এম শাহীন আলম: খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিল্ডিং নির্মাণ বিভাগের এনওসি প্লান কর্মকর্তা শবনম সাবা, মাসুদুর রহমান, পরিদর্শক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্টদের চরম অনিয়ম এবং স্থানীয় ভূমিদস্যু জমি (পাওয়ার প্রাপ্ত) বিক্রয় দাতা হান্নানের প্রতারণা। ও আসাদুজ্জামান এর প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দমকি আর মিথ্যা মামলায় দিশেহারা অসহায় খলিল হাওলাদারের পরিবার। সরেজমিনে জানা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মোহাম্মদনগরে ০.০৫ একর জমি ২০০৭ সালে ক্রয় করে দলিলপত্র সম্পাদন করেন খলিল হাওলাদার। পরক্ষণে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কে.ডি.এ) ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং প্লান অনুমোদনক্রমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড খুলনা শাখার উক্ত জমিটির কাগজপত্র বন্ধক রেখে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহন করে বিল্ডিংটির ৩য় তলা পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ করেন খলিল হাওলাদার। অনুসন্ধানকালে সরেজমিনে গণমাধ্যমকে খলিল হাওলাদার জানান, আমি খরিদকৃত জায়গা বাড়ীটি নির্মাণ চলাকালে স্থানীয় ভূমিদস্যু আসাদুজ্জামান আমার জায়গা এবং আমার বিরুদ্ধে আদালতে ভিক্তিহীন একটি মিথ্যা মামলা করেন। তিনি জানান, আসাদুজ্জামান আমাকে জায়গা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দমকি সহ তার অনুসারীদের দিয়ে আমার বাড়িতে একাধিকবার মহরা সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। তার এবং তার অনুসারীদের ভয়ে আতংকে আমার কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে আজ আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমার দুই ছেলে সন্তানের লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে, এই আসাদুজ্জামান এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হুমকি দমকি এবং কেডিএ এর কর্মকর্তাদের চরম অনিয়ম এর কারণে অন্যায়ভাবে মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেডিএ কর্মকর্তা শবনম সাবা ও মাসুদুর রহমানের যোগসাজশ ও নির্দেশে আমার বাড়িটি ভাংচুর করে। এবং সেচ্ছায় বাড়িটি ত্যাগ না করলে সামনে আমার এবং আমার পরিবারের বিষণ ক্ষতি সাধন হবে বলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে আসাদুজ্জামান ও তার অনুসারীরা। নিউজটি দ্বিতীয় পর্ব লিখার পাক্কালে মুঠো ফোনে ভুক্তভোগী খলিল হাওলাদার বলেন, আমি গত ৪ এপ্রিল-২০২৩ তারিখ দুপুরের দিকে কেডিএ কার্যালয়ে যাই। যাওয়ার পর কেডিএ চেয়ারম্যান আমাকে বলে আপনি তো ঢাকা থেকে চার পাঁচ জন সাংবাদিক এনেছেন। তারা এসে আপনার পক্ষে কি কাজ করলো, আপনি আর কথা বলবেন না। আমরা কি শুধু আপনার কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকবো নাকি, আমাদের কি আর কোন কাজ নেই। খলিল আরো জানান ঐ দিন কিছুক্ষণ পর বিল্ডিং নকশা প্লান কর্মকর্তা মাদুসুর রহমান তাকে ডেকে বলেন আমরা আদালতের কোন রায় টায় মানি না। আপনি আমাদের ডিস্টার্ব করবেন না, আমরা যা করছি আমাদের কেডিএ এর আইন মেনেই করছি। এসব সাংবাদিক আর নিউজ করে কোন লাভ নেই। খলিল হাওলাদার বলেন, আমি কেডিএ এর নকশা প্লান অনুযায়ী বিল্ডিং করেছি। তার দাবী যে অফিসারগুলো আমার বিল্ডিং এর এনওসি নকশার প্লান অনুমোদন দিয়েছে ঠিক তারাই কয়েক বছর পর বলছে আমি যে জায়গায় বিল্ডিং করেছি তারা নাকি ঐ জায়গার বিল্ডিং করার এনওসি নকশা প্লান অনুমোদন দেয়নি। আমি নাকি অন্যের জায়গায় বিল্ডিং করেছি। তারা যদি আমাকে বিল্ডিং করার অনুমতি না দিতো তাহলে কি আমি কখনো এখানে বিল্ডিং করতে পারতাম। বিল্ডিং করার অনুমতি যখন দিয়েছেন তার আগে কেডিএ ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন আমার জায়গা এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং বিল্ডিং নির্মাণের নকশা ও দেখভালও ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিনই করেন। তার প্রশ্ন তাহলে সবেই কেডিএ এর কর্মকর্তারা করার পরও কিভাবে আমার বিল্ডিংটি অবৈধ ঘোষণা করে আমার বিল্ডিং গুড়িয়ে দিলো খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য সরজমিনে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাগজপত্র অনুযায়ী জানা যায়, গত ২০১১ সালের ৮ডিসেম্বর খলিল হাওলাদার কেডিএ থেকে তার বিল্ডিং/বাড়ি করার এনওসি গ্রহন করেন। এবং ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারী কেডিএ থেকে বাড়ী করার নকশা অনুমোদন করান, নকশা প্লান পাওয়ার পর ২০১৫ সালের বাড়ীর বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কেডিএ এর তথ্য অনুযায়ী খলিল এর বাড়িটি একতলা নির্মান চলাকালীন সময়ে জৈনিক ভূমিদস্যু মো: আসাদুজ্জামান ২০১৬ সালের ২৯ শে আগস্ট নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। তৎকালীন আসাদুজ্জামান এর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৩১ শে আগস্ট মো: খলিল হাওদারের বিরুদ্ধে খেলাপী নির্মাণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস ইস্যু করে কেডিএ। এবং এই কারণ দর্শানোর নোটিস এর জবাবে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর খলিল হাওলাদার উল্লেখ করেন তিনি নকশার পরিপন্থী কোন কাজ করেননি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২রা নভেম্বর স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদানের চিঠি দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর। তৎকালীন ২০১৬ সালের ২রা নভেম্বর খলিল হাওলাদার স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য তিনি জানান। তার বাড়িটি কেডিএ নকশার পরিপন্থী কোন কাজ তিনি করেননি। ২০১৬ সালের ২রা নভেম্বর তারিখের স্ব-শরীরে বক্তব্যটি গ্রহনযোগ্য না হওয়ায় গত ৩০ জানুয়ারী ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখে মো: খলিল হাওলাদারকে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে খেলাপী নির্মাণ কাজটি ভেঙে ফেলার চিঠি দেয় কেডিএ কর্তৃপক্ষ। তখন নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নির্মাণ কাজ না ভাঙ্গার কারণে ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী তারিখের মধ্যে ভবনটি খালি করার জন্য পুনরায় ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে চুড়ান্ত খালি করার চিঠি দেয় খলিল হাওলাদারকে কেডিএ কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন চুড়ান্ত খালি করার নোটিস পাওয়ার পর মো: খলিল হাওলাদার কেডিএ এর অথরাইজড অফিসারকে ১নং আসামী এবং ভূমিদস্যু আসাদুজ্জামান কে ২নং আসামী করে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৮ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর তারিখে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বটিয়াঘাটা। খুলনা আদালতে ২৩৭/১৮ নং দেওয়ানী মামলা রুজু করেন। জানা যায়, “এই মামলার ফলে আদালত কর্তৃক কমিশন নিয়োগ করে উকিল কমিশন কর্তৃক সরেজমিন সার্ভে পরিদর্শন করে মাঠ প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত মাঠ পর্যায়ে উল্লেখ করা