মুসলমান কালিমা পড়ার পর কোনো দিন প্রকাশ্য শিরক করবে না, কোনো মূর্তির সামনে মাথা নত করবে না,, যদি সেই মূর্তি স্বর্ণ দিয়াও বানানো হয়।
কিন্তু স্বর্ণের বানানো ঐ মূর্তিকে ভেঙে টুকরা টুকরা করে যদি মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে রাখা হয়, আর এলান করে দেয়া হয় যে, যারা ঐ স্বর্ণের টুকরা কুড়িয়ে নিবে, তা নিয়ে যেতে পারবে। এই এলান যে পাবে সেই ঐ স্বর্ণের টুকরা কুড়াইয়া নিজের জরুরত পুরা করার জন্য সংগ্রহ করবে। এবং ফায়দা হাসিল করার জন্য সিন্দুকে ভর্তি করে রাখবে। আসলে স্বর্ণের তৈরি মূর্তি আর এই সমস্ত স্বর্ণের টুকরার মধ্যে তেমন কোনো তফাৎ নাই । স্বর্ণের তৈরি মূর্তিও গাইরুল্লাহ্ এবং স্বর্ণের টুকরাগুলোও গাইরুল্লাহ্ । মূর্তির কাছে যাজ্ঞা করা আর টুকরার মধ্যে লাভ দেখা একই কথা। তবে মূর্তির মধ্যে লাভ বা ফায়দা দেখা প্রকাশ্য শির্ক আর টুকরার মধ্যে ফায়দা বা লাভ দেখা শিরকে খফি বা অপ্রকাশ্য শিরক । আসলে মাখলুক তথা সৃষ্টি আমাদের কোনো প্রয়োজন পুরা করতে পারে না, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অর্থাৎ করনেওয়ালা জাত একমাত্র আল্লাহ। এটাই দিলের সহীহ একিন যা নিয়ে কবরে যেতে হবে। (হিদায়াতুল উম্মাহ পৃঃ নং ২৭, ইবনে শেখ সাইয়্যেদ নবদী)