ফিতরা নিয়ে এত কারসাজি কেন? রাসুল সাঃ বলছেন…… ফিতরা ১ সা পরিমান খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আদায় করা ফরজ করেছেন!!! ১ সা = ২.৫ kg. সবার নিজ নিজ খাদ্য, গম, আটা,যব, কিসমিস, খেজুর, পনির, ইত্যাদি। রসুল সঃ কি মূদ্রা দিয়ে আদায় করতে পারতেন না? রসুল সঃ এর যুগে কি মুদ্রার প্রচলন ছিল না? সউদি আরব সহ আরব বিশ্বে এখনো ফিতরা খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আদায় করা হয়। বাংলাদেশে যারা টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করেন এই শরিয়ত তাদেরকে কে নাযিল করলো? এটার জন্য কি কাল বিচারের মাঠে কি জবাব দিবেন? আল্লাহি ইয়াহদিক। যাকাতুল ফিতর/ফিতরার সংক্ষিপ্ত বিধি-বিধান: ▬▬▬▬▬▬▬▬ যাকাতুল ফিতর/ফিতরা দেয়ার হুকুম কি? ফরয। কার জন্য ফিতরা দেয়া ফরয? বাড়ির প্রতিটি সদস্য পুরুষ-নারী, বড়-ছোট সবার জন্য। ফিতরা দেয়ার দায়িত্ব কার? গৃহকর্তা নিজের ফিতরা দিবে এবং তার অধিনস্থ ব্যক্তিদের ফিতরা দিবে যাদের ভোরণ-পোষণ দেয়া তার জন্য ফরয। কোন জিনিস দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উচিৎ? প্রত্যেক দেশের প্রধান খাদ্যদ্রব্য। যেমন, আমাদের দেশে চাল। পরিমাণ কত? এক ’সা তথা প্রায় ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি (চাল/গম)। তবে ৩ কেজি দেয়া অধিক উত্তম ও নিরাপদ। [সৌদি লজনাহ দায়েমাহ] হাদিসে যেহেতু খাদ্যদ্রব্য দেয়ার কথা বলা হয়েছে, তাই সুন্নত অনুসরণ করতে চাইলে খাদ্যদ্রব্য দিতে হবে। একান্ত অপরিহার্য পরিস্থিতি না হলে ফিতরার মূল্য বা টাকা দ্বারা ফিতরা দেয়া সুন্নত পরিপন্থী। সময়: ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে। তবে দু/তিন দিন আগেও দেয়া জায়েজ। উদ্দেশ্য: ঈদের দিন গরিব-অসহায় মানুষের খাবারের ব্যবস্থা এবং রোজাদারকে অর্থহীন কাজ, অশ্লীলতা এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে পবিত্র করা। বণ্টনের খাত: গরীব-অসহায় মানুষ। মাসায়েল: প্রয়োজনে এক দেশে থেকে অন্য দেশে ফিতরা প্রেরণ করা জায়েজ। একজনের ফিতরা একাধিক ব্যক্তিকে যেমন দেয়া জায়েয। তদ্রূপ একাধিক ব্যক্তির ফিতরা প্রয়োজনে একজনকেও দেয়া জায়েয। ঈদের দিনের নিজ পরিবারে খাওয়ার মত অর্থ-সম্পদ এবং ফিতরা দেয়ার সামর্থ থাকলে ফিতরা প্রদান করা আবশ্যক। গর্ভস্থ সন্তানের ফিতরা দেয়া আবশ্যক নয়, তবে দেয়া উত্তম। আল্লাহু আলাম। ▬▬▬▬▬▬▬▬ গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব।