সোনারগাঁও প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নারী ও পুরুষসহ ৭জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের আমির হোসেন গং।আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ণের ৫নং ওয়ার্ডের নামা বরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ আমির হোসেন ও তার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে আজ শুক্রবার বিকেলে বিবাদী আমির হোসেন, মোঃ সেলিম, মোঃ সুলতান, মোঃ নূর হোসেন সর্ব পিতা মোঃ ঈমান উদ্দিন, মোঃ হাসান, মোঃ হাকিম, মোঃ হাসিব সর্বপিতা মোঃ আমির হোসেন ও আমির হোসেনের স্ত্রী শেফালীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন একত্রিত হয়ে রামদা, ধারালো চাপাতি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের মুদি দোকানে ভাংচুর চালায় এবং বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়।
এসময় তাদের হামলায় তাছলিমা বেগম, তার স্বামী মনির হোসেন, ভাগনী জায়েদা বেগম, মুক্তা আক্তার, ভাগিনা আসিফ, ভাগনী জামাই আবু সাঈদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রক্তাক্ত জখম হয়।
তিনি আরও জানান, ঈমান উদ্দিনের হুকুমে আমির হোসেন তার স্বামী মনির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
২নং বিবাদীর হাতে থাকা ছেনা দিয়ে ভাগনী মুক্তার হাতে কোপ মেরে জখম করে। ৬ নং বিবাদী ধারালো বটি দিয়ে হত্রার উদ্দেশ্যে আরেক ভাগনী জায়েদাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় আমরা সবাই জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভাগনি জামাই আবু সাঈদের পকেটে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এসময় বিবাদী শেফালী তাছলিমার গলা থেকে ০১ ভরি ওজনের প্রায় ৭০ হাজার টাকা সমমূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এসময় আমাদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকার লোক এসে আমাদের উদ্ধার বরে সোনারগাঁও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এসময় অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমার স্বামী মনির হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। ভুক্তভোগী তাছলিমা বেগম আরও বলেন, বিবাদীরা এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক হিসেবে পরিচিত।
তারা আমাদের বেদরক পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জকম করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে এবং আমাদের নিজ বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। বিবাদীরা আমাদের নানা ভাবে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমাান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।