হয় যে ৭৩১ নং দাগে অর্থ্যাৎ যে দাগে (কেডিএ) এনওসি ও নকশা প্রদান করা হয়েছে সে দাগে কোন ভবন নেই।” প্রশ্ন হলো ৭৩১ নং দাগে যদি কোন ভবন না থাকে তাহলে কোন গায়েবী দাগ শনাক্ত করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কি পরিদর্শন করে কিসের ভিত্তিতে তৎকালীন ২০১২সালের ১৭ জানুয়ারী এনওসি প্রাপ্তির নকশা অনুমোদন দিলেন। এবং কেডিএ উকিল কমিশন এর মাঠ পর্যায়ে প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালতও রায় প্রদান করেন। এছাড়াও এ রায়ে উল্লেখ করেন যে কেডিএ অনুমোদিত এনওসি নকশা অর্থ্যাৎ ৭৩১ দাগ অনুযায়ী সরেজমিনে কোন ভবন নেই। এবং বাদীর জমির চৌহদ্দি নালিশী জমিতে বাদীর নিরঙ্কুশ দখল অপ্রমাণিত। সরেজমিনে খলিল হাওলাদার জানান, আমি যখন বিল্ডিং এর প্লান পাশ করাই যদি ৭৩১ দাগ আমার জমি না হয় তাহলে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) কি করে তদন্ত না করে কিসের ভিত্তিতে কোন জমির উপর তৎকালীন আমাকে এনওসি (কেডিএ) বাড়ি করার জন্য নকশা প্রদান করেন। এবং নকশা অনুমোদন পাওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিল্ডিং নির্মাণ কাজটি চলাকালীন সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন কেডিএ ইঞ্জিনিয়ার মো: গিয়াস উদ্দিন। এখানে আরো প্রশ্ন হলো যদি ৭৩১ দাগে ভবন না থাকে তাহলে এই বর্তমান যে ভবনটি নির্মাণ হলো সেটি গায়েবী নাকি কোন ষড়যন্ত্র।
আরো প্রশ্ন হলো যে জমি/জায়গাটি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নকশা অনুমোদন দিলেন তাহলে ঐ জমিটি কোথায়? খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন কাগজ এর সূত্র মতে আরো জানা যায়। পরবর্তীতে ভূমিদস্যু হান্নান এর প্রতারণা যোগসাজশে জৈনিক আসাদুজ্জামান পুনরায় ২০২২ সালের ৪ঠা অক্টোবর স্থাপনাটি অবৈধ বলে উচ্ছেদ এর জন্য আদালতের রায়ের কপি সংযুক্ত করে কেডিএ চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন দাখিল করেন। তার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ভবনটি ভাঙ্গার বিষয়ে মতামত গ্রহনের জন্য নথি গুলো আইন উপদেষ্টার নিকট পাঠানো হয় এবং আইন উপদেষ্টা ভবনটি যে দাগে বিদ্যমান সেই দাগ উল্লেখ করে নোটিস প্রদান করেন।
আইন উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে সরেজমিন পরীক্ষা করে যে দাগে ভবনটি (৭৩০ দাগে) বিদ্যমান উল্লেখ করে গত ৬ অক্টোবর-২০২২ তারিখে ৭ দিনের সময় দিয়ে জায়গাটি খালি করার নোটিস প্রদান করেন। পরক্ষণে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর ভবনটি অপসারণ এর বিষয়ে পুনরায় মতামতের জন্য নথি গুলো আইন উপদেষ্টার নিকট পাঠানো হয়। আইন উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে উল্লেখ করেন যে নোটিস মোতাবেক অবৈধ নির্মাণকারী ভবনটি অপসারণ না করায় আইন মোতাবেক উহা অপসারনের বাধা নাই মর্মে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর তারিখে মতামত প্রদান করেন।
তৎকালীন সময়ে কেডিএ এমন আচরণে দিশেহারা হয়ে মো: খলিল হাওলাদার অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর তারিখে দেওয়ানী ১৬৩/২০২২ নং আপীল দাখিল করেন। এই আপীলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেডিএকে কারণ দর্শানোর নোটিস ইস্যু করেছেন যা কেডিএ কর্তৃক ১৩/১০/২০২২ তারিখে গ্রহন করা হয়। উক্ত নোটিস এর প্রেক্ষিতে ঘটনার বিবরণী তৈরি করে আইন সহকারীর মাধ্যমে গত ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর তারিখে আইন উপদেষ্টার নিকট পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে ভবনটি কে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন উল্লেখ করে খালি করার জন্য গত ০২/০৩/২০২৩ তারিখে চিঠি দেওয়া হয়। এবং ভবনটি কে অবৈধ ঘোষণা করে অপসারণের জন্য ২৩ জানুয়ারী-২০২৩ তারিখে চিঠি দেওয়া হয়। এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবহারকারীদের ভবন ত্যাগ করার জন্য লবনচরা থানার অফিসার ইনচার্জ কে গত ২১ শে মার্চ ২০২৩ তারিখে চিঠি দেওয়া হয় বলে কেডিএ তার নথিতে উল্লেখ করেন। অসহায় মো: খলিল হাওলাদার গণ মাধ্যমকে জানান।
