এম এ হাসান: রাজধানীর মতিঝিলের আলিকো লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নিকট থেকে ইস্পাহানী মির্জাপুর ভবন পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটওয়ে দখরে নিয়ে অন্তত দুই শতাধিক ভাসমান দোকান বসিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে লাইনম্যান সাদেক। জীবনের ঝুকি নিয়ে দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে সাদেক। আর সেই টাকা পুরোটাই ভোগ করে স্থানীয় কতিপয় পুলিশ সদস্য ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সাদেকের আলিকো ফুটে কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান, ব্যাগ, ব্যাল্ট সহ অন্যান্য পন্যের প্রায় দুই শতাধিক দোকান রয়েছে। লাইনম্যান সাদেক দৈনিক প্রতি দোকান থেকে ৩২০ টাকা হারে সব মিলিয়ে ৬০/৭০ হাজার টাকা চাঁদা করে থাকেন। ছুটির দিনগুলো বাদ দিলে মাসে অন্তত ১০/১২ লাখ টাকার উপরে চাঁদা আদায় হয়ে থাকে।
আর এই চাঁদার টাকার ভাগ-বন্টন স্থানীয় থানা পুলিশ, ট্র্যাফিক পুলিশ ও সরকার দলীয় ছোট-বড় নেতাদের পকেটে দিয়ে থাকেন। নেতারা যেমন তেমন, পুলিশকে হিস্যা অনুযায়ী টাকার ভাগ না দিলে ফুটপাতে কোন দোকান বসতে দেয়া হয়না।
চাঁদা আদায় কথা স্বীকার করে সাদেক বলেন, ভাই জীবনের ঝুকি নিয়ে চাঁদা আদায় করি, ধরা পড়লে জেল খাটতে হবে, কিন্তু বিশাল কোন সুবিধা পাই না।
আমি হলাম এক হাজার টাকা রোজের কামলা। চাঁদা আদায় করে দিলে এক হাজার টাকা পাই। আমার পিছনে কোন নেতা আছে, তা জানতে চাইয়েন না।