ষ্টাফ রির্পোটার: অপরাধ বিচিত্রার সংবাদের পর সেই তথা কথিত সাংবাদিক জমি খেকো পলাশ প্রধান হারালেন চাকরি। তবে তার সহযোগী তরিকুল এখনো রয়েছে বহাল তবিয়েতে আছেন দখলদারীত্ব জমিতে। টঙ্গীতে সাংবাদিকতাকে পুজিঁ করে পলাশও তরিকুলের দখলের অভিযোগ রয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকাবাসীকে হয়রানি করে আসছে। তারা ফিল্মি স্টাইলে ব্যবসায়ী বাড়ি দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি এবং পুলিশের কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। অভিযোগের তীর যমুনা টিবির গাজীপুর জেলা ষ্টাফ রির্পোটার পলাশ প্রধানের ও আর টিবির টঙ্গী প্রতিনিধি তরিকুল ইসলামের দিকে। দখলের সময় ও হাতুড়িপেটা করে অস্ত্রের মুখে অন্যত্র জিম্মি করা হয়। লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ছাড়াও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। নাম ধারী ক্যাডার হাসান নেতৃত্বে এই তা-ব চলে। প্রতিকার তো দূরের কথা, কোনো থানা থেকে কোন পুলিশও আসেনি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়িটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম। তরিকুল ইসলাম পরিবারের নাম মাত্র আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হাসান নামে যিনি বাড়িটি দখল করে নিয়েছেন তারা এক সময় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর দখলকারী স্থানীয় ক্যাডার হিসেবে পলাশ ও তরিকুল রাতভর কাউন্সিলরের অফিসে নির্যাতন করা হয়।
নেপথ্যে যারা :
প্রকাশ্য দিবালোকে নারকীয় এই তা-বের নেপথ্যে ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধি পলাশ প্রধানও আর টিবির টঙ্গী প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার কামরুন নাহারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হয়। তিনি সরকারি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
তরিকুল যা বললেন :
আমার কাছে বাড়িটি কোর্টের অনুমোদনের কাগজ রয়েছে। সে অনযায়ী দখল করার অভিযোগটি উদ্ভট। এক প্রশ্ন জবাবে বলেন, আমি একজন সাংবাদিক আমি এসব করতে পারি আপনি আসেন চা খাব।
আমজাদ হোসেন রানা বলেন, ‘আমরা তো কেউ থানায় যাইনি। তিনি আরো বলেন, আমি কার কাছে চাইব? আদালতে মামলা করে কোন সু-বিচার পায়নি অভিযোগে বলা হয়, বাড়িটি দখল করেই ক্ষান্ত হননি তরিকুলসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। রানাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চড়সাধুপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জমিটির বিবরণ:
টঙ্গী ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, জমিটি এস.এ ১০৪ আর, এস খতিয়ান নং ১৪২ সি এস দাগ নং-৩৭৯ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মামলা:
এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন রানা বাদী হয়ে একটি মামলা দেওয়ানী মামলা করেন যার নম্বর-২৩৫/২০১৫। আদালতের নির্দেশনা ছাড়া বাদী বিবাদী উভয় জমিতে বসবাস কিংবা কাজ করতে পারবে না। উল্টো ভূমি দস্যু তরিকুল ইসলাম গং আদালকে বৃঙ্গালী দেখিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে।
এলাকাবাসীর ক্ষোভ:
গাজীপুর জেলার অন্যতম অপরাধীধের আখড়া টঙ্গী ব্যাংকের মাঠ মাদক পল্লী পলাশ, তরিকুলের নেতিত্বে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে মক্ষীরানী নভেলা, আল আমিন, বউ বাজারের রুবেল, বেল তলা বস্তির রাকির, সোহান, গোপাল পুরের পিয়াস, জামাই বাজারের শান্ত, হাসানসহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে আ: রব অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, উনি সাংবাদিক জাতির বিবেক সে এখন মাদক ব্যবসা করে এটা একজন সাংবাদিকের উপর আশা করা যায়নি। জনৈক রফিক বলেন,
যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করবে সেখানে তিনি নিজে শেল্টার দিয়ে থাকেনও অর্থ দিয়ে মাদক ব্যবসা করার জন্য সহযোগীতা করে থাকে। তিনি আরো বলেন, জাতির বিবেক এখন মাদক ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে পলাশ প্রধানের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।