১.প্রথমে একটা খেজুর নিন। তারপর খেজুরের ভিতরের আঁটিটা হাতে নিন। দেখবেন সেটা একটা হালকা আবরণে বেষ্টিত। ২. এরপর সেটার পেটের কাটা অংশের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন একটা সুতা আলগা হয়ে আছে। ৩. তারপর পেটের উল্টা দিকের ঠিক মাঝখানে দেখবেন একটা বিন্দু আছে। ৪. এবার নিচের আয়াত তিনটা মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন :
(১) وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ (فاطر: 13) “আর তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাকো, তারা খেজুরের তুচ্ছ আঁটির আবরণেরও অধিকারী নয়।“ —–এখানে ‘ক্বিতমির’ শব্দটিই হলো সেই আবরণ যার দ্বারা খেজুরের আঁটি বেষ্টিত থাকে।
(২) فَمَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَأُولَٰئِكَ يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلا (الإسراء: 71) “যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেওয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি ‘ফাতিল’ পরিমানও জুলুম করা হবে না।“ —–আর এখানে ‘ফাতিল’ হলো সেই আলগা সুতা যা আঁটির পেটের কাটা অংশে দেখা যায়।
(৩) وَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا ( النساء: 124) কোনো পুরুষ কিংবা নারী ইমান থাকা অবস্থায় যদি ভালো কাজ করে, তাহলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রতি ‘নাক্বির’ পরিমান জুলুম করা হবে না।“ ——আর এখানে ‘নাক্বির’ মানে হলো আঁটির পিঠের ঠিক মাঝখানে থাকা সূক্ষ্ম বিন্দুটি। ৫. সুবহানাল্লাহ! কি অনন্য আর নিখুঁত উপমা দিয়েছেন মহান আল্লাহ!