রাজধানীর ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল মেডিকেল রোড হোম টাওয়ারে অবস্থিত ফ্রেন্ড শিপ স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। উক্ত হসপিটালের তৃতীয় তলার ৭নং রুম হইতে গত ১৪ই ফ্রেরুয়ারী ২০২০ রোজ শুক্রবার আনুমানিক সকাল ৯ ঘটিকায় সময় মোবারক করিম নামক এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে ডেমরা থানার পুলিশ।
নিহত মোবারক করিম এর স্ত্রী রিতু আক্তার ও তার ছোট ভাই রুহুল আমীন এর অভিযোগ মোবারক করিম আত্মহত্যা করেনি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা উদ্বর্তন প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করা হউক এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হউক। মৃত মোবারক করিম এর পরিবারে দাবি মোবারক করিম বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ইসিজি মেশিংসহ বিভিন্ন মেশিং সাপ্লাই দিয়ে থাকতো কমিশন চুক্তিপত্র সাপেক্ষে ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালেও অনেক টাকা পাওনা ছিল মোবারকের। ঐ টাকা নেয়ার জন্য গত ১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় হাসপাতালের ডিরেক্টার মোঃ জামাল হোসেন এর কাছে আসে মোবারক করিম। পাওনা টাকা চাইতে এসে মরা লাশ হয়ে ঘরে ফিরলো মোবারক। ভোলা জেলার লাল মোহন থানাধীন ধনীগের নগর গ্রামের বাসিন্দা মো: সোলেমানের পুত্র মোবারক করিম। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় সৈয়দ আহম্মেদ সহ কয়েক কর্মচারী সংবাদ কর্মীদের জানায় বৃহস্পতিবার অনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় জামাল স্যারের কাছে আসছে মোবারক। তাকে নাস্তাও করিয়েছেন জামাল স্যার এই পর্যন্ত আমরা দেখেছি তবে জামাল স্যার মোবারককে তার রুমে রেখে কখন চলে গেছেন আমরা দেখতে পাইনি। শুক্রবার সকালে প্রত্যেক রুম পরিষ্কার করা হচ্ছে এ সময় দেখতে পাই জানালার গ্রিলের সাথে সাদা একটি তোয়ালিয়া গলায় পেচানো ঝুলছে মোবারক। দ্রুত আমার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের জানানো হলে তারা ডেমরা থানার পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডা: জি এম ফিরদৌস এর মেয়ের জামাই মিসু সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়েছে ডেমরা থানা পুলিশ। উক্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হলে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে হাসপাতালের ম্যানেজার মুকুল মাহামুদ, ডিরেক্টার জামাল হোসেন, জেনারেল ম্যানেজার (জি এম) সাব্বির হোসেন সহ কয়েক ব্যক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত এক ব্যক্তি জানায় আমাদের হাসপাতালের চেয়ারম্যান জি এম ফেরদৌস স্যারের সাথে ডেমরা থানায় ওসি তদন্ত নুরে আলম সিদ্দিক সহ থানা কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে যাতে করে কোন হত্যা মামলা না হয় অপমৃত্যু মামলা হয়। এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি তদন্ত নুরে আলম সিদ্দিকি এর সাথে কথা বললে তিনি জানায় লাশের পোসমর্টাম করা হবে এবং পোসমর্টামের রির্পোট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারছিনা আত্নহত্যা না কি খুন?