ট্রেনে টিকেট নিয়ে যাত্রিকে হয়রানি:দেখার মত নেই কী কেউ

0
427

 তিতাস কমিউটার ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ফিরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে গেলে প্রত্যেক যাত্রীকে এক জনের বিপরীতে দুটি টিকেট কাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এর মধ্যে একটি টিকেট আসন নম্বরসহ দেওয়া হয়। আরেকটি টিকেট কোনো আসন লেখা থাকে না।এক জনের বিপরীতে দুটি টিকেট দেওয়া নির্ধারিত। অনেকেই অভিযোগ করে অপরাধ বিচিত্রাকে জানান আমি এক জন যাত্রী হয়ে দুটি টিকেট কেন নিব ,বলে অভিযোগ করে। তিতাস কমিউটার ট্রেন দুপুর একটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে আশুগঞ্জ স্টেশন আসার আগ মুহূর্তে টিকেট দেওয়া শুরু হয়। দেখা যায় লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা টিকেট নিচ্ছে। প্রতি এক জন যাত্রী দুইটি টিকেট বাধ্যতামূলক কেহ প্রতিবাদ করলে তাকে কোন টিকেট দিচ্ছে না,আরো অনেক খারাপ ব্যবহার করে।একই চিত্র অন্য স্টৈশনে চোখে পড়ে। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে ভৈরব বাজার স্টেশনে যাব কিন্তু আমাদের কে ঢাকার টিকেট দেওয়া হয়েছে,অন্যথায় টিকেট পাওয়া যাবেনা।

 ভৈরব বাজারের টিকেট দিলেও ঢাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। একেতো সিটের বিপরীতে আসন বিহীন বাড়তি টিকেট কাটতে হয়, পাশাপাশি আসন বিহীন টিকেট বিক্রি হচ্ছে দেদারসে।এ ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তিতাস কমিউটার ট্রেনটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স টি এম ট্রেডিংয়ের ব্যবস্হাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। আখাউড়া- ঢাকা- ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ঢাকা- ঢাকা- আখাউড়া পথে মোট চারবার যাতায়াত করে ট্রেনটি। ট্রেনে মোট ১৩ কি বগি সংযুক্ত আছে। ট্রেনটিতে উল্লেখিত চারবারের দিন অন্তত পাঁচ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে।

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ ট্রেনটি কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা ঢাকায় চাকরি করেন কিংবা নিম্ন -মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ এ ট্রেনে চড়েন বেশি। ট্রেনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া পথের ভাড়া ৬০ টাকা। যেখানে আন্ত:নগর ট্রেনে চড়লে ভাড়া অনেক বেশি। কালোবাজারিদের কাছ থেকে কিনতে গেলে    সেটা গিয়ে কারো পক্ষে ভাড়া বেশি হয়ে যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে ঢাকা থেকে ফিরতে হলেই তাদেরকে দুইটি টিকেটের গ্যারাকলে পড়তে হয়।

 চাহিদা বেশি থাকার কারনে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে একজনের বিপরীতে দুটি টিকেট কাটেন।নিয়ম না থাকলেও যাত্রীদেরকে আসন ছাড়া টিকেট দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।যাত্রীরা তিতাস ট্রেনের আরো একটি অনিয়মের কথা জানিয়েছেন।সেটি হলো , ঢাকা থেকে ফিরতি পথে পরবর্তী কাছের স্টেশন গুলোয় আসনসহ টিকেট খুব বরাদ্দ রাখা হয়।এ ক্ষেত্রে কেউ কাছের স্টেশনের টিকেট কাটতে চাইলেও ওই স্টেশনের টিকেট না পেয়ে বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিংবা আখাউড়া পযন্ত টিকেট কাটেন একজনের বিপরীতে দুটি।যে যাত্রীরা কমলাপুর থেকে পুবাইল আড়িখোলা নরসিংদী আমীরগন্জ,খানাবাড়ি,আটুবাঙ্গা মেহীদিগন্জ সহ আরো অনেক স্টৈশন গুলোতে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি নাই তারা ৬০ টাকার টিকেট ২০০ দিয়ে ও ক্রয় করে।যারা ভাড়া সম্পর্কে জানেন তারা প্রতিবাদ করলে অশোভন আচরণ করা হয় কিংবা টিকেট নাই ।আর যারা জানেন না তারা ঐ দামেই টিকেট ক্রয় করে ফেলেন, টিকেট হাতে নিয়ে গিয়ে তখন দেখেন একটি আসনসহ ও আরেকটি আসন বিহীন দেখে হতবাক হয়ে যান তবে এ বিষয়ে মেসার্স টি এম ট্রেডাসের স্বত্বাধিকারী মোঃ সালাউদ্দিন রিপনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 + eighteen =