তৎকালীন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) অথরাইজড অফিসার, জি এম মাসুদুর রহমান। কেডিএ এর (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শবনম সাবা (স্থায়ী সদস্য উন্নয়ন) ও জামাল উদ্দিন বাচ্চু এবং সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) মো: আল আমীন গণ নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত হইয়া বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত। খুলনা এর দেওয়ানী আমলী ১৬৩/২০২২নং মামলার মোকদ্দমা এর গত ০১/১১/২০২২ ইং তারিখের কারণ দর্শানোর আদেশ এর তোয়াক্কা না করিয়া বিচারাধীন বিষয়ের উপর অবৈধ ভাবে প্রবেশ করিয়া আমার ৩ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি গত ৩১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে ভাংচুর করিয়া গুড়াইয়া দেন।
খলিল হাওলাদার এর লিখিত আবেদন সহ ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করা হলো-আমি মো: খলিল হাওলাদার, পিতা: মৃত জহুর আলী হাওলাদার, সাং ১৪৯৯ মোহাম্মদ নগর, গল্লামারী, সাবেক বটিয়াঘাটা, থানা: লবনচরা, খুলনা, লোকেশন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা। এই মর্মে প্রতিপক্ষ গণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে। জেলা খুলনা সাবেক থানা-বটিয়াঘাটার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর। মৌজার মধ্যে সি, এস খতিয়ান ৬৩/১ নং খতিয়ান।
তৎপর এস, এ ৭৮ ও ৭৯ নং খতিয়ানের এস এ ১৬৫, ২১৫, ১১৭ দাগে ১.৫৯ একর জমি তদমধ্যে হইতে ০.০৫ একর জমি যাহা বর্তমান ও বি, আর, এস জরিপে ৬৩/১ খতিয়ানে বি, আর, এস ৭৩১ দাগে ০.২৪ একর ও বি, আর, এস ৭৩২ দাগে ০.০৪ একর একুনে ০.২৮ একর জমির মধ্যে বি, আর, এস ৭৩১ নং দাগে ০.০৫ একর জমি। আমি প্রবাসে কর্মরত থাকিয়া বহু কষ্ট করিয়া উপার্জিত অর্থ নিয়া দেশে আসিয়া গত ২৬/০৮/২০০৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ৩৩৯৯ নং কবলায় ০.০৫ একর জমি খরিদ করিয়া (১) কেডিএ অথরাইজড অফিসার মাসুদুর রহমান, (২) শাবনাম সাবা (৩) প্রকৌশলী বাচ্চু নামক প্রতিপক্ষের দপ্তর হইতে বিল্ডিং নির্মাণের প্লান পাশ করিবার আবেদন করিলে। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১ নং প্রতিপক্ষ অথরাইজড অফিসার কেডিএ খুলনা সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বাড়ি নির্মাণের প্লান পাশ করেন।
তদপরবর্তী পর্য্যায়ে ১নং প্রতিপক্ষ অনৈতিক দাবী পূরন করিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার প্রতি ঈষান্বিত হইয়া আমার স্বত্ব দখলীয় বিল্ডিংটি প্লান বহিভূর্ত নির্মাণ করা হইয়াছে এ মর্মে চিঠি ইস্যু করত: উহার বিরুদ্ধে আমি বাদী হইয়া বিজ্ঞ বটিয়াঘাটা সহকারী জজ আদালতে দে: ২৪/১১ নং বাটোয়ারা মোকদ্দমা দায়ের করিয়া গত ১৫/০৯/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখের চুরান্ত ডিক্রী (যাহা দে: জারী ০১/২২ নং মোকদ্দমায় ২১/০৭/২০১৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখের) বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে দখল প্রাপ্ত হইয়া পূর্ণ সন্তুষ্টিতে নিস্পতি হয়। আমার স্বত্ব দখলীয় ০.০৫ একর জমির উপর কে, ডি, এ এর অনুমোদিত প্লান মোতাবেক ৩ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করিবার জন্য নগদ অর্থের আবশ্যকতায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড খুলনা শাখার উক্ত জমি বন্ধক রাখিয়া ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহন করিয়া এবং প্রবাসে চাকুরী করিয়া কিছু উপার্জিত অর্থ দিয়া ৩ তলা বিল্ডিংটি নির্মাণ করে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করিয়া আসিতেছি।
আমি বর্তমানে একটি সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানিতে গার্ড হিসেবে একটি ব্যাংক এর এটিএম বুথে কর্মরত আছি, অতি কষ্টের সহিত বর্তমানে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাসরত থাকা অবস্থায় ৪ নং প্রতিপক্ষ প্রতারক সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু মো: আসাদুজ্জামান দ্বারা ১-৩ নং প্রতিপক্ষ অবৈধ ভাবে প্রভাবিত হইয়া তাহাদের অনুমোদিত প্লান মোতাবেক নির্মিত বিল্ডিং সঠিক ভাবে নির্মাণ করা হয়নাই বা নকশা বহির্ভূত মর্মে দাবী করিয়া আমার নিকট ১ নং প্রতিপক্ষ তাহার দপ্তর হইতে চিঠি ইস্যু করিয়া বিল্ডিংটি ভাঙ্গিয়া ফেলার নির্দেশ দেন।
তৎপর আমি নিরুপায় হইয়া জেলা খুলনার বিজ্ঞ বটিয়াঘাটা সহকারী জজ আদালত দে: ২৩৭/১৮ মোকদ্দমা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাবদ ১ ও ৪ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। আমার নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীর ভুলের কারনে মোকদ্দমাটি খারিজের রায় ডিক্রী হইলে আমি বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত। খুলনাতে দে: আ: নং ১৬৩/২২ নং মোকদ্দমা দায়ের করিয়া ১১/১০/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ১ ও ৪ নং প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করিয়া উহা শুনানী অন্তে বিজ্ঞ জেলা জজ বাহাদুর সদয় প্রীত হইয়া ১ ও ৪ নং প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর আদেশ প্রদান করিয়া ০৯/১১/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য রাখেন। এই বৎসরে ১-৪ নং প্রতিপক্ষ ৫নং আবুল মোল্লা প্রতিপক্ষের দ্বারা অবৈধ ভাবে প্রভাবিত হইয়া বিজ্ঞ জেলা জজ ১৬৩/২০২২ নং মোকদ্দমার কারণ দর্শানোর আদেশের প্রতি কোনরূপ তোয়াক্কা না করিয়া বা বিজ্ঞ আপীল আদালতে বিচারাধীন বিষয়ের উপর কটুক্তি করিয়া দুর্নীতিবাজ নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত ১-৩ নং প্রতিপক্ষগণ গত ৩১/১০/২০২২ তারিখে বিল্ডিংটি ভাংচুর করেন। তদসময় আমি ও আমার স্ত্রী পুত্র ১ -৪ নং প্রতিপক্ষের নিকট বিজ্ঞ আদালতের কারণ দর্শানোর আদেশ দেখাতে চাইলে ১ নং প্রতিপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক।
আমি সহ আমার স্ত্রী পুত্র কন্যাকে আটক করিয়া বিজ্ঞ আদালতের কারণ দর্শানোর আদেশ সম্পর্কে কটুক্তি করিয়া বিল্ডিং ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু করেন। যাহা বিচারাধীন বিষয়ের উপর হস্তক্ষেপ করিয়া আদালত অবমাননার সামিল হইতেছে। বিজ্ঞ আদালতে কারণ দর্শানোর আদেশের তোয়াক্কা না করিয়া ১-৩ নং প্রতিপক্ষ নিজেদেরকে চধহরপ গড়হবৎ, ঝপঁষ ঙফবৎ ধহফ গরং ঈযধরপ-গধষবৎ হিসাবে নিজেদেরকে সহজে প্রকাশ করিয়া উক্তরূপ কার্য করায় আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যগণ রাস্তার ভিখারিতে পরিণত হইয়া মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি।
তাই আপনার মহানুভবতার নিকট আকুল আবেদন যাহাতে আমি নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত দুর্নীতিবাজ অফিসার ১- ৪ নং প্রতিপক্ষের উক্তরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অনাকাঙ্খিত আচরণের মাধ্যমে দেওয়ানী আদালতে বিচারধীন বিষয় প্রত্যক্ষভাবে অবমাননা করিয়া আমার স্বত্ব দখলীয় বিল্ডিংটি ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয়। সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে ভুক্তভোগী মো: খলিল হাওলাদার আবেগপ্রবণ হয়ে কান্না জরিত কন্ঠে গণ-মাধ্যমকে জানান। আমি একজন নিরহ লোক আমি সারা জীবন প্রবাসে কষ্ট করে কষ্টার্জিত কিছু সঞ্চয় দিয়ে ছেলে মেয়ে পরিবার নিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে আরো ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি নির্মাণ করি।
এই বিল্ডিংটি নির্মাণ করা অবস্থা থেকে স্থানীয় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী আসাদুজ্জামান ভুয়া দলিলপত্র উপস্থাপন করে আমাকে আমার পরিবারকে বাড়ি জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ হুমকি দমকি সহ জায়গা বাড়ী ত্যাগ না করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে একাধিক বার জানান। খলিল হাওলাদার আরো জানান। কিছু দিন পর পর এই সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু আসাদুজ্জামান এলাকার তার কিছু বখাটে সন্ত্রাসী বাহিনীর সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। আমি বর্তমানে জানের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত।
আমার এসব বিষয়ে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কে আমার সকল বিষয় অবগত করে লিখিত ভাবে প্রাণের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করলে তিনি জেলা পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করলেও লবনচরা থানার ওসি আমাকে কোন প্রকার সহযোগিতা করেননি। খলিল হাওলাদার জানান, বিল্ডিংটি ভাঙ্গার কারণে নিরুপায় হয়ে আমাকে আমার পরিবার কে এই ভাঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং এ থাকতে হচ্ছে। এবং মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আর হামলা মামলার ভয় তো আমার চির সঙ্গী হিসেবে চলতে হচ্ছে। সরেজমিনে খলিল হাওলাদার এর স্ত্রীও তার অসহায়ত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন এবং তাদের উপর এই অমানবিক নির্যাতনের মূল হোতা হিসেবে ভূমিদস্যু আসাদুজ্জামান কে দায়ী করেন।
মো: খলিল হাওলাদার ও তার স্ত্রী’র অভিযোগ করে বলেন কেডিএ কে অবৈধ ভাবে টাকা দিয়ে আসাদুজ্জামান এমন ন্যাক্কারজনক জনক জুলুম করছে আমাদের উপর। তাদের প্রশ্ন কেডিএ যদি আমাদের বিল্ডিং করার অনুমোদন না দিতো তাহলে তো আমরা এই বিল্ডিং করতে পারতাম না। খলিল ও তার স্ত্রী’র প্রশ্ন হলো যদি জায়গাটি আমাদের না হয়ে থাকে তাহলে কেডিএ কিসের উপর ভিত্তি করে আমাদের এনওসি বিল্ডিং করার জন্য নকশা অনুমোদন দিলো এবং এতো বছর পর এসে তাদের দেওয়া অনুমোদন করা কাগজ আবার অবৈধ ঘোষণা দিলো। আর জায়গাটি যদি আমাদের না হয়ে থাকে তাহলে ব্যাংক আমাদের এই জমিটির কাগজপত্রের ভিত্তিতে কিভাবে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ দিলো। তাদের অভিযোগ ভূমিদস্যু হান্নান ও আসাদুজ্জামান এর অবৈধ আবদার এবং টাকার কাছে কেডিএ এর কিছু কর্মকর্তা বিক্রি হয়ে গেছে।
যার কারনে কেডিএ আমাদেরকে আমাদের বাড়ি থেকে অন্যায় ভাবে সরানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। মো: খলিল হাওলাদার এবং তার স্ত্রী’র দাবী ভূমিদস্যু আসাদুজ্জামান সহ কেডিএ অফিসার যারা অন্যায় ভাবে বিল্ডিংটি অনুমোদন দিয়ে আবার বিল্ডিংটি ভেঙ্গে আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা থেকে উচ্ছেদ এর জন্য পাঁয়তারা করছে সংশ্লিষ্ট তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে আমাদের ক্ষতিপূরণ সহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী খলিল ও তার পরিবার। এই বিষয়ে সরেজমিনে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বললে তিনি গণ মাধ্যমকে জানান। বিষয়টি শুনতে খুবই দু:খজনক, তবে যা কিছু করা হয়েছে তা আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কেডিএ এনওসি প্লান অনুমোদন দিয়ে আবার কয়েক বছব পর বিল্ডিংটি অবৈধ কিভাবে হয় তা জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমরা তো জমির কাগজ দেখে প্লান অনুমোদন দেই।
যদি জমির কাগজপত্রে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের কি করার আছে। চেয়ারম্যান কে আবার প্রশ্ন করা হয় প্লান অনুমোদন দেওয়ার আগে সরেজমিন পরিদর্শন করে অনুমোদন দেওয়া হয় কিনা এর উওরে তিনি জানান। অবশ্যই সরেজমিন পরিদর্শন করেই তখন এনওসি প্লান অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এখন যদি জায়গাটি নিয়ে দলিলে কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাদের কেডিএ এর কি করার আছে এটাতো আদালতের ব্যপার বলে তিনি দ্বায়সাড়া ভাবে নিজেকে সেইভ করার চেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে যদি কেউ অনিয়ম করে তাহলে এটার দ্বায়-দায়িত্ব তো অপরাধীকে নিতে হবে।
আদালতের রিট উপেক্ষা করে বিল্ডিংটি ভাঙ্গার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যা কিছু করা হয়েছে তা আইনকানুন মেনেই করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি পুনরায় দেখভাল করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। মো: খলিল হাওলাদারের বিল্ডিংটির প্লান অনুমোদনকারী অফিসার জি এম মাসুদুর রহমান কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন। আমি আমার সিনিয়র অফিসার শবনম সাবা স্যার এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি বলে বিষয়টি তিনি এরিয়ে যান। তিনি বলেন আমরা যে জায়গা প্লান অনুমোদন দিয়েছি সে জায়গায় খলিল হাওলাদার বিল্ডিং নির্মাণ করেননি। তার এমন প্রশ্নের জবাবে পুনরায় প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানকে প্রশ্ন করা হয় যদি খলিল হাওলাদার আপনাদের কেডিএ এর প্লান অনুযায়ী বিল্ডিং না করে থাকে তাহলে আপনারা যে জায়গায়টিতে বিল্ডিং করার প্লান অনুমোদন দিয়েছেন ঐ জায়গায়টি কোথায় প্রশ্ন করা হলে মাসুদুর রহমান কথার পাশ কাটিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে মোবাইল ফোনের কলটি তাৎক্ষণিক কেটে দেন তখন তাকে বার বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
খলিল হাওলাদারের জমি এবং বিল্ডিং এর এনওসি পাশ প্লান এবং বিল্ডিং ভাঙ্গার বিষয়ে কেডিএ কর্মকর্তা শবনম সাবা’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন। আমার অফিসে কেউ ফেরেস্তা না ভুলক্রুটি থাকতেই পারে। আমরা যা করেছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের আইন মেনেই করেছি। খলিল হাওলাদার এবং তার স্ত্রী’র বক্তব্য অনুযায়ী তাদের অভিযোগ তারা বিল্ডিংটি ভাঙ্গা রোধ করতে শবনম সাবা কে নগদ ৫০ হাজার দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শবনম সাবা গণমাধ্যম কে বলেন। আমি যদি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকি তাহলে প্রমাণ দেখাতে বলেন। প্রমাণ দেখাতে পারলে তখন দেখা যাবে।
