ভিক্ষুক ভিজিডি চাল আবদার করার জের ধরে ইউপি সদস্যের মারধরে আহত-৭: গ্রেফতার-১

0
493

জয়পুরহাট  প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে বৃদ্ধা  ভিক্ষুক বিউটি স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছে ভিজিডি কার্ড চাইলে তাকে ভোট না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ জন নারী-পুরুষকে মারধর করে গুরত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টু ও তার সহযোগীদের বিরূদ্ধে। গত রাতে সদর উপজেলার দূর্গাদহ গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যকে প্রধান আসামী করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে হায়দার আলী নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিশ ও ভুক্তভুগিদের অভিযোগে জানা যায়, জয়পুরহাটের ভাদশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টু স্থানীয় গুচ্ছগ্রামের ভিজিডি চালের কার্ডের নাম লিস্ট করছিলো। এমন সময় বৃদ্ধা ভিক্ষুক বিউটি (৫৫) ও তার মেয়ে মারুফা ওই ইউপি সদস্যর কাছে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিজিডি কার্ডের আবদার করে। এসময় ভিক্ষুক ও তার মেয়ে তাকে ভোট দেননি বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে ওই ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিরা।

সে সময় রোকসানা, দেলজান, দেলোয়ার হোসেনসহ প্রতিবেশীরা তাদেরকে মারধর থেকে রক্ষার চেষ্টাা করলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে অভিযোগ করলে ইউপির সদস্য ও সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত রাতে পুনরায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে  প্রতিবেশী রোকসানা সহ তাদেরকে এলোপাথারি মারধর করে ৭ জন নারী পুরুষকে গুরত্বর আহত করে।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তারা হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতেই ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টুকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভুগিরা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টুর সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, ভুক্তভোগীরা প্রথমে মারধরের অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। যেহেতু মেম্বার সংশ্লিষ্ট ব্যাপার সেহেতু তাদেও থানায় থানায় পাঠিয়ে দেই। তারা থানায় না গিয়ে ডিসি ও ইউএনও এরা কাছে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছে। পরে শুনছি এ নিয়ে প্রচন্ড গোন্ডগোল হয়েছে রাতে।

জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম আলমগীর জাহান চ্যানেল আই অনলাইনেকে বলেন, মারামারি ঘটনায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। দুই মামলাতেই ইউপি সদস্য পিন্টুকে ১ নাম্বার আসামী করে ১৪ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে হায়দার আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, কাউকে মারার অধিকার আপনার আমার কারোই নাই। ওই ইউপি সদস্য যেহেতু মেরেছে সেহেতু তার বিরূদ্ধে মামলা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ইউপি সদস্যের বিরূদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − four =