পকেট থেকে ১০০ টাকা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সন্দেহ করে বসলেন নিজের স্ত্রীকে। কোনও কিছু বুঝে উঠার আগেই শুরু করলেন পেটাতে। পেটাতে পেটাতে মেরেই ফেললেন সহধর্মীনীকে।
রুবেল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া শহরের নারুলী খন্দকারপাড়ার একটি বাড়িতে। নিহত গৃহবধূর নাম চামেলী বেগম (৩২)।
প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার সকালে বাড়ির এক পরিত্যক্ত ঘরে চামেলী বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। এ সময় নিহতের স্বামীকে খোঁজ করেও পাননি তারা। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় সদর থানা পুলিশ।
প্রতিবেশীদের দাবি, পকেট থেকে ১০০ টাকা চুরির অভিযোগে চামেলীকে তার স্বামী রুবেল মারপিট করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে।
স্ত্রী চামেলীর সঙ্গে রুবেলের প্রায়ই ঝগড়া হতো ও স্ত্রীকে তিনি মারপিট করতেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
রুবেল শহরের রাজাবাজারে কুলির কাজ করেন। তাদের সংসারে রাহাত (৯) ও রাফি (৩) নামে দুই সন্তান রয়েছে।
নিহতের বড় ছেলে রাহাত সাংবাদিকদের জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে বাবা কাজ থেকে ফেরার পর তার পকেটে ১০০ টাকা নেই বলে চিৎকার করেন। একপর্যায়ে তিনি মাকে টাকা চুরির অপবাদ দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে মাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেন বাবা। এর পর আমরা ঘুমিয়ে যাই। সকালে জানতে পারি মা মারা গেছেন।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, আশপাশের লোকজন এটিকে হত্যা দাবি করছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।