সর্বশ্রেষ্ঠ এই নফল এবাদত পারে মুনাফিকের তালিকা থেকে আপনার আমার নাম মুছে দিতে। এই মহাক্ষণে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং তাঁর বান্দাদের ডেকে বলেন “কে আছো আমার কাছে চাইবে আমি তাকে তা দান করবো”[বুখারী :১১৪৫] আর আপনি কিভাবে ভাবলেন এই মহৎ এবাদতে শয়তান হানা দিবে না! – তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার সৌভাগ্য সবার হয়না। গভীর রজনীতে তুলতুলে বিছানায় আরামের ঘুমকে উপেক্ষা করে সবাই পারেনা তাহাজ্জুদের মুসল্লায় দাঁড়াতে। তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয়না।যারা আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে তাহাজ্জুদ নামাজ শুরু করে, প্রথম কিছু দিন তাদের মধ্য থেকে অনেকেই একটি বাঁধার সম্মুখীন হয়। – অন্ধকারে কে যেন তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। হয়তো আপনার পেছনে বা ঐ যে দরজার পাশেই বসে বসে দেখছে আপনাকে। কখনো কখনো হয়তো পায়চারি করছে। আপনার কি মনে হয় জ্বীন আপনাকে নজরে রাখছে? – সম্মানিত ভাই ও বোন এমনটা ভাবার কোনোই কারণ নেই। কেননা তাহাজ্জুদের নামাজে জ্বীন আসে, অথবা কেউ আপনাকে দেখছে, তাকিয়ে আছে এমন কিছুই হয়না। এটা নিতান্তই শয়তানের ওয়াসওয়াসা। শয়তান কখনোই চাইবে না আপনি এই ফজিলতপূর্ণ এবাদত করেন। – তাহাজ্জুদের সময় ফেরেশতারা আপনাকে চারপাশে বেষ্টণ করে রাখে। আর প্রথম আসমান থেকে তাকিয়ে আছেনতো সয়ং আল্লাহ। এই সময়টা শুধুই আপনার এবং আপনার রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার। তো অন্য কোনো মাখলুকের কথা চিন্তাই বা কেন করবেন আপনি। – পরিশেষে বলবো,উঠুন রাতের ঘুমকে পরিত্যাগ করে যতটুকু পারেন নামাজ আদায় করুন ইনশাআল্লাহ যা পাবেন তা অকল্পনীয়। আর তাহাজ্জুদের নামাজ হচ্ছে গোপন এবাদত। অনেককেই দেখা যায় ফেসবুকে প্রচার চালায় : আজ প্রথম তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলাম, এই নামাজ পড়ে দোয়া করেছি কবুল হয়েছে। জি আলহামদুলিল্লাহ তবে তা প্রকাশ করার দরকার নেই, আপনি বলেন আপনার দোয়া কবুল হয়েছে তবে আপনি কেন তাহাজ্জুদের মত গোপন এই এবাদত শত শত মানুষের কাছে প্রকাশ করে দিচ্ছেন