জোয়াইরিয়াহ (র.) বলেন, ফজরের পর গুরুত্ব আমল

0
464

জোয়াইরিয়াহ (র.) বলেন, রাসুল সল্লল্ল-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামাজ আদায় করে আমার কাছ থেকে ঘরের বাহিরে গেলেন এবং আমি জায়নামাজে বসে

তাসবীহ পাঠ করতেছিলাম, তারপর চাশতের পর দিনের এক-চতুর্থাংশ [৩ ঘন্টার মতো] সময় পার হয়ে গেল। 🔰তখন রাসূল (ﷺ) ঘরে ফিরে আসলেন। আর আমি তখনও জায়নামাজে বসে তাসবীহ পাঠ করতেছিলাম। রাসূল (ﷺ) তা দেখে আমাকে বললেন, আমি যাওয়ার সময় তোমাকে যে অবস্থায় দেখে গিয়েছি, এখনও কি তুমি সেই অবস্থাতেই আছো..?? আমি বললাম, জ্বী হ্যাঁ আমি এখনও সেই অবস্থাতেই [তাসবীহ পাঠরত অবস্থায়] আছি। ⭕তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর যে চারটি কালেমা পাঠ করেছি, তা যদি তোমার সকাল থেকে এখন পর্যন্তের সকল অজিফার বিপরীতে ওজন করা হয়, তাহলে এই চারটি কালেমার ওজনই বেশি ভারী হয়ে যাবে। সুবহানাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী। 🔲কালেমাটি হচ্ছেঃ- «سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ» 🔸উচ্চারণঃ- “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী ‘আদাদা খলক্বিহী, অরিদ্ব- নাফসিহী অযিনাতা ‘আরশিহী, অমিদা-দা কালিমা-তিহ্”। 🔹অর্থঃ- “আমি আল্লাহর প্রশংসার সাথে পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর অসংখ্য মাখলুকের পরিমাণ, তার সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর কালিমা সমূহের সংখ্যার সমান”। [ইবনে মাজাহ- ৩৮০৮] ⭕দোয়াটি প্রতিদিন ফজর নামাজের পর তিনবার করে পাঠ করতে হবে। তাই আসুন আমরা দোয়াটি এখুনি মুখস্থ করে নেই এবং দৈনিক কমপক্ষে ১০০ বার করে [আল্লাহর প্রশংসা স্বরূপ] দোয়াটি পাঠ করে আমাদের জান্নাতটাকে আরো উত্তমরূপে সুসজ্জিত করে নেই ইন শা আল্লাহ 💞

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven − 7 =