গ্রামে বা শহরে ঔষধের দোকান দিয়ে হাতুড়ে ডাক্তার ধারা চিকিৎসা চলছে অহরহ। পিচিয়ে নেই ডেলীভারীর মত ঝুকিপুর্ন কাজেও। এমনই এক ভোয়া মিনি ক্লিনিকের সন্ধান পাওয়া গেছে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার পাড়য়া এলাকায়। এতে প্রাণ গেছে অনেকের ভয়ে মুখ খুলেতে নারাজ ভূক্তভোগীরা। এ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লেখিত অভিযাগ করেন বিল্লাল আহমদ নামের এক ব্যাক্তি অভিযোগ সুত্রে জানা, যায় গত ৩ বছর যাবত পাড়য়া মাঝপাড়া (হাসপাতাল রোড) কোম্পানিগঞ্জ সিলেট মমতাময়ী মেটারনিটি কেয়ার নামে সাইনবোর্ট জুলিয়ে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে মিডওয়াইফ দ্বারা ডেলীভারী করানো হচ্ছে।
এতে ভুল চিকিৎসার কারণে প্রসুতী মা ও শিশুর প্রাণনাশের হুমকী বারছে। অসাস্থকর পরিবেশ আর অন অনুমোদিত ভাবে কয়েকশ সন্তান প্রস্রব করিয়েছেন কামরুল হাসানের স্ত্রী আখলিমা বেগম নামের এক ভূয়া চিকিৎসক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অভিযোগের পর সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হলেও একটি আধাপাকা বাসায় নোংরা পরিবেশে চলছে এমন কর্মকান্ড। এলাকাবাসি জানান আখলিমা চাকুরী করতেন বেসরকারী এনজিও এফআইডিবি মমতা প্রজেক্টের প্যারামেডিক্স হিসেবে। কয়েক বছর আগে হটাৎ চাকুরী ছেড়ে বাসায় গড়ে তুলেন ডেলীভারী সংক্রান্ত মিনি ক্লিনিক পরিচয় দেন এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে। এর পর থেকে আর পিচু ফিরে থাকাতে হয়নি আখলিমার, রাতারাতি এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।
সুধু তাই নয় ডেলীভারীর পর মা ও শিশুর জন্য লেখেন প্যাকশিসন। এসব বিষয়ে কোনো ডিগ্রী বা সরকারী অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালির চত্র ছায়ায় কয়েক বছরে লাখপতি হয়েছেন, এতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সাধারন মানুষ প্রাণ গেছে কয়েকজনের।এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসি। পাড়য়া এলাকার আব্দুর রহিম জানান আখলিমার ভুল চিকিৎসায় বছর খানেক আগে মারা গেছেন তার এক ভাগনী ও সোহেল আহমদ বলেন এই মহিলা স্থানীয় প্রবাবশালীদের ছত্রছায়া এসব কাজ করে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে তার আত্মীয় সম্পর্কে এক বোন মারা গেছেন।
এসব বিষয়ে ভয়ে মুখ খুলেনি কেউ। সত্যতা জানতে আখলিমার সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেলে নিজের পরিচয় গোপন করে রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন। সর্বশেষ গত শনিবার ২৯ জানোয়ারী আখলিমার সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পিছন দিয়ে পালিয়ে যান। দরজা বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে না পারলেও জানালা দিয়ে ডেলীভারী সংক্রান্ত কিছু আলামত রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে। কিছুক্ষন পরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি এসে আখলিমার পক্ষে সাফাই গাইলেও আখলিমার কোনো অনুমোদন নেই বলে শিকার করেন। তারা আরও বলেন এই মহিলা ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী বাদ দিয়ে এখানে পরে আছেন দাই হয়ে। তিনি নাকি মানব সেবা করে যাচ্ছেন।একই কথা বল্লেন স্থানীয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জয়নাল আবেদীন। তাহলেতো তিনি মহান একজন ব্যাক্তি প্রশ্ন থেকে যায় এমন মানবতার মা কেন প্রকাশ্যে না এসে আড়ালে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান প্রত্যেকটা প্রসুতী মায়ের ডেলীভারীতে ৫০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন নিতি।
তার প্রচার প্রচারণায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন গরীব অসহায় এসব রোগী। এতে মাসে তিনি ইনকাম করেন কয়েক লক্ষ টাকা আর সাস্থ ও জীবনের যুকিতে পরেন নিরিহ জনতা। তাহলে এত সহজ ইনকাম রেখে ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করার প্রয়োজন নেই এটাই স্বাবাবিক। সিলেটের সিভিল সার্জনের : এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা : বাসায় মিনি ক্লিনিক করে পেসকিপশন লেখা ও ডেলীভারী করানোর অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, এধরনের কার্যকর্ম করার কোনো নিয়ম নেই।অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান এধরনের কার্যকর্ম করার কোনো নিয়ম নেই।অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার : অভিযোগ প্রাপ্তি শিকার করে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন এসব অবৈধ চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। একটি তথ্য পাওয়ার পরই আমরা যাচাই-বাছাই করে কার্যক্রম শুরু করে দিই। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপতৎরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।