জেলা প্রতিনিধি (বগুড়া): বগুড়া জেলা শেরপুর উপজেলার ধনকুন্ডি গ্রামে মামা ভাগ্নির (রিতার) প্রায় ০৩ (তিন) বছরের অবৈধ প্রেমের সর্ম্পকের অবসান ঘটছে ২১ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার ঐ উপজেলার হাসড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে এনামুলের সাথে বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। ঘটনাটি প্রায় ০৩ বছর আগে ঘটলেও উদরপিন্ডি বুদোর গাড়ে চাপিয়ে অন্য একটি ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার এ নিয়ে ইদানিং এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা সূত্র জানায়, মেয়ের বাবা রব্বানি পিতাঃ নয়ান ফকির একজন মওজুদার, হুন্ডি ও সুদের ব্যবসায়ী এবং মনোহারী দোকানদার। এ সকল ব্যস্ততায় তিনি তাঁর বউয়ের খালাতো ভাইকে দোকানে রেখে বিভিন্ন দিকে ছুটে বেড়ান। বউয়ের খালাতো ভাই মেয়ের সর্ম্পকে মামা ভাগ্নি রিতাকে একা পেয়ে অনৈতিক সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। তাদের সর্ম্পক চলে প্রায় ০৩ বৎসর। প্রথম বছরেই ভাগ্নি পেটে আসে একটি অবৈধ প্রথম বাচ্চা সন্তান। মেয়ের মা বুঝতে পেরে কাউকে না জানিয়েই চান্দাইকোনা বাজারে একটি ক্লিনিকে নিয়ে মেয়েকে গর্ভপাত ঘটান। মেয়ের বাবা প্রথম ঘটনাটি না জানলেও ০২ বছরের মাথায় আবারও মেয়ে রিতার পেটে বাচ্চা আসে তার মামার মাধ্যমে। ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেশিদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তখন বাবা রব্বানি দিক বেদিক হারিয়ে ২য় বাচ্চাটিও শেরপুরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটান।
মেয়ে রিতা এবার মাত্র এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছে। বয়সও অপ্রাপ্ত। মেয়ের জেদ সে তার মামাকেই বিবাহ করবে। মান-সম্মানের কারণেই বাবা কৌশলে রাজি হয়ে মামাকে বিদেশে পাঠানোর পায়তারা করে। এক পর্যায়ে তারও বিদেশে যাওয়ায় সিদান্ত হয়। এদিকে মেয়ের বাবা বিভিন্ন আতœীয় স্বজনের সহযোগীতায় মেয়েকে বিবাহ দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। অবশেষে, ২২ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার মেয়ের বাড়িতে ধুমাদাম করে মেয়ের বর্তমান স্বামী এনামুলকে মোটা অঙ্কের লোভ দেখিয়ে স্থানীয় ইউএনও, থানা পুলিশ, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে বিবাহ দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মেয়ের বাবা রব্বানির বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়ে কার সাথে প্রেম করেছে, কত সন্তান নষ্ট করেছে, কার সাথে বিয়ে দিচ্ছি এ নিয়ে আপনাদের কি। হাসড়া গ্রামের সংবাদ কর্মী শাহাদত হোসেন জানান, ১৬/১৭ বছর বয়সের অপ্রপাপ্ত বয়স্ক একটি মেয়ের জীবনে যত ঘটনাই থাকুক না কেন বাল্য বিবাহ ঠেকানোর জন্য আমি ঐ বাড়িতে যাই মেয়ের বাবা আত্মীয় স্বজনসহ আমাকে অনেকে ভয়ভীতি ও হুমকি-দামকীতে শাষিয়েছে, আমি সংবাদ করলে আমাকে যেখানে পাবে মেরে ফেলবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ক্ষতি করবে। মেয়ের বাবা একজন অত্যন্ত উশৃঙ্খল, সন্ত্রাসী, কুটবুদ্ধি, সম্পন্ন মাদক ব্যবসায়ী, খারাপ সংঘদারী সুদের ব্যবসায়ী, হুন্ডি ও মওজুদারী মেয়াদ উর্ত্তীণ নিন্মমানের পণ্য বিক্রেতা রাজনৈতিক পরিচয়দারী সমাজের নিন্মবিত্ত পরিবারের নিচু বংস্বীয় সন্তান। নিজ গ্রামেই শশুড়ালয়, নিজ আত্মীয় স্বজন তাই তাঁর সাথে কেহ পেরে উঠতে পারে না।