বিয়ের প্রলোভনে কুয়াকাটায় এনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ

0
384

প্রতিনিধি পটুয়াখালী: কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগে রোববার মহিপুর থানায় মামলা হয়েছে। সোনার বাংলা নামের একটি আবাসিক হোটেলে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে । ভিকটিম ওই নারীকে পুলিশ ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বেল্লাল সিকদার জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী থানা কলাপাড়া শহরের রহমতপুর এলাকার ওই যুবতী নারী (১৮) সাথে মহিপুর থানা শহরের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল-আমীন (২০) এর দীর্ঘ সাত মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।

আল-আমিন শনিবার বিকেলে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে উপজেলা শহর কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটায় নিয়ে আসেন। এরপর সোনার বাংলা হোটেলের ১০৪ নং কক্ষে ওঠেন। সেখানে ওই যুবতীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বিবরণীতে ওই প্রেমিকা উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘ সাত মাস ধরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে আসছে আলআমিন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ওই যুবতীকে কুয়াকাটায় এনে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় প্রেমিক আলআমিন।

পরে ওই ধর্ষিতা তার পরিবারের কাছে ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে। এঘটনায় ধর্ষক আলআমিন ও তার সহযোগী হোটেল ম্যানেজার শামিমকে আসামী করে মহিপুর থানায় মামলা করেন ধর্ষিতা। এরপরই ধর্ষণে সহযোগীতার অভিযোগে ওই রাতেই শামিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী প্রেমিক আল-আমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।


সোনার বাংলা হোটেলের মালিক দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন, শনিবার বিকেল ৩টায় অভিযুক্ত আল আমিন এবং ওই যুবতী হোটেলে রুম নেয়ার জন্য আসার কিছুক্ষণ পরই ভিকটিমের ফুফু ও দুই যুবক এসে তাদেরকে নিয়ে যায়। এর সাথে তার ছেলে শামিম জড়িত নয়। শনিবার মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, সোনার বাংলা আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবতী নারী মামলা করেছেন। শামিম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার মূল আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × one =