মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াতে এক তরুণীকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোববার ভুক্তভোগী তরুণী মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তার এক খালা সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেনের কাছে প্রায় তিন লাখ টাকা পান। সে টাকা আনতে গত বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে খালার সঙ্গে সাটুরিয়া থানায় যান তিনি। সেখানে সেকেন্দারের সঙ্গে দেখা হলে তিনি দুইজনকে নিয়ে সাটুরিয়া ডাক বাংলোতে যান। কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হন একই থানার আরেক এসআই মাজহারুল ইসলাম। ধর্ষণের সময় ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। অভিযোগে বলা হয়েছে, দুইজনে মিলে অভিযুক্ত তরুণী ও তার খালাকে আলাদা ঘরে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে অস্ত্রের মুখে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। পরে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদের আটকে রেখে দুই জনকে ডাকবাংলো থেকে বের করে দেয়া হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই সেকেন্দার হোসেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই।’ মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম বলেন, ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার আগ পর্যন্ত তারা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন।