সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এমএলএম সিষ্টেমে ব্রাইট ফিউচারের প্রতারনা

0
601

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও লোভনীয় অফার দিয়ে বহু এমএলএম কোম্পানী ব্রাইট ফিউচার লিঃ প্রতারনার মাধ্যমে জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমএলএম পরিচালনাকারী কোম্পানীগুলোর কোন প্রকার বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা সরকারের কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই এমএলএম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত এমএলএম কোম্পানীর পরিচালকবৃন্দের কাছে এমএলএম ব্যবসার কোন বৈধ কাগজপত্র বা সরকারের কোন প্রকার অনুমতি আছে কিনা পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তারা কোন প্রকার অনুমতি পত্র দেখাতে পারে নাই। উক্ত কোম্পানীর পরিচালকবৃন্দ সরকারীভাবে বন্ধ হওয়া ডেসটিনি, যুবক,নিউওয়ে এমএলএম কোম্পানী থেকে পালিয়ে এসে নাম পাল্টিয়ে অনুমোদন বিহীন অবৈধ এমএলএম কোম্পানী খুলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে লোভনীয় অফার দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার পথ খুজছে।

অবৈধ এমএলএম কোম্পানী ব্রাইট ফিউচার লিঃ উত্তরা আজমপুর রাজউক মার্কেটের পিছনে ১ লাখ টাকা স্থায়ী আমানত হিসাবে ৪৮ মাস পর্যন্ত জমা রাখলে প্রতি মাসে ৪২০০ টাকা জনগণকে প্রদান করবেন বলে প্রতি শ্রুতি দিয়ে গত ৪/৫ বছরে এমএলএম পদ্ধতির মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ব্রাইট ফিউচার থেকে রেজাউল পদত্যাগ করে হাসিবুল ইসলাম জয়কে নিয়ে ভূয়া এমএলএম কোম্পানী মেঘা সেটেলাইট সিটি লিঃ সাধারণ জনগণের মস্তিষ্কো ধোলাই করে সু-কৌশলে লোভনীয় অফার দিয়ে প্রতিমাসে প্রতি লাখে ৬০০০/=টাকা মুনাফা দেবার চুক্তি করে ১৬ মাসে দিগুণ টাকা পরিশোধ করবে বলে ২ বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা প্রতারনার মাধ্যম গ্রহণ করে।

ভূয়া এমএলএম কোম্পানীর মালিক হাসিবুল ইসলাম জয় কখনও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় তার বন্ধু আবার কখনও মরহুম হুসাইন মোঃ এরশাদের ভাইগ্না বলে স্থায়ী আমানত গ্রহণকারী গ্রাহকের কাছে পরিচয় দেন। ভূয়া এমএলএম কোম্পানীগুলো গ্রাহকদের নিকট থেকে স্থায়ী আমানত হিসাবে চুক্তি ভিত্তিক টাকা নেয়ার কোন প্রকার বৈধ অনুমোদন নেই। বিশেষ করে উক্ত ভূয়া এমএলএম কোম্পানীগুলোতে সেনাবাহিনীর (অব: প্রাপ্ত) সদস্যরাই বেশি টাকা রাখে আর ভূয়া এমএলএম কোম্পানীর পরিচালকদের টার্গেট সেনাবাহিনীর সদস্যই বেশি। ভূয়া ব্রাইট ফিউচার লিঃ এক মালিকের সাথে এমএলএম সমন্ধে পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্রাইট ফিউচার লিঃ এমএলএম এর মাধ্যমে প্রতারণা করে জনগণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তা আমার জানা আছে। কারন লোভনীয় অফার দিয়ে জনগনের নিকট থেকে যে টাকা নেয়া হচ্ছে তা কখনই ফেরত দেয়া হবে না। এই কোম্পানীর চেয়ারম্যান এমডি নিদের্শনা মেনে আমরা চাকুরী করি। এর দায় আমার উপর বর্তাবে না।

পত্রিকার পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়, উক্ত এমএলএম ভূয়া কোম্পানীগুলোর কাহারো কোন নিজস্ব অফিস নেই। তারা বাড়িওয়ালাকে অগ্রীম টাকা দিয়েই অফিস ভাড়া নিয়ে অবৈধ এমএলএম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ডেকোরেশন পর্যন্ত করার প্রয়োজন হয়নি। ব্রাইট ফিউচার লিঃ অফিসের ডেকারেশন পর্যন্ত অন্য কোম্পানীর তৈরী করা। তারা অন্যের তৈরী ডেকোরেশনে বসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জনগণকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তাদের টার্গেট যত টাকা সংগ্রহ করতে পারলেই তারা পালিয়ে যাবে। বাংলাদেশে কোন একটি এমএলএম কোম্পানীও পারে নাই জনগণের টাকা ফেরৎ দিতে। তারাও পারবে না। উক্ত সকল কোম্পানীগুলোই জনগণের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করে তাদের কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে। সূতরাং উক্ত ভূয়া এমএলএম কোম্পানী ব্রাইট ফিউচার লিঃ এর বিরুদ্ধে সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও থানা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, ডিবি’র হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় জনগন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − 9 =