। ফলে এদশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে যাত্রাও করতে পারছে না। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফেরার অপেক্ষায় হাজার হাজার মানুষ। সূচি বিপর্যয়ের একই অবস্থা ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটের বিশেষ ট্রেন ‘দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল’, ও লালমনিরহাট-ঢাকায় চলাচলকারী ‘লালমনি স্পেশালে’রও। এদিকে অনেক যাত্রীরা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে স্টেশনে বসা। সকাল ৮টায় ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৯টা বাজে অথচ ট্রেন এখনো আসে-ই নি। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে অপেক্ষা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ট্রেনের এমন বিলম্ব বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ট্রেনগুলো দেরিতে কমলাপুর স্টেশনে আসার কারণে ছেড়ে যেতে কিছুটা কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় স্টেশনে। যাত্রী চাপের কথা মাথায় রেখে প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হয়েছে। সোমবার মোট ৬৯টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে পাঁচটি ঈদ স্পেশাল, ৩১টি আন্তঃনগর। বাকি ৩৩টি ট্রেন লোকাল, মেইল এবং কমিউটার ট্রেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 + 16 =