জেলা প্রতিনিধিঃ বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ণের পশ্চিম কেওঢালায় একের পর এক ধর্ষণ মামলা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মৃত ফয়জদ্দিনের মেয়ে রেহানা আক্তার ও তার মেয়ে আফসানা আক্তার তুলির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মাসুদের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান,গত পরশু মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে আমার ছেলের সাথে রেহেনার মেয়ে তুলির তর্ক বিতর্ক হওয়ার পর বিষয়টি মিমাংশার জন্য আমার ছেলে এবং রেহেনা ও তার মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় ধামগড় ফাড়িতে যাওয়ার পর রেহেনা বাদী হয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে মারদর করেছে এমন একটি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তিতে পুলিশ আমার ছেলেকে জেলে পাঠায়।এদিকে তুলিকে অপহরণের অপরাধে আব্দুল গাফ্ফার মিয়ার ছেলে জনির বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে রেহেনা।অপহরণের মিথ্যা মামলার কথা শুনে জনির পরিবার পুলিশকে খবর দিয়ে নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে তুলির ফুফুর বাড়ি থেকে জনি সহ তুলিকে উদ্ধার করে পুলিশ।রেহেনার মেয়ে স্বেচ্ছায় জনির সাথে পালিয়ে যাওয়ার পরও রেহেনা অপহরণ মামলা করে জনিকে জেলে পাঠায়।বড় কোন অপরাধ না করেও মাসুদ আজ জেলে।এদিকে জনি এবং তুলির প্রেমের সম্পর্ককে অপহরণ মামলা সাজিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে অর্থলোভী রেহেনা।
মাসুদের পরিবার আরও জানান,এর আগেও বিনা অপরাধে মদনপুর ইউয়িণের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলুর রহমানের স্যালক আরিফের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করেছিলো তুলির মা রেহেনা।
স্থানীয় মতিন ম্বোর জানান, কয়েক বছর আগে এই রেহেনা বেগম এই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় কেওডালা এলাকার কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো রেহেনা। ধর্ষণের ঘটনাটি মিথ্যা হওয়ায় পরবর্তিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ রেহেনাকে মামলা মিমাংসার জন্য টাকা দেয়া হয়েছিলো।
এলাকাবাসী আরও জানান,রেহেনা একজন খারাপ প্রকৃতির মেয়ে সে কিছুদিন পর পর তার মেয়েকে দিয়ে আশেপাশের এলাকার ছেলেদের সাথে সম্পর্ক করিয়ে ধর্ষণের মামলা দিয়ে হয়রানি করে।পরে আবার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেয়াই তার পেশা ও নেশা।
ধামগড় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এমদাদ হোসেন বলেন,গত দুদিন আগে অপহরণের ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলা করলে আসামী জনিকে আটক করা হয় এবং মেয়েটিকে মারধরের অপরাধে মাসুদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এভাবে দিনের পর দিন এলাকার নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে রেহেনা ও তার মেয়ে তুলি। রেহেনা ও তার মেয়ের দেয়া মিথ্যা মামলা এবং হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছেন ভুক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসী।