ইউপি চেয়ারম্যানের ঈশারায় চলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

0
2775

নিজস্ব প্রতিনিধি : বৈদ্যের বাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলামিন সকারের নির্দেশ চলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ভুমিহীনদের সরকারি বরাদ্ধ ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় উপজেলা কর্তৃপক্ষ।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের সরকারি ঘর এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার রিকমান্ডে বরাদ্ধ পায় বৈদ্যের বাজার ইউপির বাসিন্দা মৃত তমুর ছেলে আবুল কালাম।প্রায় নাড়াই বছর ধরে ঐ ঘরে পরিবার নিয়ে বাসাবাস করছে বলে জানায় আবুল কালাম। গত কয়েকদিন আগে তার সন্তান অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে ঢাকার এক মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গেলে ডাক্তার ভর্তি করার জন্য বললে অসহায় আবুল কালাম তার সন্তাঙ্কে ভর্তি করিয়ে স্বামী স্ত্রী কস্ট করে ২ রাত মেডিকেলের বারান্দায় রাত কাটিয়ে বাড়িতে এসে দেখে সরকারি উপহারের ঘরে তালা ঝুলছে। শুরু হয় গরীব অসহায়ের দৌড়ঝাপ। অনেক বার ইউনো অফিসে গিয়ে ধন্না দিয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিনের কাছে গেছে অর্ধশতবার। ঘরের চাবি দেই দিচ্ছি করে হয়রানি করে।

একসময় স্বাম-স্ত্রী মিলে ইউনোর কাছে কান্নাকাটির করার পর ইউনো বলে, সন্তানের চিকিৎসার কাগজ পত্র নিয়ে আসেন। ভুক্তভোগী দৌড়ে এসে চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে গেলে সোনারগাঁ ইউনো উপজেলার সরকারি ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসার কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন এবং আস্বাস দেন চাবি দিবেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস ঐদিনই ইউপি চেয়ারম্যান যায় ইউনো অফিসে এবং তাদের দেখে উপকার না করতে আরো ক্ষতি করে। আলয় আমিন চেয়ারম্যান সরকারি ঘরের চাবি দিতে না করলে ইউনো আর ঘরের চাবি দেয়নাই।

নিরুউপায় হয়ে চোখে পদ না দেখে অসহায় স্মরনাপন্ন হয় জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের। ঘটনা শুনে সাংবাদিক ইউনোকে কল করলে তিনি কল ধরেনি।সাংবাদিক বাধ্য হয়ে আবুল কালামের বক্তব্য ভিডিও করে ইউনোকে হোয়াটস আপে পাঠিয়ে তার সাথে ছোট মেসে দেন যে, “ইউনো মহোদয় সালাম নিবেন। ভুক্তভোগি অসহায়ের সরকারি ঘরের চাবি ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হল। এই ভিডিওটি শুধু আপনাকে পাঠানো হয়েছে।” ইউনো জবাব দেন অপেক্ষা করতে বলেন।” সাংবাদিক জবাবে লিখেন,“অপেক্ষা করানোর কারন কি জানাবেন কি? সুত্রমতে, বিত্তশালীদের, নেতাদের আত্নীয়, জনপ্রতিনিধিদের আত্নীয়দের ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সোনারগাঁ উপজেলায় কতটি ঘর এবং কাদের দেওয়া হয়েছে তার লিস্ট দেওয়ার অনুরোধ করছি।” জবাবে ইউনো লিখেন, আগামী দুইদিন আমি ট্রেনিং এ থাকব।” সাংবাদিক লিখেন,“ওকে ভাইজান।”

দুদিন পর ইউনোকে অনেক বার কল দিলেও তিনি কল ধরেননি, কোন মেসেজের উওর দেন না বলে সাংবাদিক সোনারগাঁ উপজেলা ইউনোর অফিসে গিয়ে দেখেন ইউনো লান্সে গেছেন। এডমিন অফিসার রাসেদুলের রোমে ডুকে দেখা যায় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও ৫/৬টি ইউপি চেয়ারম্যান বসে আড্ডা দিচ্ছেন। সাংবাদিক এমপিকে সালাম দিয়ে অসহায় আবুল কালাম দেখিয়ে বলেন এই গরীবকে আপনি ঘর দিয়েছেন।সাংবাদিক আরো জিজ্ঞাসা করেন ভাই আপনাকে অনেকবার কল করেছি কারন আপনি ইউনোর রোমে তার সামনে বসা ছিলেন, যেন ইউনোকে বলতে পারেন অসহায় গরীবের ঘরের চাবিটা দিয়ে দেয়, তাই আমি এসেছি। এমপি বললেন দেখতেছি, আমি বলে দিচ্ছি। বৈদ্যের বাজার ইউপি চেয়ারম্যান সামনেই ছিল কিন্তু আসতে করে বের হয়ে গেল।কিন্তু অদ্য পর্যন্ত ঘরের চাবি ফেরত দেয় নাই অনৈতিসুবিধা লোভীরা।

শোনা যায় এই সরকারি পেতে দিতে হয়েছে অনোইতিক সুবিধা।এখন একজনকে বের করে আরেক জনকে ডুকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে সুবিধা, মোগড়া পাড়া ইউপির ও  আড়াই হাজার থানার লোক বৈদ্যের বাজার ইউপির ঘর পাবে কেন? প্রশ্ন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের।   ……চলবে দুর্নীতির খবর  

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − 17 =