১২ মার্চ ২০১৯ ছিল সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সহযোগী সমন্বয়কারী ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর প্রোগ্রাম অফিসার সানজিদা হক বিপাশার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছর এই দিনে নেপালে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় স্বামী রফিক জামান রিমু ও একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধ জামানসহ আরও ৫১ জনের সাথে তিনি প্রাণ হারান। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সানজিদা হক বিপাশার স্মৃতিচারণের জন্য ‘সুজন ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিবার’-এর পক্ষ থেকে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। স্মরণসভাটি আজ ১২ মার্চ ২০১৯, বিকেল ৩.০০টায়, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তন (পূর্বের ভিআইপি লাউঞ্জ), জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর উপ-পরিচালক নাছিমা আক্তার জলি, সুজন ঢাকা মহানগর কমিটির স¤পাদক জুবায়েরুল হক ভুঞা নাহিদ, ¯ে¬াগান ৭১ এর সভাপতি সুজন মিয়া। এছাড়া বিপাশার ভাই শাহনেয়াজ সাব্বির উইন, রফিক জামান রিমুর বোন রেফায়েত আরা রিপু, বিপাশার চাচাতো ভাই ফজল মাহমুদ রবি এবং সুজন সচিবালয় ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, সানজিদা হক বিপাশা, রফিক জামান রিমুর আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীগণ তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ও স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে সানজিদা হক বিপাশার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সানজিদা হক বিপাশার জীবনী পাঠ করে শোনান সুজন এর সহযোগী সমন্বয়কারী শামীমা আক্তার মুক্তা। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুজন যে আন্দোলন পরিচালনা করছে সানজিদা হক বিপাশা তার একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। বিপাশাকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তার চারিত্রিক গুণ ছিল উন্নত, নিষ্ঠার সঙ্গে সে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতো। তার অকাল মৃত্যুকে আমি মেনে নিতে পারছি না। বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণেই বিপাশারা হত্যার শিকার হয়েছে আমরা মনে করি। কারণ দুর্ঘটনার পর খোঁজ নিয়ে আমরা বিমানবন্দরের নানান অব্যবস্থাপনা স¤পর্কে জানতে পারি। তিনি বলেন, সানজিদা হক বিপাশা ছিলেন একজন নিবেদিত উন্নয়নকর্মী ও সমাজকর্মী। তার চলে যাওয়ার একজন যোগ্য নাগরিকের চলে যাওয়া। তার অকাল মৃত্যু সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের বিরাট ক্ষতি। তার রেখে যাওয়া কাজগুলোকে সুন্দরভাবে করার মাধ্যমেই আমরা এই ক্ষতি পূরণ করতে পারি এবং বিপাশার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারি। জুবায়েরুল হক ভুঞা নাহিদ বলেন, সানজিদা হক বিপাশা ছিলেন সদা হাসোজ্জল মানুষ। তিনি মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। এরকম একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষের অকালে চলে যাওয়া আমাদের সমাজ উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের বিরাট ক্ষতি।