শাল্লায় হিন্দু বাড়িঘরে হামলার মূলহোতা স্থানীয় যুবলীগ নেতা

0
791

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি স্বাধীন মিয়া। তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা কেরামত আলী। দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাচনী গ্রমের স্বাধীন মিয়া ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য (মেম্বার)।হামলা ও ভাংচুরের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর স্বাধীনকে প্রধান আসামি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাল্লা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন শাল্লা উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। চেয়াম্যানের নিজ বাড়ি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। যেখানে হিন্দুদের বাড়িঘরে বুধবার সকালে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
মামলার বাদিসহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, স্বাধীন মিয়াসহ হামলায় অংশ নেয়া ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে শাল্লা থানায় মামলা দায়ের করার প্রায় ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হলেও মূলহোতাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ক্ষতিগ্রস্তরা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক নয়া দিগন্ত জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। একটি দায়ের করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রামবাসীর পক্ষে আরেকটি মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অনেক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ২৪ জনকে এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম এবং হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তি ও আপত্তিকর পোস্ট দেন শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুটন দাস আপন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতেই জনতার সহযোগিতায় শাঁসকাই বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সূত্র- নয়া দিগন্ত

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 + three =