মাদক গ্যাস-বিদ্যুৎ সকল অপকর্মের গডফাদার কড়াইল বস্তির টুন্ডা মমিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন

0
825

হাবিব সরকার স্বাধীন: রাজধানীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে অবৈধ গ্যাস বিদ্যুৎ পানি সংযোগ, একাধিকবার সংবাদ প্রকাশে কারো কোন ভূমিকা নেই, তিতাস কর্মকর্তাদের ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ  অভিযোগ উঠেছে অসৎ কর্মকর্তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য। এই ভাবেই দিনের-পর-দিন অবৈধ সংযোগ ব্যাঙের ছাতার মতো ছড়িয়ে দিয়েছেন মমিন। সেই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করছেন মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার মূল হোতা নব তাঁতী লীগের নেতা টুন্ডা মমিন নামে পরিচিত।

দিনমজুর আমির হোসেনের ছেলে ছিল টুন্ডা মমিনের ছোট থেকে চাহিদা ছিল কিভাবে বড়লোক হওয়া যায়। মমিন ছিল হোটেলবয় এ কথা এলাকার কারো অজানা নয়। হঠাৎ অবৈধভাবে গ্যাস বিদ্যুৎ পানি সহ নানান অপকর্মে লিপ্ত থাকার কারণে বারবার গ্রেফতার হলেও পরবর্তীতে পুনরায় জামিনে এসে তার স্মৃতি গুলো সাজিয়ে ফেলে। তার রয়েছে বিশাল বাহিনী এমনকি কোন ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে তাকে যে কোন মিথ্যা মামলা ফাঁসি দেওয়া। এটি যেন মমিনের সিন্ডিকেটের নিত্যদিনের একটি পেশা তাদের মেকিং মামলা থেকে এবং হামলা থেকে রক্ষা পায়নি সংবাদকর্মী ও স্থানীয়রা। যুবলীগ নেতা জুয়েল থেকে শুরু করে অনেকেই তার মেকিং মামলার কাছে পরাজিত হয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়টির উপর নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসি। হোটেল বয় মোমিনকে কুমিল্লা পট্টি সহ কড়াইল বস্তি সম্রাট বললেই সবাই জানে।

দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায় সেভেন স্টার গ্রুপ নামের একটি সংগঠন মুমিন ও তার বাহিনীর নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন, সেই সংগঠনের সভাপতি টুন্ডা মমিন নিজেই। এবং থানার কিছু বড়বাবু দের সাথে রয়েছেন তার অন্তরঙ্গ একটি সম্পর্ক বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় গত ৩১ আগস্ট রোজ শনিবার টিএনটি আনসার ক্যাম্প মাঠে অনুষ্ঠানের সাংবাদিক কে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি যুবদলের টুন্ডা মমিন সরকারের বিরুদ্ধে। দেশি অস্ত্র, লোহার পাইপ, হকিস্টিক, টিপ ছুরি, নিয়ে প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে ফিল্মি স্টাইলে এই হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেদক কে পরবর্তী থানায় লিখিত অভিযোগ করণে ও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আসামিপক্ষ। তারা এলাকাবাসীর কাছে বলে বেড়াচ্ছে টাকা দিলেই বাঘের চোখ মেলে। এ তো সামান্য বিষয় প্রতিমাসে থানা ও বিভিন্ন স্থানে মাসোহারা দিয়ে থাকি। আমার নিজেরই একটা আলাদা প্রভাব আছে। এভাবেই একাধিক মামলার আসামি মমিন নিজের ক্ষমতার কথা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী কাছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রী বাসায় বোমা নিক্ষেপকারী নিজের ক্ষমতার দাপট এর কথা মানুষের কাছে বলাবলি করছেন।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা যায়। বনানী থানা হামলার বিষয় নিয়ে কথা বললে প্রথম অভিযোগ আকারে দাখিল করে বিষয়টি দেখছি বলে প্রতিবেদককে আশ্বাস দিয়েছেন। তার কিছুদিন পরে জিডি করতে বলা হয়, যার নাম্বার– ৭৮৩। কড়াইল বস্তি কুমিল্লা পট্টি থেকে কিছু ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদককে ফোনে করে বলেন। আপনি মুমিনের বিষয় সংবাদ প্রকাশ করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও সংবাদটি শিরোনাম প্রকাশ করার অনুরোধ জানায়।হোটেল বয় মমিন ও তার সেভেন স্টার গ্রুপ হেরোইন ব্যবসায়ী শহীদ মিয়ার ছেলে রায়হান।

রায়হানের নামের নারী নির্যাতন তিন বউয়ের অভিযোগ রয়েছে। এবং থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বাবার নামরও বনানী থানায় মাদক মামলা রয়েছে। কালু রায়হানের বাহিনীরাই কড়াইল বস্তির নিয়ন্ত্রণ করে। আড়াল থেকে হুকুমদাতা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি মমিন সরকার। সে দশ বছর  আগে ও কড়াইল বস্তির কুমিল্লা পট্টি টোকাই হিসেবে চিনত মমিনকে। এখন সে অন্যতম তবে বস্তির বর্তমান আতঙ্কের নাম মমিন। অনুসন্ধানে জানাযায় একাধিক মামলা ও জিডির আসামী মোমিন। মোশাররফ হোসেন মশার ছত্রচ্ছায়ার মোমিন হয়ে উঠেছিল বস্তির সম্রাট। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে অবৈধ সংযোগের টাকায় সে কোটিপতি। তার রয়েছে গুলশানে বিলাস বাড়ি, আশকোনা ফ্লাট, লেটেস্ট মডেলের গাড়ি, ব্যাংকে নামে-বেনামে ওদেল টাকা। সরকারি গ্যাস বিদ্যুতের অবৈধ টাকায় তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি পদের অধিকারী, অর্থের বিনিময় যুবদল থেকে বনানী থানা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি পদে বহাল। ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর কড়াইল বস্তিতে প্রকাশ্যে  সারা বস্তি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মমিন সরকার, এবং গিলে খাচ্ছে যুব সমাজকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন মুমিনের ভয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত কেউ করেনা। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, যে কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তাকে যুবলীগের নেতা জুয়েলের মত মিথ্যে অস্ত্র বা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এই ধরনের কাজে অভ্যস্ত মমিন সরকার। এলাকাবাসী বলেন মসজিদের নামে যে স্থানটি ঠিক করে রেখেছেন মমিন সেই স্থানটি তাঁতী লীগ নামধারী ক্লাব তৈরি করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা যায়। সেটি ক্লাব নয় সেটি হবে টর্চার সেল। অসহায় মানুষদের কে এখানে এনে বিচারের নামে চালাবে অমানবিক নির্যাতন। কুমিল্লা পট্টি বস্তির অধিকাংশ-ই সেভেন স্টার্স গ্রুপ বাহিনীর লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে। টুন্ডা মুমিনের ডানহাত মাদক ব্যবসায়ীর ছেলে কাল্লু রায়হান, খাইরুল, মক্কা মনির, রুস্তম, হিরোইন ব্যবসায়ী শহীদ, সুমন ওরফে কালু, শাওন, সবুজ, শুভ, শাকিল, রানা নামে কয়েক যুবক দাপিয়ে বেড়ায় কড়াইল এলাকা।কুমিল্লা পট্টিতে অপকর্মের মহানায়ক হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা পট্টির মমিন। তার খুব কাছের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি জানান, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণেই মোমিনের মত কিছু ব্যক্তিরা অপকর্ম করতে সাহস পায়।

এ বিষয়ে অপরাধ বিচিএায় অনুসন্ধান চলছে….

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − 9 =