আর যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি জেনে শুনে আসাদুজ্জামানদের যোগসাজশে কি করে অসহায় লোকটির উপরে এমন কাজটি করতে পারলেন এমন কথা বলা অবস্থায় শবনম সাবা তার মোবাইল ফোনের কলটি কেটে দেন এবং পুনরায় তাকে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। কেডিএ পরিদর্শক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যেভাবে অফিস থেকে দিক নির্দেশনা পাই ঠিক সেই ভাবে কাজ করি বলে তিনি তার সিনিয়র অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন। খলিল হাওলাদার যাদের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেছিলেন তাদের মধ্যে জমিটির (পাওয়ার) প্রাপ্ত মালিক হান্নান কে জমিটির খলিল হাওলাদার এর কাছে বিক্রি করেছে কিনা এবং এই জমিটি সঠিক কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে হান্নান গণ-মাধ্যমকে জানান।
যে জমিতে বিল্ডিং এই জমিই আমরা খলিল হাওলাদারের নিকট বিক্রি করেছি। তাকে আবার প্রশ্ন করা হয়, যদি আপনারা যে জমিটি বিক্রয় করেছেন সেই জমিতে যদি বিল্ডিং করে থাকে তাহলে কেডিএ এখন বিল্ডিং ভেঙে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করছে এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি? তখন মো: হান্নান গণমাধ্যম কে বলেন।
যে জমিটিতে খলিল হাওলাদার বিল্ডিংটি করেছেন এটা আমার বাপ দাদার কিনা সম্পত্তি। ১৯৬৯ সাল থেকে আমাদের দখলেও আছে এবং ৮০ এর দশকে আমরা এর দলিলপত্রও সম্পাদক করে ২০০৭ সালে ১২ শতক জায়গায় মধ্যে খলিল এর নিকট জমিটির ৫ শতক জায়গায় বিক্রি করেছি। তিনি যে জায়গায় বিল্ডিং করেছে এই জায়গাই সে আমাদের কাছ থেকে কিনেছে। তবে জায়গায় টি যখন কিনেছে তখন “আরএস” খতিয়ানে দাগ নাম্বার ভুল করার কারণে তার সমস্যাগুলা হচ্ছে। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি যে দলিলে সই করে তাকে রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন তখন কি আপনারা দলিল না পরেই সই করে দিয়েছিলেন।
আপনারা সঠিক দলিল দিলে এখন তার বিল্ডিং ভেঙে তাকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে কেন এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি? হান্নান জবাবে বলেন। খলিল হাওলাদার দলিলের সময় দাগ ভুল করেছে এটা তিনি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করবে এতে আমাদের সমস্যা কি? তাকে যখন বার বার প্রশ্ন করা হয় আপনি যখন দলিলে সই করেছেন তখন দাগ নাম্বার ভুল নাকি সঠিক দলিল পড়ে সই করেননি। তখন হান্নান বলেন এতো কথা আপনাকে মোবাইলে বলতে পারবো না। হান্নান কে যখন বলা হয় আপনারা জমিটির দলিল এর সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন কেন এই অসহায় লোকটির সাথে।
তখন হান্নান কোন কথার জবাব না দিয়ে মোবাইল ফোনের কলটি কেটে দেন। এই জায়গা এবং বিল্ডিং ভাঙ্গার মূল হোতা অভিযুক্তকারী বিবাদী ভূমি দস্যু আসাদুজ্জামান কে এই জায়গা বাড়ীর বিষয়ে জানতে চেয়ে তার মোবাইল ফোনে কলদিলে প্রথমবার ব্যস্ততা দেখান পরক্ষণে ফোন দিলে তিনি গণমাধ্যম কে জানান। আমার এই জায়গাটা পৈতিকভাবে ১৯৭২ সাল থেকে আমাদের। আর এটার বিষয়ে ব্যবস্থা কি নিবে না নিবে এটা সম্পূর্ণ কেডিএ এর বিষয়। আমার কেডিএ বিল্ডিং ভাঙ্গার বিষয়ে কোন বক্তব্য নেই। তবে মোবাইল ফোনে আমি আপনার কোন বিষয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না বলে তিনি কলটি কেটে দেন। অনুসন্ধান চলছে পরবর্তী সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করা হবে।