ওসি ফিরোজ ও এস আই ফখরুলের শের্ল্টারে দুইদিন ধরে ভাংচুর, লটুপাট ও গুলি করে হত্যার হুমকি

0
377

এস আই ফখরুল আর সন্ত্রাসীরা যেন এক জন আরেকজনের সহদর। ভাংচুর দেখে ফখরুলের মুচকি হাসি, জরুরী সেবা ৯৯৯-এ অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি বজলুর রহমান এর অবরুদ্ধ পরিবার

এমপি নজরুলের আর্শিবাদ পুষ্ট সন্ত্রাসের গডফাদার তাজুল গংদের বিরুদ্ধে এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার

 ও সুশিল সমাজের বিস্তর অভিযোগ

রাজনৈতিক নেতার পরিচয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, অন্যের সম্পদ কুক্ষিগত করা, জোর জুলুম, লুটপাট, হত্যা, ধর্ষন, গুম যেন এক সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার এমপি, মন্ত্রী, থানা, জেলা পর্যায়ের নেতাদের সাথে সেলপি তুলে নিজেকে ক্ষমতাবান দেখিয়ে এ সকল অপকর্ম করছে। থানা পুলিশও তার ভয়ে আর তার অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করার নতুন রেওয়াজ যেন শুরু হয়েছে বরুড়া থানায়। এর সাথে যদি জড়িত থাকেন স্থানীয় এমপির আর্শিবাদ তাহলেতো আর কথাই নেই। ফলে প্রভাবশালী তাজুল ইসলামের সকল অপকর্মের প্রতিবাদকারী আর কেউ থাকে না। তেমনি আঃলীগের এক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের নাম মো: তাজুল ইসলাম। যিনি সন্ত্রাসের গডফাদার হিসাবে পরিচিত। এলাকার সকল অপকর্মের সাথেই তার সম্পর্ক রয়েছে। মো: তাজুল ইসলাম (৬০), তিনি ১১নম্বর গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ আসনের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে বিশ লক্ষ টাকা সম্পদ লুটপাট করেন বলে মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী বজলুর রহমান। প্রতিবেদনটি লিখেছেন ঈগল টিম। কুমিল্লা বরুড়া থানাধীন এলাকার এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে এ প্রতিবেদন।

ঘটনা:

ফজরের নামাজ পরে আমি অসুস্থ থাকায় আমার ছেলে মো: সুমনকে নিয়ে কুমিল্লায় ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। হঠাৎ করে আমার চাচাতো ভাই এরশাদ মোবাইল ফোনে চিৎকার দিয়ে বলেন, বজলু ভাই রাইস মিল দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলতেছে সেই অবস্থায় একটু পরে আমার মেয়ে শারমিন আক্তার আমাকে ফোনে চিৎকার দিয়ে বলেন, আমাদের রাইস মিল, মুদির দোকান, চায়ের দোকান টিনশেড ঘর ভেঙে ফেলছে। তখন আমি খবর পেয়ে আমি ও আমার ছেলে থানায় চলে  যাই। থানায় যাওয়ার পর পুলিশকে জিজ্ঞাসা করি স্যার আমার বাড়ী জোরপুকুরিয়া মৌলভীবাড়ী সংলগ্ন বাড়ীর পাশের টিন শেড, আধা পাকা টিনশেড ঘর, দোকান পাট, রাইস মিল ও চা দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে, উত্তরে পুলিশ বলেন, ব্যবস্থা নিতেছি এভাবে থানায় প্রথমে দেড় ঘন্টা বসে আছি। তারপর কান্না কাটি করেও পুলিশের হাতে পায়ে ধরে বলি যে, আমার ঘর বাড়ী ভেঙ্গে ফেলছে। অন্য এক পুলিশ এস আই এর সাথে কথা বলতে বলেন এস আই কে জানান-আপনারা আমার ঘর বাড়ি, দোকানপাট রক্ষা করেন। থানা কর্মরত ডিউটি অফিসার এস আই ফখরুল আমাকে বলেন-আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি, আপনি এখানে থাকেন আপনার ওখানে যাওয়ার দরকার নেই। আমাকে থানায় বসিয়ে রেখে তিনি চলে যান ঘটনাস্থলে। এই ফাঁকে শারমিন কে ফোন করে বলি, পুলিশ যাচ্ছে তুমি কষ্ট করে পুলিশকে ঘটনা দেখাও এবং বলো।

এরপর আধা ঘন্টা পর আমার মেয়ে শারমিন ফোনে বলে, পুলিশ এসে দুই মিনিটও অপেক্ষা করে নাই চলে গিয়েছে এবং কাউকে কোন কথা জিজ্ঞাসাও করে নাই। তারপর আমি এই খবর পেয়ে ৯৯৯ এ আবার ফোন করি। ফোন রিসিভ করে আমার পরিচয় ও বিষয় জানতে চায়। তখন আমি ঘটনা বলি, তারপর উনি থানায় যেতে বলেন। আমি উত্তরে বলি আমি থানায় আছি। পুলিশ একবার গিয়েছিলো। কিন্তু আমার মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি। তিনি যাওয়ার পর আবার ফখরুল ইসলাম সাইপ্রাস প্রবাসি তার ভাই তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ছেলে ইমরানসহ ২০/২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দিয়ে ধ্বংসাত্নক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

আমার মেয়ে এই ভাংচুর দেখে আমি থানায় থাকা অবস্থায়। আমাকে আবারও ফোন করে বলে সন্ত্রাসীরা ভাংচুর শুরু করেছে। এমতাবস্থায় আমি আবার ৯৯৯ এ ফোন করি। ফোন করার পর ফোন রিসিভ করলে আমি বলি স্যার পুলিশ একবার ঘটনাস্থলে গিয়েছে ২/৩ মিনিট অপেক্ষা করে আবার চলে আসছে। তখন আমি বলি স্যার আমি কি করতাম? আমি কান্নায় ভেঙ্গে পরি। ৯৯৯ এ পুলিশকে আমি চিৎকার করে বলতে থাকি স্যার আমার ঘর, রাইস মিল, দোকানপাট বাঁচান! তখন ৯৯৯ থেকে পুলিশ আমাকে বলেন, ব্যবস্থা নিচ্ছি আপনি থানায় যান। আমি উত্তরে বলি স্যার থানার সামনে আমি আছি অত:পর ৪/৫ মিনিট পর উনি আমার ফোন কেটে দিয়েছে। আমি এস আই ফখরুলেরর কাছে গিয়ে হাতে পায়ে ধরের চেষ্টা করি। বার বার বলি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিল ঘরে সন্ত্রাসীরা ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলছে। স্যার আপনি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাঁচান, উত্তরে উনি বলেন-আবার যাচ্ছি। আনুমানিক ১৫/২০ মিনিট পর উনার সাথে ২/৩ জন পুলিশকে নিয়ে রওনা হন ঘটনাস্থলে তখন আমি বলি স্যার আপনার কাছে আমার অনুরোধ আপনাদের সঙ্গে আমাকে নিয়ে যান।

তখন এস আই ফখরুল আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, আপনাকে যাওয়া লাগবেনা, একবার বলেছি না! আপনি থানার সামনে বসে থাকেন আমরা যাইতেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আমার মেয়েকে ফোন করে বলি পুলিশ আবার যাচ্ছে। তুমি পুলিশকে বলো আমাদের ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বাঁচান। তখন মেয়ে আমাকে উত্তরে বলে-ঘর-দরজা, রাইস মিল, সব কিছু ভাঙ্গা হয়ে গিয়েছে। এখন পুলিশকে এসব কথা বলে কি হবে! তখন আমি বলি  তোমার মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ভাঙ্গা ঘর বাড়ির ছবি গুলো ভিডিও করে রাখো।

মৃত্যুকে ভয় না করে মনে আক্ষেপ করে ভিডিও করতে যাও। আমার মেয়ে সেখানে ভিডিও করতে যায়। তখন সন্ত্রাসী ফখরুল ইসলাম সাইপ্রাইস প্রবাসীর ভাই তাজুল ইসলাম আমার মেয়েকে বলে এখানে কেনো এসেছো? এই বলে ধমক দিয়ে বলে দোকান ঘর, রাইস মিল ভেঙ্গে শেষ করে দিয়েছি, এমনকি বাড়ি ঘরেও থাকতে পারবি না। বাড়ি ঘর জালিয়ে দিব। এই বলে মেয়েকে ফখরুল ইসলাম থাপ্পর মারে আর তাজুল ইসলাম মেয়ের গালে চর মেরে হাত থেকে মোবাইল নিয়ে যায় এবং ধাক্কা দিয়ে বলে এখান থেকে চলে যা। না হলে বে-ইজ্জতি করে মেরে ফেলবো।

আত্নসম্মান নিয়ে আমার মেয়ে ঘরে চলে আসে। পরে ঘরে যেয়ে আমাকে ফোন করে বলে পুলিশ এসে আর কি হবে? সবতো ভেঙ্গে চুরে শেষ করে ফেলেছে। তার পর আমি বলি যেভাবে হোক একটু ভিডিও করতে পারো কিনা চেষ্টা করো। তখন মেয়ে বলে আমি দেখি কি হয় আপনাকে জানাবো। একটু পর মেয়ে আমাকে আবার ফোন করে বলে আমি আরেকটি টার্চ মোবাইল হাতে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে ভিডিও করতে চেষ্ঠা করি। তখন আমি বাড়ির পাশে মসজিদের সামনে দিয়ে ভিডিও করতে যাই। তখন তাজুল ইসলাম ও ছেলে ইমরান আমার মেয়েকে ধমক দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে দৌড়ে এসে আমার মেয়েকে মারধর করে, টানা হেচঁড়া করে ইজ্জতহানি করে। হাত থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

 তখন আমার  মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় এসে পুত্রবধুর মোবাইল থেকে বাসায় এসে আমাকে ফোন করে বলে পুলিশ তো আবার এলো না। আমি মেয়েকে শান্তনা দিয়ে বলি পুলিশ আসবে। তুমি বসতঘরের পূর্ব দিকের জানালা খুলে দেখো তাকিয়ে থাকো। পুলিশ আসলে সব ঘর্টনা খুলে বলি। মেয়েকে এই কথা বলা অবস্থায় আমাকে বলে আব্বা পুলিশ আসছে আমি সেখানে যাই। তুমি এখন ফোন কাটো। পরে তোমাকে বলবো। ৪/৫ মিনিট পর আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে আমি পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম আমার আম্মাকে সাথে নিয়ে পুলিশকে গিয়ে সালাম দিলাম এবং বললাম আমাদের কি অপরাধ? আমরা কি অন্যায় করেছি? একথা বলে পুলিশকে বললাম আপনারার একবার আসলেন, আবার একটু পরেই চলে গেলেন কাউকে কিছু না বলেই। প্রায় সকাল ১০ টার পর আবার আসলেন এদিক ওদিক তাকিয়ে মুচকি মুচকি  হেসে, যারা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দিলো, তাদেরকে কিছু বললেন না। আবার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একসাথে হয়ে দাঁড়িয়ে কি কথা যেনো বললেন তা বুঝতে পারলাম না। অত:পর দাঁড়িয়ে থাকা একজন পুলিশ (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মেয়েকে হাত দিয়ে ইশারা করে ডেকে বলে কানে কানে এখানে কোন প্রকার বিচার পাবে না। তোমার বাবাকে বলো কোর্টে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য, মেয়ে একথা শুনে চিৎকার করে কান্না করে বাড়িতে আসেন। আর বলে আল্লাহ যেনো আপনাদের বিচার করে। এরপর থানায় অবস্থানরত সময়ে আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে বিচার পাবো না। অত:পর মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কোথায়? আমি বলি এখন আমি বরুড়া থানায় আছি। তারপর মেয়ে বলে আল্লাহকে ইনসাব দিয়ে চলে আসেন, তখন আমি বলি মা ফোন রাখো। তৃতীয় বার আবার থানায় ডুকে এস আই ফখরুল খোঁজ করি; কিন্তু তাকে পেলাম না। তখন আমি তখন এস আই মুঠোফোনের নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দেই।

একাধারে ৪ বার ফোন দেই কিন্তু এস আই ফোন রিসিভ করেননি। তখন আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি, কান্নায় দেখে অন্যান্য পুলিশ আমাকে বলেন, আপনার কি হয়েছে? তখন আমার সমস্ত ঘটনা পুলিশদেরকে জানাই। তারা সব কথা শুনে আমাকে বলেন, আপনি কুমিল্লা কোর্টে মামলা করেন। তখন আমি কাঁদতে কাঁদতে থানা থেকে বের হয়ে আসি। সকাল ১০ টা পর্যন্ত থানায় অপেক্ষা করে আবার আমার ছেলে সুমনকে নিয়ে বেড়িয়ে আসি। তারপর আমার ছেলে আমাকে বলে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে; আপনি বরুড়া বাজারে থাকেন। আমি একটু ঘটনাস্থল দেখে আসি। আল্লাহর উপর ভরসা করে তখন আমার ছেলে সিএনজি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাড়ির কাছে মসজিদের সামনে নেমে দেখে সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, ইমরানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ধ্বংসাত্নক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন। তখন আমার মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার চেষ্টা করছিলাম। আমাকে দেখা মাত্র দা, ছেনি, শাবল, এস. এস পাইপ নিয়ে মারার জন্য দৌঁেড় আসছিলো এই অবস্থা দেখে ভিডিও করতে করতে পিছিয়ে আসি। তখন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে দৌড়াঁতে থাকে, এরপর আমি দক্ষিণ দিক আসা  একটি চলমান সিএনজিতে উঠে পরি; পরে বরুড়া বাজারে বাবার কাছে চলে আসি।

এসে আমি বাবাকে বলি বাবা আমি প্রাণে বেঁচে এসেছি। যদি আমাকে ধরতে পারতো তাহলে প্রাণে মেরে ফেলতো।এ কথা আমি শুনে আমি আমার ছেলেকে বুকে জরাইয়া ধরি এবং বাবা ছেলে মনের দু:খে কিছুক্ষণ কান্না কাটি করি। নিরুপায় হয়ে কুমিল্লা কোর্টে যাই। গত ১১/০৯/২০২৩ইং ঘটনা হলে ১২/০৯/২০২৩ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করি। ফখরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম পিতা: নজির আহম্মেদ, মো: ইমরান হোসেন পিতা: তাজুল ইসলাম, হাবিবুল হক পিতা: মৃত আবুল খায়ের, রিফাত হোসেন পিতা: হাবিবুল হক, কামাল হোসেন পিতা: মৃত হুমায়ুন কবির, মো: কবির হোসেন পিতা: হুমায়ুন কবির, মো: কেফায়েত উল্ল্যাহ পিতা: মৃত আব্দুল মালেক, সালামতুল্ল্যাহ পিতা: মৃত আব্দুল মালেক, রেজাউল হক নয়ন পিতা: মৃত আবুল খায়ের, মো: শুভ পিতা: সালামতুল্ল্যাহ সর্ব সাং-জোরপুকুরিয়া, মৌলভী বাড়ি, থানা: বরুড়া, জেলা:  বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বিবরণে বলা হয়। সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, অর্থ আত্নসাৎকারী মো: ফখরুল ইসলাম (৪৫) সাইপ্রাস প্রবাসী, মো: সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই মো: তাজুল ইসলাম (৬০), তিনি ১১নম্বর গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ আসনের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। উক্ত বিষয়ে তাজুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে বজলুর রহমানকে মহিলা মেম্বার হাওয়া নূর ২নং ওয়ার্ড ১১নং গালিমপুর পক্ষ নিয়ে। তিনি আমাকে হত্যার হুমকি দেন এবং আমাকে ঘরে প্রবেশ করতে দিবে না। পক্ষান্তরে মো: তাজুল ইসলাম গং অত্যন্ত উচ্ছংখল বেপরোয়া অত্যাচারী দখলবাজ, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, দুষ্ট, দুর্দান্ত ও আইন অমান্যকারী লোক। সন্ত্রাসীগণ এলাকার সালিশ দরবার কিছুই মান্য করে না। সন্ত্রাসী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরেকটি নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে আদালতে। যাহার মামলা নং-২৫৮৭/২০০৯,। এ বিষয়ে মামলা বাদী নাছিমা আক্তার বলেন, আমাকে মামলা করার পর নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে সন্ত্রাসী জাজুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী।

সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুলের বক্তব্য

এ বিষয়ে কুমিল্লা ৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এর মুঠোফোনে  বলেন, বিষয়টি আমি জানি এবং আমি ইতিপুর্বে বিষয়টি মিমাংসাও করেছিলাম তথাপিও কেন আবার এ ঘটনা ঘটল তা আমি দেখব। আমি আগামীকাল মিটিং ডেকেছি, মিটিংয়ে গিয়ে বজলুর রহমানের জমি দখলের  বিষয়টি জানবো। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন সাইপ্রাস প্রবাসী ফখরুল ইসলাম ও তার ভাই গালিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম দলের নামে যদি ভূমিদস্যুতা করেন তাহলে এ দায় ভার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নিবে না। বরং এ বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়াম্যানের নিকট আলোচনা করবো এলাকায় গিয়ে।

ওসি ফিরোজ হোসেনের বক্তব্য:

কুমিল্লা বরুড়া থানার অফিসার

ইনর্চাজ (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, বজলুর রহমানের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে আমি আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেব। ওসির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এর বিষয়টি প্রশ্ন করা হলে তিনি বাদিকে থানায় পাঠানোর অনুরোধ করেণ। এ সময় বাদির নাম ঠিকানা লিখে রাখেন। ওসি আরো বলেন বাদি বা তার লোকদেরকে থানায় আসতে বলেন আমি ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন এস আই ফখরুল এ বিষয়ে বলতে পারবে তার কাছ থেকে জানার জন্য অনুরোধ করেন।

গালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল এর বক্তব্য:

এ বিষয়ে গালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল আলম বলেন, আসলে বিষয়টি খুবই দু:খ জনক। তিনি আরো বলেন তাজুল গং এর বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেও মিমাংসা করতে পারেন নি। তাজুল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে এমপির খয়ের খা। তাজুল কাউকে মানে না। এমপি সাহেরও বিষয়টি মিমাংসা করতে চেয়েছিল কিন্তু তাজুল গংয়ের এক ঘুয়েমির কারনে এ ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। তাজুল গংরা কাউকে মানে না।

ইউনিয়ন সদস্যের বক্তব্য:

স্থানীয় ইউনিয়নের সদস্য জামাল বলেন, বিষয়টি

আমার অবগত আছি। তাজুল গং বজলুর রহমানের রাইস মিল দোকান ঘর ভাংচুর করে সব মালামাল নিয়ে গেছে এবং বজলুর রহমানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। আরো বলেন এরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এমপি সাহেব এ বিষয়গুলো জানেন। এমপি সাহেবকে বাকি প্রশ্নগুলোর বিষয়ে জানার জন্য আমাদের অনুরোধ করেণ।

বাদি বজলুর

রহমান বলেন:

উক্ত বিষয়ে আমার পরিবারের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ এবং উচ্ছেদকৃত জায়গাটি পুনরুদ্ধারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।

নেপথ্য ঘটনা:

তাজুল গং দীর্ঘদিন যাবৎ বজলুর রহমানের ব্যবসার যায়গা এবং ঘরটি ক্রয় করতে চেয়েছে। বজলুর রহমান তার একমাত্র আয় রোজগারের সম্বল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় করতে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসি মনে করেন। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়।

মহামান্য আদালতের নির্দেশনায় মতে, কুমিল্লা কোর্ট থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করেন  মো: সোলায়মান প্রধান নামের এক ব্যক্তিকে। উভয় পক্ষকে কোর্ট থেকে কমিশন/ সার্ভেয়ার/পরিদর্শক স্বাক্ষীগণের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সরেজমিনে সঠিক কাগজ পত্র ভিত্তিতে বজলুর রহমানকে ২৯ শতকের আইনী দলিল এক খতিয়ান দক্ষিন পূর্ব অংশের ২.৮২ শতক জায়গা মাপ দিয়ে বজলুর রহমানকে বুঝাইয়া দেওয়া হয়। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে। জমিতে অবৈধ ভাবে তাজুল ইসলাম গং দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী করার চেষ্টা করেন।

গত ১১/০৯/২০২৩ইং তারিখে সোমবার, সকালে ০৭.টার  সময় আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বজলুর রহমান রাইছ মিল ও মুদির দোকান এ ঘরে ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার পূর্বে তাজুল ইসলাম তার  সন্ত্রাসী বাহিনী বজলুর রহমানকে মারধর করেন ও  দোকান চুরির ঘটনায় ঘটায়।

এ ব্যাপারে বজলু রহমান একটি সি.আর ৩৮/২২, তাং ২২/০৮/২০২২ইং এ মামলটি আদালতে চলমান রয়েছে। তিনি বলেন

রাইছ মিল, মুদির দোকান ও সম্পত্তির মালিক বটে।  সম্পত্তির এক শতাংশ আমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক এবং সাব কবলা দলিল মূলে মালিক হই। গত ১০/০৯/২০২৩ইং তারিখে সন্ত্রাসীরা পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। তৎকারণে ঘটনার দিন তারিখ ও সময়  পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চাঁদার দাবিতে স্ব-দল বলে নিম্ন আধা পাকা টিন শেড, মিল ঘর ও মুদি দোকান ঘরটি তারা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে স্বশস্ত্র ভাবে হেমার, গ্রেডিং ও ড্রিল মেশিন দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় প্রায় বিশ লক্ষ টাকা ক্ষতি  করে থাকে। আমার মেয়ের দুটি মোবাইল ফোনই নিয়ে যায়। আনুমানিক মূল্য পঁচিশ হাজার টাকা, সাইফুল ইসলাম মেয়ে গলায় থাকা দেড় স্বর্ণের চেইন যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা এবং ফখরুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম মেয়ে স্ত্রীর শরীর থেকে কাড়প চোপড় টেনে ছিড়ে তাহার শ্লীলতাহানি ঘটায়। তার চিৎকারে আমি ও আমার ছেলে এগিয়ে এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি।

আমি ও আমার ছেলেকে সকল সন্ত্রাসীরা সম্মেলিত ভাবে কিলঘুষি ও চর থাপ্পরে মেরে  ফেলার চেষ্ঠা করেন।

তারা দেশিও অস্ত্র দিয়ে জখম করে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমার ছেলে ও মেয়ের চিৎকারে অপরাপর এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নানা রকম বিষয়ে হুমকি ধমকি দেয় এবং মামলা  করলে আমার ছেলে ও মেয়েকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়ার হুমকি দেয়।

এলাকাবাসী আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার জন্য হাসপালে নিয়ে য়ায়। আমার স্ত্রী জ্যোসনারা বেগম গত শুক্রবার দিন ১৫/০৯/২০২৩ইং সকাল: ৬.০০ ঘটিকায় স্থানে দেখতে গেলে তাজুল ইসলাম নিজেই আমার স্ত্রীকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয় এবং গালাগালি করে। তাজুল ইসলামের খালাতো ভাই (আবুল বাশার), ঐ মুহুর্তে এসে বলেন আপনি উনাকে মারছেন কেনো? অত:পর তাজুল ইসলাম তাকেও হুমকি দেয়। আমার স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়, যার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। সর্বমোট বিশ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করেছেন।

আমি এবিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা না নিয়ে নানা রকম তালবাহনা করেন।

স্থানীয় সুশিল সমাজের লোকজনের মধ্যমে কথা বলে  আদালতে মামলা করতে যাই। নিরুপায় হয়ে আমার আত্নীয় দায়েরে কিছুটা গৌণ হইল।  এ বিষয়ে আমার একটি গরুর খামারের টিনশেড লোহার পাইপের পিলার লোহার পাতসহ ঘর খুলে নিয়ে যায় সন্ত্রসী তাজুল বাহিনী।

সাইদ আহমেদ পিতা: হাফেজ

আহম্মেদ মৃত তাহার কাছ থেকে ক্রয় করেন গত: ০৭/১১/২০২১ দলিল নং-৮৭৮০/২১, ও খোরশেদ আলম বাদলের কাছ থেকে ক্রয়  করেন ১ শতক ৩২ পয়েন্ট-৮৭৮০/২১ দলিল-২২/১১/২০২১ মোট ডিসিম আধা শতাংশ যেখানে রাইছ মিল মুদির দোকান চায়ের দোকানের করে অর্থ জোগান দিতেন বজলু রহমান।

উত্তর অংশে খালি জায়গা ২০৮২ শতকের ভিতরে ২ ডিসিম ৮২ পয়েন্ট। অন্য দলিলে আরো আধা শতক ক্রয় করেন বজলু। 

সন্ত্রাসীরা এখনও গোপনে ও প্রকাশ্যে আমার পরিবারের উপরে যেকোন মুহুর্তে হত্যাকান্ড ঘটনাতে পারে।

গডফাদার কে এই তাজুল ইসলাম?:

কুমিল্লা ১১ গালিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের তাজুল ইসলামের অপকর্ম অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে এলাকাবাসী। প্রবাসী ভাইয়ের টাকার গরমে এলাকায় তাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। গালিমপুরে চাঁদাবাজী, অন্যর জমি দখল, নারীদের উত্ত্যক্ত করাই নিত্যদিনের কাজ। প্রতিদিন হামলা দখল করলে তিনি এমপি আর্শিবাদপুষ্ঠ হয়ে এমন অপকর্ম করে যাচ্ছে।

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে। অন্যর জমিতে অবৈধ ভাবে তাজুল ইসলাম গং দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী করার চেষ্টা করেন।

গত ১১/০৯/২০২৩ইং তারিখে সোমবার, সকালে ০৭.টার সময় আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বজলুর রহমান রাইছ মিল ও মুদির দোকান এ ঘরে ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার পূর্বে তাজুল ইসলাম তার  সন্ত্রাসী বাহিনী বজলুর রহমানকে মারধর করেন ও দোকান চুরির

ঘটনায় ঘটায়।

এ ব্যাপারে বজলু রহমান একটি সি.আর ৩৮/২২, তাং ২২/০৮/২০২২ইং এ মামলটি আদালতে চলমান রয়েছে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী নির্যাতন মামলা। যাহার মামলা নং-২৫৮৭/২০০৯,। এ বিষয়ে মামলা বাদী নাছিমা আক্তার বলেন, আমাকে মামলা করার পর নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে সন্ত্রাসী জাজুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী।

তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ কথা ভয়ে কথা বলতে চায় না। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে জনৈক এক এলাকাবাসী বলেন, তার বিরুদ্ধে কথা বললে এলাকা ছাড়া হতে হবে। আমরা নিরিহ মানুষ কাজ কর্ম করে চলি আমাদেরকে বিপদে ফেলে দিবে না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 2 =