বিশ্ব বাটপার মাসুম প্রতারণার মাধ্যমে আঙুল ফুলে কলা গাছ

0
600

নিজস্ব প্রতিনিধি : সোনারগাঁও থানার পৌরসভার কৃষ্ণপুরা গ্রামের মোতাহার শিকদার মাসুম বাটপারি ও প্রতারনা করে আংগুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে। আপন ভাইদের সাথেও এই প্রতারনা করেছে বলে জানান তার সহোদর বড় দুই ভাই মোমেন শিকদার ও মুকুল শিকাদার। পারিবারিক ব্যবসার টাকা, প্রবাসী ভাইদের পাঠানো টাকা, সরকারী গ্যাস চুরির টাকা আত্নস্বাদ করে কোটি কোটি টাকা বানিয়ে আংগুল ফুলে কলা গাছ হয়ে সেই টাকার অংশ মালয়েশিয়া পাচার করে বলে জানান তারা। মাসুম শিকদারের বড় ভাই মুকুল শিকদার জানায়, বিগত ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি বিদেশ থেকে কষ্টের রোজগার ৫০০৮৮ ইউরো যার বাংলাদেশের টাকা প্রায় ৫০ লক্ষ তার সাথে ব্যবসায় ইনভেস্ট করে কিন্তু প্রতারক মোতাহার মাসুম শিকদার বিভিন্ন ছলে-বলে মুলধন ফেরত দেই দিচ্ছি বলে তালবা্হানা করে সময় ক্ষেপন করে লাভের টাকা সহ মুলধন আত্নস্বাদ করার পায়তারা করছে। টাকা চাইলেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকিসহ অত্যাচার চালাচ্ছে তার বড় ভাই মুকুলের উপর।

পারিবারিকভাবে ভাইয়েরা মোতাহার মাসুম শিকদারকে প্লট নং ১২/৪০  মেরুল বাড্ডা, ঢাকাতে ৬তলা বিল্ডিয়ে ৩টি ফ্লাট দেয়। চিলারবাগ সোবহান হাজীর কাছ থেকে বিদেশী রেমিডেন্স দিয়ে ক্রয় করা জমি থেকে সমানভাগে জমি দেয়া হয় যার বাজার মুল্য ৬৫ লক্ষ টাকা, সিএন জি স্টেশনে শুন্য মুলধনে তাকে সমানভাগ দেয়া হয়েছে এবং বড় ৩ ভাই বিদেশে থাকার কারনে তাকে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পদ দেয়া হয়। এই পদ দেয়ার সুবাদে যত অপকর্ম আছে মোতাহার মাসুম শিকদার করেছে, যা সকলে অবগত আছে।

তার বড় ভাই মোমেন শিকদার জানান, সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার আইয়ুব প্লাজার ফপস টেইলারের সম্পুর্ন টাকা তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর দেয়া কিন্তু মুনাফিকি করে পুরা ফপের মালিকানা ডিড নিজ নামে করে। সোনারগাঁও মোগড়াপাড়ার কলাপাতা রেস্টুরেন্ট ফ্যামিলি ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও মোতাহার শিকদার প্রতারনা করে তার নামে কলাপাতার লগু নিজনামে নিবন্ধন করে নেয়,যার প্রেক্ষিতে মোমেন শিকদার বাদী হয়ে এই অবৈধ মুনাফিকের বিরোদ্ধে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আপিল করেছেন যা চলমান রয়েছে। ভাইদের প্রবাসী রেমিডেন্সে তাকে ২টি প্রাইভেট কার কিনে দেয়া হয় যা পরবর্তিতে সে নিজে গাড়ি ২টি বিক্রি করে এবং বিক্রিত টাকা আত্নস্বাদ করে।

মোমেন শিকদার আরো জানান, মোতাহার মাসুম স্বল্প শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন কোটেশন সংগ্রহ করে বাংলা ভাষায় বিভিন ছন্দে বিদেশে থাকা ভাই ও ভাইদের পরিবারের নামে ফেসবুকে অহরহ অসম্মান ও অপ্রিতিকর স্টাটাস দিয়ে তাদেরকে ছোট করার প্রয়্যাস চালিয়ে আসছে।যার বিভিন্ন প্রমান মোমেন শিকদার প্রতিবেদককে দেখিয়েছেন। কলাপাতা রেস্টুরেন্ট পারিবারিক ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও ভাইদের সাথে মুনাফিকি করে পরিবারের বাহিরের লোকদের নিয়ে কলাপাতার নাম দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা প্রদর্শন করছে। এ ব্যপারে মোমেন শিকদার ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে, পরিবারের বাহিরের কেউ কলা পাতার সাইনবোর্ড ব্যবহার করলে তিনি সামাজিক ও আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

