আযানের জবাব দেওয়ার বিরাট মর্যাদা ও ফজিলত

0
273

হাদিসে এসেছে, একজন মুয়াজ্জিন আযান দিলে তার আযানের আহবানে যতজন মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়বে সকলের সওয়াব সেই মুয়াজ্জিন পাবেন এজন্য এক ব্যক্তি রাসূল(সঃ) কে বললেন- “ইয়া রাসূলুল্লাহ! মুয়াজ্জিনরা তো আমাদের উপর ফজিলত প্রাপ্ত হচ্ছে(আমাদের চেয়ে বেশি সওয়াব এর অধিকারী হচ্ছে)। আমরা কিভাবে তাদের সমান সওয়াবের অধিকারী হব? তখন রাসূল(সঃ) বললেন-” মুয়াজ্জিন যেরুপ বলে

তোমরাও তদ্রূপ বলবে তাহলে তোমরাও তাদের সমান সওয়াবের অধিকারী হবে “[আবু দাউদ- ৫২৪] আরেকটি হাদিসে এসেছে, রাসূল(সঃ) বলেছেন- ” তোমরা যদি আন্তরিকতার সাথে আযানের জবাব দাও তবে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে”[আবু দাউদ- ৫২৭] অন্য একটি হাদিসে এসেছে,রাসূল(সঃ) বলেছেন- “যখন তোমরা মুয়াজ্জিনকে আযান দিতে শুনবে তখন সে যেরুপ বলে, তোমরাও তেমনটি বলবে।

 অতঃপর তোমরা আমার প্রতি দরুদ পাঠ করবে কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার প্রতি দশটি রহমত বর্ষণ করেন। অতঃপর তোমরা আল্লাহর নিকট আমার জন্য ওসিলা প্রার্থনা করো। ওসিলা হলো জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান। আল্লাহ তা’লার একজন বিশিষ্ট বান্দা এই স্থানের অধিকারী হবেন এবং আমি আশা করি আমি ই সেই বান্দা। যে ব্যক্তি আমার উপর ওসিলার দুয়া করবে তার জন্য শাফায়াত করা আমার জন্য ওয়াজিব হবে”[আবু দাউদ- ৫২৩] সুবহানাল্লাহ 😍😍!!! কত মূল্যবান মর্যাদা ও ফজিলত!!

 বিঃদ্রঃ আযানের জবাবের ক্ষেত্রে প্রতিটি বাক্য একই বলতে হয় শুধু ” হাইয়া আলাস সালাহ” এবং “হাইয়া আলাল ফালাহ” এর স্থলে বলতে হয় “লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” আজানের শেষে পড়বার দু’আ اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَآئِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَانِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِيْ وَعَدْتَّهٗ. اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ. আল্লাহুম্মা রাব্বাহাযিহিদ্‌ দা’ওয়াতিত্তাম্মাহ্‌ ওয়াস্‌ সালাতিল ক্বায়িমা, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা অয়াল ফাদিলা, ওয়াব ’আসহু মাক্বামাম্‌ মাহ্‌মুদানিল্‌লাযি ওয়া ’আত্তাহ, ইন্নাকা লা তুখ্‌লিফুল মিয়াদ্‌। হে আল্লাহ! প্রভু (তুমি) এ পরিপূর্ণ আহ্বানের এবং চিরস্থায়ী নামাযের। তুমি মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নৈকট্যের উসিলা, মহত্ত্ব এবং সর্বাপেক্ষা প্রশংসিত মার্গে (অর্থাৎ মাকামে মাহমুদে) আবির্ভূত করো তাঁকে, যার ওয়াদা তুমি তাঁকে দিয়েছো।

 নিশ্চয়ই তুমি কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করো না। (বুখারী, ১ : ৮৬/ মুসলিম, ১ : ১৬৬/ বাইহাকী, ১ : ৪১০) হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যাক্তি আযান শুনিয়া এই দুয়া করিবে—- কেয়ামতের দিন তাহার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হইবে। (বোখারী, বাইহাকী) মহান রব আমাদেরকে এই ফজিলতপূর্ণ ছোট্ট আমলটি নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন।আমিন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 5 =