পটুয়াখালী প্রতিনিধী: পটুয়াখালীর বাউফলের পূর্ব আদাবাড়িয়া ডিএস আলিম মাদ্রাসায় ৬টি পদে কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম,স্বজনপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামসুল হক ফকির এবং অধ্যক্ষ আবদুদ দাইয়ান এর বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ০২জুলাই গোপনীয়ভাবে পূর্ব আদাবাড়িয়া ডিএস আলিম মাদ্রাসায় ৩জন অফিস সহকারি, ১জন গ্রন্তাগারিক (লাইব্রেরিয়ান),১জন নিরপত্তা কর্মী ও ১জন আয়াসহ মোট ৬টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
পরে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১২তারিখ নামমাত্র কাগজে কলমে যাচাই-বাচাই ও ভাইভা পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক ফকির এবং অধ্যক্ষ সুকৌশলে অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। চাকুরি দিয়েছেন চেয়ারম্যান পরিবারের ৪জন সদস্যকে।
তাঁরা হলেন- অফিস সহকাম কম্পিউটার (শূণ্য) পদে চেয়ারম্যান পূত্র তরিকুল ইসলাম তারেক, অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি পদে পূত্র বধূ মোসা. লুবনা আক্তার কলি, গ্রন্থাগারিক পদে ভাইয়ের ছেলে মো. এনামুল হক লিটন ও নিরপত্তাকর্মী পদে নাতি মো. মহিউদ্দিন। বাকি অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর ও আয়ার পদ বানিজ্য করে নেওয়া হয় প্রায় ১০লাখ টাকা। আর এসব অনিয়য়, দূর্নীতি ও অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চেয়ারম্যানের সহযোগী হিসাবে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুদ দাইয়ান।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক বক্তি জানান,‘ আমাদের কিছু করার নাই। মাদ্রাসার সভাপতির নির্দেশে মানতে আমরা বাধ্য।
নিরপত্তা কর্মী পদে আবেদনকারী মো. মশিরুল ইসলাম জানান,‘ আমি নিরপত্তা পদে প্রার্থী ছিলাম। ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আমাকে এডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। এজন্য আমি আদালতে মামলা দায়ের করছি।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আবেদনকারীর পরিবার বলেন,‘ আমাদের পরিবার মাদ্রাসার জমিদাতা। আমার ভাইয়ের চাকুরির জন্য আমাদের কাছে ৭লাখ টাকা দাবী করেন সভাপতি। টাকা না দেওয়ায আমার ভাইকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুদ দাইয়ান বলেন, আমি কিছুৃ বলতে পারবো না। আপনারা সভাপতির সাথে কথা বলেন। তিনি যেভাবে বলছেন আমি সেই ভাবেই করছি।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক ফকির বলেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। কোন জামেলা নেই। আমার পরিবার বলতে কোন কথা নেই! যে লোকজন চাকুরি পেয়েছে তা সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে পেয়েছে আর টাকা লেনদেনের ব্যাপার সবারই জানা।