তিনি আরো বলেন, মাসুম ব্যবসায়িক অংশিদার ভাই ও সরকারি সম্পত্তি আত্নস্বাদ করে অগাত সম্পত্তির মালিক হয়ে ঢাকা ও মালয়েশিয়া আসা যাওয়াকে রিক্সা ভ্রমনের মত সামান্য মামলি ব্যপার বানিয়ে ফেলেছে।মালয়েশিয়া অবৈধ টাকা পাচার করে সেকেন্ড হোমধারী হয়ে গড়ে তুলেছে বিশাল সম্রাজ্য। যা অনুসন্ধান করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।

জানা যায় আয়কর, ভ্যাট অফিসারদের সাথে সখ্যতা গড়ে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে গড়ে তুলেছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়ঃ ১) সোনারগাঁও থানার কাইকারটেকে ১১৩ শতাংশ জমি রয়েছে মাসুম শিকদারের নামে বেনামে ২) গ্রীন সিটি নামে সোনারগাঁওয়ে কৃষ্ণপুড়ায় এলাকায় ২২/২৩ কানি জমির মালিক হয়ে আরেক প্রতারনার ব্যবসা শুরু করেছে বলে জানা যায়।অন্যের জমি হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করেছে বলে জানা যায়। গ্রাহকের সাবধানতা অবল্মবন করে তার সাথে ব্যবসা বা ক্রয় করতে অনুরোধ করা হল। ৩) ফপস টেইলার্স নামে ৩ টি দোকান আছে যার প্রতিটির মুল্য কোটি টাকার উপরে। ক) মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার আইয়ুব প্লাজার ২য় তলায়  খ) ভুলতা রেজোয়ান প্লাজার ২য়তলায়  গ) চিটাগাং রোড আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেট ২য়তলায়। ৪) সোনারগাঁও সেন্টার হসপিটাল মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে সোনারগাঁও থানার রোডে যেতে ডানদিকে  ৫) সোনারগাঁও থানার পিছনে ৮ শতাংশ ভুমি তার স্ত্রী সুমির নামে যার মুল্য ৪০ লক্ষ টাকা। ৬)মালয়েশিয়াতে রয়েছে ২টা রেস্ট্রুরেন্ট, ফপ টেইলার্স, লাক্সারি ফ্লাট ১টি, লাক্সারি গাড়ী ১টি  ৭) কলাপাতা সুইটস এন্ড বেকারী মোগড়াপাড়া ১টি ও উদ্ধবগঞ্জ বাজারে ১টি। ৮) কলাপাতা কপি হাউজ আইয়ুব প্লাজায় ২য় তলায়। ৯) পেষ্ট্রি বেকারী সোনারগাঁও থানা রোডে আয়েশা আমজাদ ক্লিনিকের পিছনে। ১০) ইত্যাদি রেস্ট্রুরেন্ট আইয়ুব প্লাজার ৩য় তলায় যা নির্মানাধীন রয়েছে।যার আনুমানিক ব্যয় হবে ২ কোটি টাকা ১১)কলাপাতা বার্গার মদীনা টাওয়ারে লাক্সারী ব্যবসা। মাসুম শিকদারের বড় দুই ভাই জানিয়েছেন তাদের টাকা আত্নস্বাদ করে এবং সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে এই অবৈধ সম্পত্তির পাহাড় গড়েছে প্রতারক মোতাহার মাসুম শিকদার। এনবিআর ও দুদুকের মাধ্যমে সত্যের সন্ধান তদন্তের জন্য সরকারের কাছে জোড় দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী তার সহোদর দুই বড় ভাই।

তাছাড়া, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট সত্য সন্ধানে ও আইনি সহায়তা করার অনুরোধ করেন মোমেন শিকদার ও মুকুল শিকদার। মুকুল শিকদারের এ্যাশ কালারের নোহা গাড়ি যার নাম্বার ঢাকা মেট্টো-চ-৫৬-২৭৭৫ চুরি করে উদাও করে মোতাহার মাসুম শিকাদার। উক্ত গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটলে গাড়ির মালিক উপজেলার পৌরসভা কৃষ্ণপুরার খোরশিদ শিকদারের ছেলে মহসিন উল ইসলাম মুকুল বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এব্যাপারে সোনারগাঁ থানা এস আই নঈমুল ইসলাম চুরিকৃত গারী উদ্ধারের ঘটনা স্বীকার করেছেন। সোনারগাঁও পৌরসভার নাইট গাট আবুল থেকে জানা যায় যে, গত ১৬/০২/২০২২ইং তারিখ মোতাহার মাসুম শিকদার এ্যাশ কালারের নোহা গাড়ি যার নাম্বার ঢাকা মেট্টো-জ-৫৬-২৭৭৫ অফিসের ভিতরে রেখে পৌরসভার সচিব সজীব সাহেবের পিয়ন আহমেদের সাথে কথা বলে চলে যায়। আবুল আরো জানায়, “মনে হয় মোবাইল ফোনে মাসুম শিকাদার আগে থেকে পৌরসভার কর্মকর্তাদের সাথে গাড়ী রাখার কথা বলে নিয়েছে। তাই আমাকে গাড়ীটি দেখে রাখতে বলে যায়।”  —–চলবে

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × one =