আসসালামু আলাইকুম’- ‘আপনাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’। একজন মুসলমান অন্য মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলে এই বাক্যটি বলেন। একজন মুসলমান তার ভাইয়ের জন্য শান্তি
কামনা করছেন। সালাম একটি সম্মানজনক, অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, শান্তিময় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামি অভিবাদন। উল্লেখ্য যে, ‘আস-সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম নাম। এবং জান্নাতের নাম সমূহের মধ্যে একটি জান্নাতের নাম। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথমে আদমকে (আ.) সালামের শিক্ষা দেন। (মিশকাত, হাদিস নম্বর-৪৬২৮, অধ্যায়-শিষ্টাচার, অনুচ্ছেদ-সালাম)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে বলেন, যাও ফেরেশতাদেরকে সালাম দাও এবং তোমার সালামের কি উত্তর দেয় মন দিয়ে শুন। এটিই হবে তোমার আর তোমার সন্তানদের সালাম। সে অনুযায়ী আদম গিয়ে বলেন, “”আসসালামু আলাইকুম”” অৰ্থ: ‘আপনাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’ ফেরেশতারা উত্তর দেন, ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি’ অৰ্থ: ‘আপনাদের ওপর শান্তি এবং আল্লাহ রহমত বর্ষিত হোক’ ফেরেশতারা রাহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করেন। (মিশকাত, হাদিস নম্বর- ৪৬২৮, অধ্যায়- শিষ্টাচার, অনুচ্ছেদ- সালাম। ভাব বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম সালাম। সালাম দেয়া সুন্নত হলেও এর উত্তর দেয়া ওয়াজিব। আর ওয়াজিব তরক করা বড় গুনাহের কারণ। অনেকেই আছেন সালামের উত্তর দেন নিরিবে। সেক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন করেন, কেউ কাউকে সালাম দিলে সালামের উত্তর নীরবে দেয়া যাবে কি? কীভাবে সালামের উত্তর দিতে হবে? বিষয়টি ছোট হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সালামের উত্তর দেয়া সম্পর্কে ইসলামের বিধানই বা কী?হ্যাঁ! নীরবে সালামের উত্তর দিলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে নীরবে উত্তর না দিয়ে উচ্চস্বরে এবং সুন্দরভাবে মিষ্টি ভাষায় সালামের উত্তর দেয়া জরুরি। তা না হলে এতে বেশকিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। সালামের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তাছাড়া কোরআন এবং সুন্নায় সালামের উত্তর সুন্দর ও উত্তমভাবে দেয়ার বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সালাম হলো দোয়া। সালামের অর্থ হলো- আপনার ওপর শান্তি এবং বরকত বর্ষিত হোক। সুতরাং সালামের উত্তরও সুন্দরভাবে সালাম প্রদানকারীকে শুনিয়ে তার জন্য এভাবে দোয়া করা যে, আপনার ওপরও শান্তি ও বরকত বর্ষিত হোক। হাদিসের নির্দেশনা হলো- সম্ভব হলে আরো বেশি বাড়িয়ে দোয়া করা।