ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক সবচেয়ে বড় পাপ শিরককারীর ক্ষমা নেই

0
838

ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক সবচেয়ে বড় অপরাধ। শিরককারীকে বলা হয় মুশরিক। তাওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করলে শিরককারীর ক্ষমা নেই। সে অনন্তকাল জাহান্নামের আজাব ভোগ করবে। শিরক ছাড়া অন্য গুনাহ আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য যত পাপ-তাপ আছে, তা যাকে ইচ্ছা (বিনা শাস্তিতেই) ক্ষমা করে দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে, সে মহা অপরাধে অপরাধী হয়ে যায় (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৮)

শিরক তাওহিদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের সম্পূর্ণ বিপরীত। শিরক মহান আল্লাহর সঙ্গে বিদ্রোহের শামিল। মহান আল্লাহর সত্তা, গুণাবলি, ক্ষমতা ও কার‌্যাবলিতে অন্য কাউকে সমকক্ষ মনে করাই শিরক।
কোরআন ও হাদিসে আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলি সম্পর্কে যেসব বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে, সে বিশ্বাস সৃষ্টিজগতের কোনো ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে পোষণ করাই হলো শিরক। যেমন—কোনো মনীষী বা পীরের ব্যাপারে এমন বিশ্বাস পোষণ করা যে আমাদের যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে তিনি সর্বদা অবহিত। অনুরূপ কোনো জ্যোতিষ-পণ্ডিতের কাছে অদৃশ্যের সংবাদ জিজ্ঞেস করা কিংবা বিপদাপদে পীরকে ডাকা, আর এ কথা বিশ্বাস করা যে তিনি আমার ডাক শুনছেন।

একইভাবে কাউকে লাভ-ক্ষতি সাধনের পূর্ণ ক্ষমতাবান মনে করা শিরক। কারো কাছে রুজি-রোজগার বা সন্তান-সন্ততি প্রার্থনা করা শিরক। এ ছাড়া কাউকে সিজদা করা, কারো নামে পশু ছেড়ে দেওয়া শিরক। কারো নামে মানত করা, কোনো মাজার কিংবা বাড়িঘরের তাওয়াফ করা শিরক। কারো সামনে রুকু করার মতো অবনত হওয়া শিরক। পার্থিব কাজ-কারবার কিংবা বিবর্তনকে নক্ষত্রের প্রভাব বলে বিশ্বাস করা শিরক। কোনো মাসকে অশুভ মনে করা শিরক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 2 =