কুতুবের দলবদলের রাজনীতি! বিএনপি ছেড়ে হলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি!!

0
577

জেমস এ কে হামিম: উত্তরার রাজনীতির মাঠে বিচিত্র এক নেতা কুতুব উদ্দিন আহমেদ। তার রাজনীতির ডিকবাজী হল একের পর এক দল বদল করা তার নেশা পেশায় পরিনত হয়েছে। বিগত তিন দশকে দল বদলের রাজনীতিতে সক্রিয় নীতি ও আদর্শহীন এ নেতা। কখনো বিএনপি, কখনো আওয়ামী লীগ, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকছেন সব সময়। বার বার দল বদল এমন প্রশ্ন উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে কেঁচো খুঁড়তে সাপ। জানা যায়, হতদরিদ্র পিতার ঘরে জন্ম নেয়া কুতুব উদ্দিন রাজনীতিকে তার ভাগ্য পরিবর্তনের চাবি-কাঠি হিসেবে নিয়েছে। দল বদলের ফলে খুব রাতারাত্রী তার ভাগ্যের উন্থান ঘটেছে। তরুণ বয়সেই কুতুব টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করত। ধীরে ধীরে এলাকার পাতিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং  দখল-চাঁদাবাজীতে বেপরোয়া হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে, ঢাকা-১৮ (সাবেক ঢাকা-৫) আসনের এমপি এ কে এম রহমত উল্লাহ উদারতার সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে কুতুব।

এরপর থেকে ই তার দখল, চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে উত্তরার সাধারণ জনগন। তৎকালীন সময়ে চাঁদাবাজি ও সরকারী সম্পত্তি দখলের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে  কুতুব। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট সরকার গঠন করলে, ২০০২ সালের ১৫ আগষ্ট উত্তরা ৮ নং সেক্টরের মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে কুতুব উদ্দিন ঢাকা-১৮ (সাবেক ঢাকা-৫) আসনের এমপি ও পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা মেজর অব: কামরুল ইসলাম এর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে যোগ দেয় বিএনপি তে।

কারণ দখল, চাঁদাবাজি ও এলাকার আধিপত্য  ধরে রাখতে। বিএনপি-জামাত শাসনামলের প্রত্যক্ষদর্শী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক প্রবীন কর্মী জানান, এই দলছুট কুতুব বিএনপি-জামাত সরকারের দালালি করে শত শত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হামলা, মামলা ও পুলিশের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছেন। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসত নির্যাতনের ঢল।

২০০৬ সালে অনাকাঙ্গিক্ষিত ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত (ফকরুদ্দিন-মঈন উদ্দিন) সরকার, সেই সময় চতুর কুতুব উদ্দিন দীর্ঘ দিন আত্মগোপনে থাকে। সেনা সমর্থিত সরকার তার সরকারী সম্পত্তির উপর গড়ে তোলা সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দেয়, ভাটা পড়েছে তার চাঁদাবাজিতেও।

এলাকাবাসী মনে করেছিল এবার বুঝি তাদের মুক্তি মিলল কুতুব নামের ভয়ংকর চাঁদাবাজের হাত থেকে। কিন্তু না, দুই বছর পর দেশে গনতান্ত্রিক ধারা ফিরে এলে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তরা পূর্বে থানা আব্দুল্লাহপুরে-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এড. সাহারা খাতুনের এক নির্বাচনী জনসভায় কুতুব ফুলের তোড়া দিয়ে আরো একবার ডিগবাজি খেয়ে যোগ দেয় আওয়ামী লীগে। নিছক ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণের জন্য তার এই উল্টোমুখি হওয়াটা সার্কাসের জোকারের ডিগবাজির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ডিগবাজি দিয়ে রাজনীতির ভোল পাল্টালেও কুতুবের পাল্টায়নি তার স্বভাব।

যে কারণে ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই দলীয় পরিচয় দিয়ে কুতুব তার লাগামহীন অপকর্ম পুনর্রায় শুরু করে। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হলে অদৃশ্য খুঁটির জোরে এ হাইব্রিড নেতা বনে যান উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এত অপকর্মের অভিযোগ থাকার পরও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পূনর্বাসিত হচ্ছে এই নিয়েও খোদ প্রশ্ন রয়েছে আওয়ামী লীগে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, একাধিক রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত থাকার পরও কুতুব হঠাৎ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি বনে গেছেন। অথচ পরীক্ষিত ও ত্যাগী অনেকেই থানা কমিটির সদস্য হতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, কুতুব উদ্দিন এর পরিবারের অন্য সকলেই বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে সক্রিয় এবং তার বিরুদ্ধে ও বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত  অভিযোগ রয়েছে তার পরিবারের নামে।

কুতুবের ফুফাতো ভাই শফিকুল আলম (মুক্তা) উত্তরা পূর্ব থানার সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদক হওয়ার ফলে বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজী করেছেন বেঙ্গল গার্মেন্টস শত কোটি টাকার মাল হাতিয়ে নিয়েছে এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। কুতুবের অনুকম্মাই মুক্তার অনুপ্রবেশ ঘটে আওয়ামী-লীগে। যার যার ফলে রাতারাত্রী বনে যায় থানা কমিটির গুরুত্বপুর্ন পদে।যদি সে অতেিত বিএনপি জামাতের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল।

আওয়ামী লীগ বিরেধী দলে থাকার অবস্থায় (২০০১-২০০৫)পযর্ন্ত মুক্তার নির্দেশে আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিং হামলা করত তার পোষা ক্যাডার বাহিনী।বর্তমানে কুতুবের ক্যাডার বাহিনীতে সক্রিয় রয়েছে চা দোকান্দর দেলোয়ার ড্রাইভার তুহিন ,ফুতফাতের চাঁদাবাজ জাকির । আবদুল্লাহপুর বেড়িবাধ এলাকায় অস্থায়ী   দোকান বসিয়ে প্রতিদিন প্রায় অধলাখ  টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দু‘পাশে রয়েছে প্রায় ২৫০-৩০০ দোকান যা মধ্যে রয়েছে মাছ, সবজি দোকান, ফল, কসর্মেটিস, মেডিসিনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বর্তমানে কুতুব উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার সাধারণ জনগণ। তার অপর্কমের ফলে ইমেজ নষ্ট হচ্ছে আওয়ামী লীগের। শীর্ষ চাঁদাবাজ কুতুবের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণ। এব্যাপারে কুতুব উদ্দিনের বার বার দেখা করতে চাইলে, তাকে পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে কুতুব উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার সাধারণ জনগণ। তার অপর্কমের ফলে ইমেজ নষ্ট হচ্ছে আওয়ামী লীগের। শীর্ষ চাঁদাবাজ কুতুবের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণ। এব্যাপারে কুতুব উদ্দিনের বার বার দেখা করতে চাইলে, তাকে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 + 9 =