একজন ১০০ জনের সমান খাবার খাবে কিন্তু কখনো টয়লেট ধরবে না। সুগন্ধি ঘাম আর ঢেকুরের সাথে হজম হয়ে যাবে। বডি শেইপ সুন্দর রাখতে সুস্থ ফিট থাকতে
কখনো এক্সারসাইজ করা লাগবে না, খাবার বুঝে খেতে হবে না। জান্নাতিদের পোশাক হবে সবুজ যা কখনো ময়লা হবে না। জান্নাতের বিশাল বিশাল প্রাসাদের পাদদেশে নদী প্রভাবিত থাকবে। জান্নাতে থাকবে দুধের নদী, মধুর নদী, মদের নদী। এমন মদ যা নেশা সৃষ্টি করে না। জান্নাতে কখনো কেউ ঘুমাবে না প্রতি মুহূর্ত উপভোগ করবে। জান্নাতের ১০০টি স্তর। প্রতিটি স্তরের মাঝে আসমান জমিনের ব্যবধান। সর্বোচ্চ স্তর হল জান্নাতুল ফেরদাউস। উঁচু থেকে উঁচু স্তরের সবকিছু উত্তম থেকে আরো উত্তম হবে। যার আমল যতো সুন্দর হবে সে ততো উঁচু স্তরের জান্নাত পাবে আর তাতেই অনন্তকাল থাকবে। আল্লাহ জান্নাতীদের হুরদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিবেন। হুররা এতো সুন্দর হবে এরা পৃথিবীতে উঁকি দিলে পুরো পৃথিবী আলোকিত হয়ে যাবে। জান্নাতের ঘ্রান ৪০ বছর দূরত্ব থেকেও পাওয়া যাবে। জান্নাতিদের পাঁচজন নবীর পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হবেঃ আদম আঃ এর উচ্চতা ৬০ হাত, ঈসা আঃ এর আকাশে উঠার বয়স ৩৩ বছর, দাউদ আঃ এর কন্ঠ, ইউসুফ আঃ এর সৌন্দর্য, মোহাম্মদ সাঃ এর চরিত্র। দীনদার দম্পতি পরকালেও একি জান্নাতে থাকবে। তারা প্রথম দেখায় একে অপরের দিকে টানা ৪০ বছর তাকিয়ে থাকবে। পৃথিবীর স্ত্রী হবে হুরদের রানী। কোনো নারীর একাধিক বিয়ে হলে সে জান্নাতে তার শেষ স্বামীকে পাবে। ওই স্বামী জাহান্নামি হলে বা নিচু স্তরের জান্নাত পেলে ওই নারী যেই স্তর পাবে ওই স্তর যেইসব পুরুষ পাবে আল্লাহ ওই নারীকে তাদের কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দিবেন। জান্নাতে কেউ একা থাকবে না। জান্নাতে প্রতি শুক্রবার একটা বাজার বসবে। ফেরেশতারা হবে বিক্রেতা। প্রতি স্তরের সবাই নিজ নিজ স্তরে ওই বাজারে মিলিত হবে। উত্তর দিক থেকে একটা বাতাস এসে তাদের গায়ে লাগবে। এতে তাদের সৌন্দর্য আরো বেড়ে যাবে। বাসায় গেলে হুররা বলবে আপনি আরো সুন্দর হয়ে এসেছেন। স্বামী বলবে আল্লাহর কসম তোমাদের সৌন্দর্যোও বেড়ে গেছে। জান্নাতি হলে আল্লাহ নুরের পর্দা শরিয়ে দিয়ে দেখা দিবে। সবাই আল্লাহকে দেখে বেহুশ হয়ে যাবে। আল্লাহ আবার চেতনা ফিরিয়ে দিবেন।